কানাডার সংবাদ ফিচার্ড

কানাডার অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ ও ‘জেলহত্যা দিবস’ পালন।

কানাডার অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ ও ‘জেলহত্যা দিবস’ পালন।

যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে কানাডার অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক গত ০৭ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ ও ‘জেলহত্যা দিবস’ -২০২৩ পালিত হয়। মান্যবর হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দসহ বাংলাদেশি-কানাডিয়ান কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর হাইকমিশনের কর্মকর্তারা ‘জেল হত্যা দিবস’ ও ’জাতীয় সংবিধান দিবস’ উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান। বাণী পাঠের পরে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ ও ‘জেলহত্যা দিবস’-এর তাৎপর্য নিয়ে বিশেষ আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার এবং গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার কর্মকর্তা জনাব জুলফি সাদেক দিবস দুইটির  তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন। বক্তারা জেলহত্যা দিবস এবং সংবিধান দিবসের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর জাতীয় চারনেতা সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন (অব.) মনসুর আলী এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ.এইচ.এম. কামরুজ্জামান ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর একদল বিপথগামী, কুচক্রি সেনা সদস্যের হাতে নিহত হন। তাঁরা আরো বলেন, আমাদের সংবিধান একটি অসাম্প্রদায়িক সংবিধান যা, বাঙালি জাতির অধিকারের দলিল। বাংলাদেশের সংবিধান পৃথিবীর সুলিখিত সংবিধানগুলোর মধ্যে অন্যতম।

সমাপনী বক্তব্যের শুরুতেই, মান্যবর হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতাসহ সকল শহীদদের বিনম্র চিত্তে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। স্বাধীনতার পরপরই আমাদের একটি সংবিধান প্রদানের জন্য মান্যবর হাইকমিশনার জাতির পিতার প্রতি আবারো গভীর কৃতজ্ঞতা জানান। মান্যবর হাইকমিশনার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রয়াসে সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলো সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান। তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭৫ সালের মর্মান্তিক ঘটনার পর দেশে মৌলবাদের প্রসার ঘটাতে ষড়যন্ত্রকারীরা অবৈধভাবে সংবিধান সংশোধন করে। বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার মৌলিক নীতিগুলি পুনঃপ্রবর্তন করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন এবং জাতির পিতার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানকে মুছে ফেলতেই এটি করা হয়েছিল।

জাতির পিতা এবং  তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহীদ, জাতীয় চার নেতা এবং আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যান্য শহীদদের আত্মার মাগফেরাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।



এসএস/সিএ
সংবাদটি শেয়ার করুন