কানাডার সংবাদ ফিচার্ড

অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক ‘মহান বিজয় দিবস’ ২০২২ উদযাপন 

অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক ‘মহান বিজয় দিবস’ ২০২২ উদযাপন 

অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে ‘মহান বিজয় দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসব মুখর পরিবেশে ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ উদযাপিত হয়। মহান বিজয় দিবস উদযাপনে দিনব্যাপী কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। অনুষ্ঠানের কর্মসূচী মূলত 

দু’ভাগে বিভক্ত ছিল১৬ ডিসেম্বর দিনের শুরুতে অত্র হাইকমিশনের মান্যবর হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান বাংলাদেশ হাউজে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের কার্যক্রম শুরু করেন। হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সাথে সাথে জাতীয় সংগীত বাজানো হয়পতাকা উত্তোলনের পর 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। 

বেলা ১২ (বারো) ঘটিকায় শুরু হয় দিনের দ্বিতীয় কর্মসূচীকানাডার বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ ও সদস্যবৃন্দ 

অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। ‘মহান বিজয় দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দ, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদ বুদ্ধিজীবীগণ এবং অন্যান্য সকল শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে মিনিট নীরবতা পালন করা হয়এরপর মান্যবর হাইকমিশনার হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা- কর্মচারী ও আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক 

অর্পণ করেন। এ দিবস উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণীসমূহ মিশনের কর্মকর্তাগণ পাঠ করে সকলকে শোনান। বাণী পাঠের পর পররাষ্ট্র 

মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত একটি ডকুমেন্টরি প্রদর্শন করা হয়। এরপর মূল আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সৈয়দ জুলফিকার সাদিক, জনাব জিয়াউল হক জিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আজিজুল হক, কন্ঠ সৈনিক জনাব 

মহসিন রেজা প্রমুখ। 

সভাপতির বক্তব্যে মান্যবর হাইকমিশনার সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, বাংলাদেশের প্রায় সকল মানুষ 

শুধুমাত্র পাকিস্তানি সামরিক জান্তাদের সাহায্যকারী রাজাকার, আল বদর ও আল শামস ছাড়া কোন না কোনভাবে ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করে ছিলেন। তবে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এখনো সক্রিয় আছে এবং এ অপশক্তি কাকতালীয়ভাবে স্বাধীনতার এই মাসে স্বাধীনতার সুফল এবং চেতনাকে ভূলণ্ঠিত করার জন্য আবারও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। এদের ব্যাপারে আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে বলে মান্যবর হাইকমিশনার অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি কানাডায় বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে একজন আদর্শ 

বাংলাদেশি হওয়ার জন্য আহ্বান জানান। যে সকল বাংলাদেশি বিদেশে বসে দেশ বিরোধী নেতিবাচক প্রচারণা, অর্থ পাচার 

ও বাংলাদেশ থেকে পলাতক দন্ডপ্রাপ্ত তাদেরকে কোন প্রকার সেবা অত্র মিশন থেকে প্রদান করা হবে না বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মান্যবর হাইকমিশনারের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। 

অত:পর একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে কানাডায় বসবাসরত শিল্পীবৃন্দ গান ও কবিতা পরিবেশন করেনমধ্যাহ্ন ভোজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে। 

 



সংবাদটি শেয়ার করুন