করোনায় বৈশ্বিক অর্থনীতি: করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) মহামারিতে ৫ লাখ ৮০ হাজার কোটি ডলার থেকে ৮ লাখ ৮০ হাজার কোটি ডলার পর্যন্ত ক্ষতির শিকার হতে পারে বৈশ্বিক অর্থনীতি। এই ক্ষতির পরিমাণ পুরো বৈশ্বিক উৎপাদনের ৬.৪ থেকে ৯.৭ শতাংশ। শুক্রবার এমনটা জানিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। তাদের গত মাসের অনুমানের তুলনায় এ সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি।
খবরে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে করোনার সংক্রমণ রোধে সীমিত রাখা হয়েছে অর্থনৈতিক কার্যক্রম। প্রতিদিন কমছে প্রবৃদ্ধির হার। এই ক্ষতি পোষাতে আগ্রাসী পদক্ষেপ নিচ্ছে বিশ্বজুড়ে সরকাররা। এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়াসুকি সাওয়াদা বলেন, নতুন এই বিশ্লেষণে অর্থনীতির উপর কভিড-১৯ এর সম্ভাব্য প্রভাবের বিস্তৃত চিত্র ফুটে উঠেছে।
এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় নীতিমালার গুরুত্বও ফুটে উঠেছে।
এডিবি বলেছে, মানুষের চলাচল ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম ছয় পাস পর্যন্ত সীমিত থাকবে, এমনটা বিবেচনায় অর্থনীতির সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, সর্বনিম্ন ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে চলাচল ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম তিন মাস বন্ধ থাকবে এমনটা বিবেচনায়।
করোনা মহামারিতে আর্থিক ক্ষতিতে বিশ্বজুড়ে মন্দাবস্থা সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায়, বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এই ক্ষতি পুষিয়ে তুলতে, আগ্রাসীভাবে সুদের হার কমাচ্ছে ও বিশাল অঙ্কের প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দিচ্ছে।
গতকাল বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক শক্তি যুক্তরাষ্ট্রের উপর করোনার প্রভাবের ভয়াল চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। দেশটিতে লকডাউন শুরুর পর থেকে বেকারত্ব ভাতার জন্য আবেদন করেছেন ৩ কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষ। এর মধ্যে গত সপ্তাহেই আবেদন করেছেন প্রায় ৩০ লাখ। যুক্তরাষ্ট্রের মোট কর্মশক্তির এক-চতুর্থাংশই এখন নিজেদের বেকার বলে দাবি করছে। এদিকে, অস্ট্রেলিয়ায় লকডাউনের মধ্যে কাজ হারিয়েছেন প্রায় ৬ লাখ মানুষ। কর্মঘণ্টা কমে গেছে আরো ৬ লাখ মানুষের।
সূত্রঃ মানবজমিন
সিবিএনএ/এসএস
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন