বিশ্ব

করোনায় কর্মী আক্রান্ত হওয়ার পরই ফেসবুক অফিস বন্ধ ঘোষণা

করোনায় কর্মী আক্রান্ত হওয়ার পরই ফেসবুক অফিস বন্ধ ঘোষণা

জন্মের ৫ দিনের মাথায় করোনা আক্রান্ত, একমাসে সুস্থ ।। করোনায় কর্মী আক্রান্ত হওয়ার পরই ফেসবুক অফিস বন্ধ ঘোষণা ।। করোনাভাইরাস কতটা ভয়ংকর

সাধারণ সতর্কতাও সংক্রমণ ও বিস্তারে ঝুঁকি কমায়

অবিশ্বাস হলেও সত্য  করোনায় কর্মী আক্রান্ত হওয়ার পরই ফেসবুক অফিস বন্ধ ঘোষণা ।। এক সহকর্মীর শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ার পর লন্ডন অফিস বন্ধ ঘোষণা করেছে ফেসবুক। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দি ইন্ডিপেনডেন্ট জানায়,

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, অবিলম্বে অফিসটি বন্ধ করে দেয়ার পর পুরো স্থানটি পরিষ্কার করা হবে।

জানা গেছে, লন্ডন অফিসের একজন কর্মীর শরীরে কভিড-১৯ ধরা পড়ার পরই এক বিজ্ঞতিতে সোমবার নাগাদ লন্ডন অফিসের সব কর্মকর্তাদের বাড়ি বসে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া আক্রান্ত ওব্যক্তির সংস্পর্শে আসা সহকর্মীদের নিজেদেরকে সকলের থেকে আলাদা রাখতে এবং কোভিড-১৯ এর লক্ষণসমূহের দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।

এই মুহূর্তে কর্মীদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে সামাজিক পরিদর্শনে আসা সব দর্শনার্থীর প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে বিশ্বের ৩৫টি দেশে ফেসবুকের কার্যালয় রয়েছে। এসব কার্যালয়ে ঢুকতে পারছেন না বাইরের কোনো লোক।

জন্মের ৫ দিনের মাথায় করোনা আক্রান্ত, একমাসে সুস্থ

জন্মগ্রহণের পর মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় চীনে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয় একটি শিশু। এরপরই শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের সদ্যসরা। তবে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে একমাস পর শিশুটি বাড়ি ফিরেছে।

শুক্রবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মু’ইন নামে ওই শিশুটি সুস্থ হওয়ার পর তাকে হাসপাতাল ছাড়পত্র দিয়েছে। এর মাধ্যমে করোনামুক্ত হওয়া সবচেয়ে কম বয়সী রোগীটি এখন মু’ইন।

এর আগে ১৭ দিন বয়সী একটি শিশু করোনামুক্ত হওয়ার তথ্য রয়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে।

এ বিষয়ে হেনান শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিশুটিকে কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সুস্থ হওয়ার পর তাকে তার বাবা-মায়ের হাতে হস্তান্তর করা হয়। জন্মের পাঁচদিনের মাথায় গত ৩১ জানুয়ারি শিশুটি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। ফুসফুসে জটিল সমস্যা নিয়ে সে সময় শিশুটিকে তার পরিবার হাসপাতালে ভর্তি করায়।

 

করোনাভাইরাস কতটা ভয়ংকর

সাধারণ সতর্কতাও সংক্রমণ ও বিস্তারে ঝুঁকি কমায়

নতুন করোনাভাইরাস (এনকোভি-২০১৯) এশিয়ার বিভিন্ন অংশ ও এর বাইরেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে বয়স্ক এবং আগে থেকে অসুস্থ ব্যক্তিদের মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তবে সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করলে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তারের ঝুঁকি কমিয়ে আনা যেতে পারে।

কতটা ভয়ংকর এই ভাইরাস?

শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা, কাশি, জ্বরসহ হালকা লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে এই ভাইরাস। কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। এর ফলে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও অর্গান বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। খুব কম ক্ষেত্রেই এই রোগ মারাত্মক হয়। তবে এই ভাইরাস সংক্রমণে যারা বয়স্ক ও আগে থেকে কোনো রোগে ভুগছে তাদের মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

সবার কি মেডিক্যাল মাস্ক পরা উচিত?

করোনাভাইরাসসহ অন্যান্য রোগের বিস্তার সীমিত পর্যায়ে রাখতে মেডিক্যাল মাস্ক সাহায্য করে। তবে এটার ব্যবহারই এককভাবে সংক্রমণ বন্ধ করতে যথেষ্ট নয়।

নিয়মিত হাত ধোয়া এবং সম্ভাব্য সংক্রামিত ব্যক্তির সঙ্গে মেলামেশা না করা এই ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করার সর্বোত্তম উপায়।

শিশুরা কি ঝুঁকিতে?

যেকোনো বয়সের মানুষই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। তবে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। প্রধানত আগে থেকে অসুস্থ বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস মারাত্মক হতে পারে।

তবে শহরাঞ্চলের দরিদ্র শিশুদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। এসব প্রভাবের মধ্যে রয়েছে বিদ্যালয় বন্ধ থাকা, যা সম্প্রতি মঙ্গোলিয়াসহ বিভিন্ন স্থানেই দেখা গেছে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেন, ‘এই করোনাভাইরাস ভয়াবহ গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এটি বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। শিশুদের ওপর এই ভাইরাসের প্রভাব বা এতে কতজন আক্রান্ত হতে পারে, সে সম্পর্কে আমরা বেশি কিছু জানি না। কিন্তু নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরোধ এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। সময় আমাদের সঙ্গে নেই।’

ইউনিসেফ এ ক্ষেত্রে কী করছে?

নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর ক্ষেত্রে চীনকে সহযোগিতা করতে প্রতিরোধক মাস্ক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রতিরক্ষামূলক স্যুট নিয়ে ইউনিসেফের একটি চালান জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে চীনের সাংহাইয়ে পৌঁছেছে। ছয় মেট্রিক টনের এই চালান কোপেনহেগেনে ইউনিসেফের বৈশ্বিক সরবরাহ হাব থেকে পাঠানো হয়েছে এবং এটি চীনের উহানে দেওয়া হবে। আগামী দিনগুলোতে ইউনিসেফ আরো জরুরি সরবরাহ পাঠাবে। সূত্র : ইউনিসেফ।

আরও পড়ুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ     
কানাডার সংবাদ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − 6 =