আখাউড়ায় মায়ের বকুনি খেয়ে দুই কিশোরীর আত্মহত্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় রবিবার (২৮ জানুয়ারি) মায়ের বকুনি খেয়ে শারমীন আক্তার (১৭) ও সুফিয়া (১৪) নামে দুই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। দুজনই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এর মধ্যে কলেজে না যাওয়ায় শারমীনকে তার মা ও রান্না না করায় সুফিয়াকে তার মা বকা দেন।
শারমীন উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের অটোরিকশা চালক ইউনুস মিয়ার মেয়ে ও সুফিয়া বড়বাজার এলাকার দিনমজুর সাগর মিয়ার মেয়ে।
আখাউড়া থানা পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।
শারমীনের বাবা ইউনুস মিয়া জানায়, সকালে তিনি অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। যে ঘরে অটোরিকশা রাখতেন সেই ঘরে তার একমাত্র মেয়ে ঘুমাতো। শারমীন কলেজে যায়নি বলে তার মা তাকে বকা দেয়।
দুপুরের দিকে তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়াশব্দ মেলেনি। পরে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে গিয়ে দেখেন তার মেয়ের দেহ তীরে ঝুলছে। নিথর দেহ নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
শারমীন আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল বলে তিন জানান।
এদিকে সুফিয়ার পরিবারের লোকজন জানায়, ঘরে রান্নার কাজ করতে অনিহা প্রকাশ করলে সুফিয়াকে তার মা বকা দেয়। মায়ের সঙ্গে অভিমান করে সে ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। দুপুরের দিকে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. জহির উদ্দিন জানান, মৃত অবস্থায় দুই কিশোরীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়।
তাদের গলায় ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয় বলে তিনি জানান।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে জানান, মা বকাঝকা করায় দুই কিশোরী অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র: কালের কন্ঠ