দেশের সংবাদ

হেফাজত ইস্যু! শক্ত অবস্থানে আ.লীগ, ‘কৌশলী’ বিএনপি

হেফাজত ইস্যু! শক্ত অবস্থানে আ.লীগ, ‘কৌশলী’ বিএনপি

‘নেতিবাচক কর্মকাণ্ড’ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে মোকাবিলার সিদ্ধান্ত * সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা

সিবিএনএ অনলাইন ডেস্ক / ৯ এপ্রিল, ২০২১ |  ইসলামপন্থি সংগঠন হেফাজতে ইসলাম ইস্যুতে বিপরীতমুখী অবস্থানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। সংগঠনটির কর্মকাণ্ড নিয়ে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে কঠোর অবস্থানে ক্ষমতাসীনরা। অন্যদিকে অনেকটা ‘কৌশলী’ অবস্থানে বিএনপি।

হেফাজতের ‘নেতিবাচক কর্মকাণ্ড’ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে মোকাবিলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর ও তাণ্ডবসহ যেকোনো নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে দলের নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও রয়েছে কঠোর অবস্থানে। দলটির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন- হেফাজতে ইসলাম ‘উগ্র-সাম্প্রদায়িক শক্তি’। জামায়াতের ‘বি’ টিম। তাদের সঙ্গে সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই।

অন্যদিকে হেফাজতের সার্বিক কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বিএনপি। শুধু তাই নয়, হেফাজত নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারের কর্মকাণ্ডেও সতর্ক দৃষ্টি রাখছে দলটি। এই মুহূর্তে হেফাজতের কোনো কর্মসূচিতে সরাসরি সমর্থন জানাবে না তারা।

সাম্প্রতিককালে সংগঠনটির ডাকা হরতালসহ কয়েকটি কর্মসূচিতেও সরাসরি সমর্থন দেয়নি। তবে প্রত্যেক নাগরিকের প্রতিবাদ করার ন্যায়সংগত সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে- এমন যুক্তি দিয়ে সংগঠনটির কর্মসূচিকে যৌক্তিকও বলছে দলটি।

‘স্বাধীনতা দিবসে মানুষ হত্যার’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচিও পালন করে। রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসাবে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিষয়ে পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো রকম প্রতিক্রিয়া না জানানোর জন্য দলের নেতাদের মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলটির নীতিনির্ধারকরা জানান, এই মুহূর্তে হেফাজতের কর্মকাণ্ডকে তারা সরাসরি সমর্থন জানাবে না। তবে সংগঠনটিকে কেন্দ্র করে পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন তারা।

জানতে চাইতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খান শুক্রবার বিকালে  বলেন, হেফাজতে ইসলাম দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। পেছনে মদদ দিচ্ছে বিএনপি-জামায়াত।

আমাদের আদর্শ ও লক্ষ্য পরিষ্কার। আমরা দেশে কোনোভাবেই উগ্রবাদ, মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ বরদাশত করব না। এ নীতিতে থেকেই আমরা হয়তো কখনো কখনো কারও কারও সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের গণতন্ত্রের পথে উগ্রবাদের বিপক্ষে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছি।

এখন যদি কেউ না ফেরে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, দলের নেতাকর্মীদের এদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে এবং প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু যুগান্তরকে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিবাদের কারণে যদি মানুষকে হত্যা করা হয়, তার প্রতিবাদ বিএনপি করবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে গিয়ে সরকার মানুষের রক্ত ঝরিয়েছে।

সংগত কারণেই বিএনপির কর্মসূচি দিতে হয়েছে। প্রতিবাদের ভাষা সব দলের সব সময় এক না-ও হতে পারে। নিজেদের কর্মী মারা যাওয়ার কারণে হেফাজত হরতাল দিয়েছে। আমরাও বিক্ষোভ করে প্রতিবাদ জানিয়েছি।

সমঝোতা নয়, কঠোর অবস্থানে আ.লীগ : হেফাজতে ইসলাম ইস্যুতে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে কঠোর অবস্থানে আওয়ামী লীগ। ভবিষ্যতে তাদের আর কোনো ছাড় দেবে না দলটি।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ যুগান্তরকে বলেন, হেফাজত যেটা করছে, তা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আইন দিয়ে দমন করতে হবে। রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবিলা করতে হয়।

