উপচে পড়া দর্শক উপস্থিতিতে
কমলগঞ্জে মণিপুরি থিয়েটারের তিন দিনব্যাপী নাট্য উৎসব সমাপ্ত
কমলগঞ্জে মণিপুরি থিয়েটারের তিন দিনব্যাপী নাট্য উৎসব সমাপ্ত হয়েছে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নের ঘোড়ামারা মণিপুরি থিয়েটারের নটমন্ডপে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) থেকে তিন দিনব্যাপী নাট্য উৎসব শুরু হয়েছিল। মণিপুরি থিয়েটারের নতুন প্রযোজনা ‘ও মন পাহিয়া’। প্রত্যন্ত গ্রাম ঘোড়ামারা মনিপুরি স্টোডিও নটমন্ডপে নাটকটির প্রতিদিন দুটি করে তিন দিনে মোট ছয়টি প্রদর্শণীতে ছিল নানা পেশার দর্শকের উপচে পড়া উপস্থিতি।
‘ও মন পাহিয়া’ নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন মণিপুরি থিয়েটারের নির্বাহী প্রধান শুভাশিস সিনহা। প্রথম দিন বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রথম ও সন্ধ্যা ৬টায় দ্বিতীয় প্রদর্শণী পরিবেশিত হয়েছিল। ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কমলগঞ্জের মণিপুরি থিয়েটারের নটমন্ডপে নাটকটি প্রদর্শিত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া বন্যপ্রাণী অবমুক্ত
নাটকের নির্দেশক ও মণিপুরি থিয়েটারের নির্বাহী প্রধান শুভাশীস সিনহা বলেন, দিনভর চা বাগান, লেক, মণিপুরি জীবনাচার দেখতে দেখতে বিকাল ও সন্ধ্যায় মণিপুরি থিয়েটারে নাটক দেখতে চলে আসেন দর্শকরা। প্রতিটি প্রদর্শণীতে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় ছিল সত্যিই বিস্ময়কর। নানা বয়সের, নানা পেশার নানান জায়গার মানুষ গ্রাম শহর এলাকার নারী দর্শকের উপস্থিতিও ছিল প্রচুর। ছিল তারুন্যের জোয়ার। প্রদর্শণীর টিকেটের জন্য রীতিমত হুলুস্থুল। টিকেট না পেয়ে ফিরে গেছেন অনেকেই। শুক্রবার বিকেলে প্রদর্শণীতে স্বপরিবারে উপস্থিত ছিলেন সিলেটস্থ ভারতীয় দূতাবাসের ডেপুটি হাই কমিশনার এল কৃষ্ণমূর্তি।
এ নাটকের অন্যতম সাড়া জাগানো শিল্পী মণিপুরি থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক জ্যোতি সিনহা বলেন, ‘নিয়মিত শো-র আয়োজন করা খুব মুশকিল। এ জন্য টানা প্রদর্শণী হয়েছে। এখানে নানা বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষের সম্মিলন ঘটে। এটা খুব আনন্দের। আশা করি, তিন দিনই জমে উঠেছিল আমাদের নটমন্ডপ।’
প্রসঙ্গত, গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় উদ্বোধনী প্রদর্শণী হয় ‘ও মন পাহিয়া’ নাটকটির। যার ইংরেজি নাম ‘দ্য ফ্লাইং হার্ট’। আফ্রিকান একটা মিথকে উপজীব্য করে নাটকের গল্প গড়ে উঠেছে।