তুমি আমায় !
খুব নষ্ট,
অতি নষ্ট,
অসীম নষ্ট পৃথিবী তোমার !
এই মহকুমা,
এই বিল,
এই গাঙচিল,
এই জল-ধারা,
এই প্রেমিক-ঘনো মৌসুম,
এই লায়লা, নীলাঞ্জনা, বনলতা, কারিনা-পুর,
এই নিমিত্ত বসুন্ধরা’র
কেউ আমার না,
কিছু আমার-না,
কিছু’ই আমার-না !
কোনো এক-জন মানুষ-
আমার হলো-না, আজ পর্যন্ত !
না মা,
না বাবা,
না বোন,
না আত্মীয় প্রান্তে’র কেউ !
ভাই-টা আমার
তোমার ঐশ্বরিক পল হয়েছে,
একত্রিশ বছর আগে ।
প্রেয়সী’র বিগল-চুল
এখানে- হাওয়া’র প্রকোপেও দুলে-না !
এ কেমন পৃথিবী দিয়েছো-
তুমি আমায় ?
নষ্ট-কে নষ্ট বললে,
নিজে-কে’ই নষ্ট হয়ে- যেতে হয় !
পষ্ট-কে পষ্ট-হীন-তায়
জলাঞ্জলি দিতে হয়- বোধ !
আশ্চর্য পৃথিবী তোমার-
কাল, অকাল
তাল, বে-তালে’র
মর্মরে গড়ে উঠে-না, কোনো-
ব্যবচ্ছেদ প্রতিকৃতি !
আমি মরে গিয়েও বেঁচে যাই,
বেঁচে গিয়েও মরে যাই !
বাঁচা মরা’র মাঝে নেই, কেনো-
তোমার নিকষ-তম খণ্ডন ??