কিন্তু সন্ত্রাসের সঙ্গে রাজনীতি চলে না। তিনি আরও বলেন, কওমি একটা শিক্ষা ব্যবস্থা। সেই শিক্ষার্থীদের মূল ধারায় আনতে সরকার সেটাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কওমির শিক্ষার্থী মানেই সন্ত্রাসী এটা ঠিক নয়।

কিন্তু হেফাজতে ইসলাম নামের যে সংগঠন, এটা জামায়াতের ‘বি’ টিম। জামায়াত কোণঠাসা হওয়ার পরে অনেকেই তাদের ঘাড়ে ভর করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এদের আইন দিয়েই মোকাবিলা করতে হবে। অন্য কোনো সুযোগ নেই।

২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলাম মহাসমাবেশের নামে শাপলা চত্বরে যে তাণ্ডব চালায় সরকার কঠোর হাতে তা মোকাবিলা করে। তবে এরপর নানা ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে হেফাজতের সম্পর্ক কিছুটা শীতল হয়েছিল।

সরকার হেফাজতের দাবি মেনে কওমি শিক্ষাকে স্বীকৃতি দেয়। কওমি মাদ্রাসা বোর্ড গঠনের জন্য আইন করে। কওমি শিক্ষার সর্বোচ্চ ধাপ স্নাতকোত্তর ডিগ্রির মর্যাদা পায়। তবে হেফাজতে ইসলাম তাদের ‘সাম্প্রদায়িক চরিত্র’ থেকে দূরে সরেনি।

গত বছরের শেষের দিকে হেফাজতে ইসলামসহ আরও কয়েককটি ধর্মভিত্তিক সংগঠন রাজধানীর দোলাইরপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ কাজ বন্ধের দাবি তোলে।

এর মধ্যেই ৪ ডিসেম্বর রাতে কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সে সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন এর প্রতিবাদে নানা কর্মসূচি পালন করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য যুগান্তরকে বলেন, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা আমাদের দেশের দীর্ঘদিনের সংস্কৃতি। আমরা তাদের পাঠ্যসূচিকে আধুনিক করার চেষ্টা করেছি।

তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত, চাকরির ব্যবস্থা এবং আধুনিক শিক্ষায় পারদর্শী করাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। এটা হেফাজতের সঙ্গে সমঝোতা নয়। কিন্তু এটাকে ভিন্ন পথে নেওয়ার চেষ্টা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে সিলেটের সুনামগঞ্জ, চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাণ্ডব চালায় হেফাজত ইসলাম।

এমনকি হরতাল দিয়ে দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সন্ত্রাসী কায়দায় জনগণের জানমালের ক্ষতি করে। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও রয়্যাল রিসোর্টে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের নারী কেলেঙ্কারির কাণ্ডকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাড়িঘর, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর চালায়। ইতোমধ্যে এসব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় তারা ‘ধর্মের নামে সহিংসতা হলে প্রতিহত করার’ ঘোষণা দেন।

আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলেন, যারা মানুষের ঘর পোড়ায়, সাংস্কৃতিক সংগঠন ভাঙচুর করে, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে আঘাত করে তারা স্বাধীনতাবিরোধীদেরই উত্তরসূরি।

তাদেরকে আর ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আইনি ও রাজনৈতিকভাবে তাদের মোকাবিলা করা হবে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য যুগান্তরকে বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সময়ে হেফাজতে ইসলাম চরম উগ্রতা দেখিয়েছে।

কিন্তু সেই সময়টা ছিল বিশেষ সময় তাই আমরা কিছুটা নমনীয় ছিলাম। কিন্তু এখন আর কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। এটা কঠোরভাবে চলবে।

কৌশলী বিএনপি : সংশ্লিষ্টদের মতে, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট এবং ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের ঘটনায় বিএনপির রাজনৈতিকভাবে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।

তবে আগামীতে সরকারবিরোধী আন্দোলন তথা নির্বাচনকে সামনে রেখে হেফাজতের প্রভাবকে কাজে লাগাতেও চায় দলটি।

