প্রবাসের সংবাদ

মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের জাতীয় শোক দিবস পালন


যথাযথ মর্যাদায় মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের জাতীয় শোক দিবস পালন

ওয়াশিংটন ডিসি : দোয়া মুনাজাত ও স্মৃতিচারনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের ‘জাতীয় শোক দিবস’ কর্মসূচি। স্থানীয় সময় ১৫ আগস্ট সন্ধ্যায় ভার্জিনিয়ার ষ্প্রীংফিল্ডের নিরালা রেষ্টুরেন্টে ‘জাতীয় শোক দিবস’ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকির কর্মসূচি পালিত হয়। সংগঠনের সভাপতি সাদেক এম খানের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক কামাল আহমেদ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই কর্মুসূচির শুরতেই জাতরি পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দলের নেতা কর্মীবৃন্দ। এরপর ১৫ আগষ্ট শহীদদের স্মরনে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামানায় বিশেষ দোয়া ও মুনজাত করা হয়। এসময় বঙ্গবন্ধু সহ ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা, দেশ, প্রবাস ও বিশ্ব মানবতার শান্তির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ ধর্ম ও হিন্দু ধর্মের শান্তিবার্তা পাঠ করেন জীবক বড়ুয়া ও নারায়ণ দেবনাথ।

এরপর ১৫ আগষ্ট ইতিহাসের অন্ধকারতম দিনের আলোকে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় অংশগ্রহন করেন মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি জি আই রাসেল, সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সহ সভাপতি জুয়েল বড়ুয়া, যুগ্ম সম্পাদক হারুনুর রশীদ, মেট্রো ওয়াশিংটন স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আবুল শীকদার, সহ সভাপতি মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, জেবা রাসেল সহ আরো অনেকে।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও তার পরিবারের সদস্যরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীরা বিদেশে পালিয়ে রয়েছে। পলাতক খুনীদের দেশে ফেরত পাঠাতে সকলে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বক্তারা বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বাঙালির প্রতিটি ন্যায়সংগত আন্দোলনে তাঁর অবিস্মরণীয় ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। অসাধারণ মহানুভবতা, মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা এবং রাজনৈতিক দুরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার কারণে তিনি কিভাবে “বঙ্গবন্ধু” হিসেবে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেন তা তিনি বিভিন্ন তথ্যসহ তুলে ধরেন। “মুজিব বর্ষ” যথাযথভাবে পালনের ব্যাপারেও তিনি মিশনের কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার “রূপকল্প-২০২১”, “রূপকল্প-২০৪১” এবং ডেল্টা-২১০০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করার আহবান জানান।

আলোচনায় বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙ্গালী জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্বাধীনতার রূপকার। বাঙালীর অধিকারের প্রশ্নে তিনি কখনো আপোস করেননি। তাঁর আহবানে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি বহু কাঙ্খিত স্বাধীন সর্বভৌম বাংলাদেশ। কিন্তু জাতি হিসেবে আমাদের দূর্ভাগ্য যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা শেখ মুজিবকে সপরিবারে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির হাতে নির্মমভাবে প্রাণ দিতে হয়। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ বাঙ্গালীর ইতিহাস তথা বিশ্বের ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায়।

অনুষ্ঠানে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে টোকন ঠাকুরের “ট্রাজেডির মহাকাব্য” পাঠ করেন দলের সিনিয়র সভাপতি লেখক সাংবাদিক শিব্বীর আহমেদ। সবশেষে সভাপতি সাদেক এম খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বাস্তবায়নে নিরলশভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি সকল প্রবাসীকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশ গড়ার কাজে যার যার সাধ্যমত অবদান রাখার আহ্বান জানান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে অদূর ভবিষ্যতে আরো ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করছে। তিনি উক্ত কর্মসূচীগুলোতে ওয়াশিংটন প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা ও অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

এছাড়ও তিনি ‘জাতীয় শোক দিবস’র কর্মসূচি সফল করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রতি বছর এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

সিএ/এসএস


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

 

সংবাদটি শেয়ার করুন