জানতে চাইলে দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, এখানে কৌশলের কিছু নেই। বিএনপি গণমানুষের রাজনীতি করে। সুতরাং মানুষকে যখন হত্যা করা হয়, তখন আমরা চোখ বুজে থাকতে পারি না।

সে জন্যই আমরা প্রতিবাদ করেছি, কর্মসূচি দিয়েছি।

তিনি বলেন, হেফাজতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক বেশি তা প্রমাণিত। তারা কওমি জননী উপাধি নিয়েছেন। মন্ত্রী থেকে শুরু করে অনেক নেতারা হাটহাজারী মাদ্রাসায় গিয়ে হেফাজতের আমিরের সঙ্গে দেখা করে সখ্য গড়ে তোলেন। বিএনপির কোনো নেতা সেখানে (হাটহাজারী মাদ্রাসা) যায়নি। সুতরাং রাজনীতিটা নষ্ট করেছে আওয়ামী লীগই।

দলের একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, বিএনপির কাছে আগেই তথ্য ছিল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে কয়েকটি দল কর্মসূচি দিতে পারে। তাই দলের সিদ্ধান্তই ছিল এ ধরনের কর্মসূচিতে তারা সমর্থন দেবে না।

এজন্য ২৪ মার্চ ঘোষণা দিয়ে ৩০ মার্চ পর্যন্ত দলের সব কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। যদিও সেখানে কারণ হিসাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ার যুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে কর্মসূচি দেয় দলটি।

আর এমন ‘কৌশলী’ অবস্থান নেওয়া হয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা করেই। নেতারা মনে করেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে মানুষের আবেগের বাইরে বিএনপির যাওয়া ঠিক হবে না। তাদের মনোভাবের সঙ্গেই থাকতে হবে।

ফলে দুই দিনের কর্মসূচি পালন করা হয়। একই সঙ্গে ওই সময়ে ভারত বা সফররত দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে অবস্থান স্পষ্ট না করার পক্ষেও মত দেন বেশির ভাগ নেতা। তারা বলেন, হেফাজতের পক্ষ হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, সাম্প্রতিককালে বিএনপির সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল। বিশেষ করে সব কর্মসূচি স্থগিতের সিদ্ধান্ত ও হেফাজতের ডাকা হরতালের সমর্থন না দেওয়া।

হরতালে সমর্থন দিলে হেফাজতের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি জেলায় যে তাণ্ডব হয়েছে এর সঙ্গে সরাসরি বিএনপিকে জড়ানো হতো। দেওয়া হতো অগ্নিসন্ত্রাসের তকমা। এছাড়া ধর্মীয় মৌলবাদের কোনো ইস্যুর সঙ্গে বিএনপিকে জড়াতে পারলে সরকার লাভবান হবে।

সে সুযোগ দেওয়া হয়নি। তারপরও অনেক জায়গায় মামলায় দলের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে। অথচ এর সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনোভাবেই জড়িত নন। বিএনপিও এসব ঘটনার সঠিক তদন্ত ও দোষীদের বিচার চায়।

সূত্রমতে, হেফাজত ও আলেমসমাজের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আবার সরকারকে সুবিধাও পাইয়ে দিতে চায় না বিএনপি। কারণ বিএনপি এখন ‘যেকোনো মূল্যে’ সরকারের বিদায় চায়।

ফলে সরকারকে চাপে ফেলতে পারে, এমন যেকোনো শক্তির পক্ষে বিএনপির নীরব সমর্থন রয়েছে। হেফাজতের সঙ্গে দলটির কিছু নেতা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন বলেও একটি সূত্র জানিয়েছে।

এদিকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিষয়ে পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানাতে দলের নেতাদের মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিএনপি নেতারা জানান, এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়। বিএনপি অন্য দল বা সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের নীতিতে বিশ্বাস করে না। হেফাজতের বিষয়ে সরকারের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করছেন তারা। এজন্য পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

-যুগান্তর


সর্বশেষ সংবাদ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
আমাদের ফেসবুক পেজ   https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান
সংবাদটি শেয়ার করুন