ছবিঃ দেশদিগন্ত ফাইল থেকে
গৌতম বুদ্ধ ও করোনাকালে বুদ্ধ পূর্ণিমা ।। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা । গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধিজ্ঞান ও মহাপরিনির্বাণ লাভ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে এর অপর নাম দেওয়া হয় ত্রিস্মৃতিবিজড়িত ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’। গৌতম বুদ্ধের শুভজন্ম, বোধিজ্ঞান ও মহাপরিনির্বাণ লাভ এই ত্রিস্মৃতি বিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা হল বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে এটি বুদ্ধপূর্ণিমা নামে পরিচিত। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে বৈশাখী পূর্ণিমার এ পবিএ দিনে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ নেপালের লুম্বিনী কাননে জন্মগ্রহণ করেন। তঁার পিতা হলেন নেপালের রাজা , নাম শুদ্ধোধন । মাতার নাম মহামায়া ।সিদ্ধার্থ গৌতম বুদ্ধ হলেন বৌদ্ধধর্মের প্রতিষ্ঠাতা, প্রধান ধর্মগুরু এবং বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক ও মহাপ্রচারক । গৌতম বুদ্ধের গৃহী নাম হল সিদ্ধার্থ এবং বোধিসত্ত্ব লাভ বা Enlightenment এর পর নাম হয় গৌতম বুদ্ধ ।
সিদ্ধার্থ বাধর্ক্য, জরা ও মৃত্যুকে জয় করার জন্য বদ্ধপরিকর হয়ে ২৯ বছর বয়সে সংসারের প্রতি বীতরাগ হয়ে সিদ্ধার্থ এক রাত্রে ঘুমন্ত স্ত্রী যশোধরা, পুত্র রাহুলকে ছেড়ে, পরিবারকে নিঃশব্দ বিদায় জানিয়ে প্রিয় অশ্ব কন্হক ও সারথি ছন্দককে নিয়ে রাজপ্রাসাদ ত্যাগ করেন ।তিনি একজন সংসার ত্যাগী সন্ন্যাসীর জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত নেন । ৬বছর কঠোর তপস্যার পর তিনি বোধিজ্ঞান লাভ করেন ভারতের বিহার রাজ্যের বুদ্ধগয়ায়। গৌতম বুদ্ধ সম্পূর্ণ বোধিসত্ত্ব অর্জন করেছেন এবং নিজের অন্তর্দৃষ্টির কথা সকলকে জানিয়ে চেতন সত্বাদের পুনর্জন্ম ও দুঃখের সমাপ্তি ঘটাতে সাহায্য করেছেন বলে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন । গৌতম বুদ্ধের জীবনকাহিনী, কথোপকথনের বিবরণ,নিয়মাবলি তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর অনুগামীরা সূত্রায়িত করেন এবং স্মরণে রাখেন ।ভারতের বেনারসের সারনাথে অবস্থিত স্থানে গৌতম বুদ্ধ পাঁচজন শিষ্যকে প্রথম ধর্মশিক্ষা প্রদান করেন এবং বেনারসের সারনাথ থেকেই বুদ্ধ ধর্মের প্রচার শুরু করেন । যথাযথ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে বৌদ্ধ ধম্মাবলম্বীরা তাদের এ প্রধান ধর্মীয় উৎসব সর্বত্রই পালন করছেন । বুদ্ধের মূলমন্ত্র হল- জগতের সকল প্রাণী সুখী হউক । ভগবান বুদ্ধের জীবনদর্শন হইতেছে—অহিংসা সাম্য, মৈত্রী ও প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হইয়া সহাবস্থান করা ।মহামতি বুদ্ধ একটি প্রেমময়, সৌহার্দ্যসমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় আজীবন সত্য, সুন্দর, সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করে গেছেন। ‘অহিংস পরম ধর্ম’—বুদ্ধের এই অমিয়ময় বাণী আজও সমাজে ও বিশ্বে শান্তির জন্য বিশেষভাবে প্রযোজ্য । এ বছর প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ মেনেই সংক্ষিপ্তাকারে বাড়ীতে থেকেই বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা বাংলাদেশে পালিত হয়েছে ৬ মে। এ শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমায় গৌতম বুদ্ধের প্রতি ভূলুন্ঠিত প্রণামসহ বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্ছলী জ্ঞাপন করছি ।
‘অহিংস পরম ধর্ম’—বুদ্ধের এই অমিয় বাণী আজও সমাজে শান্তির জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে তিনি বোধিজ্ঞান লাভ করেন ভারতের বিহার রাজ্যের বুদ্ধগয়ায়। গৌতম বুদ্ধ হলেন বৌদ্ধধর্মের প্রতিষ্ঠাতা, মহাপ্রচারক ও কেন্দ্রীয় চরিত্র। বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা তাঁকে সেই বোধিসত্তপ্রাপ্ত দিব্য শিক্ষক মনে করেন ।বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় গন্থের নাম এিপিটক । গৌতম বুদ্ধের জীবনকাহিনী, কথোপকথনের বিবরণ, নিয়মাবলি তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর অনুগামীরা সূত্রায়িত করেন এবং স্মরণে রাখেন। গৌতম বুদ্ধের জন্ম, মহাপ্রয়াণ ও বোধিলাভ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে ত্রিস্মৃতিবিজড়িত বুদ্ধপূর্ণিমাকে বৈশাখী পূর্ণিমাও বলা হয় ।
বিদ্যুৎ ভৌমিক । সাবেক অধ্যাপক, লেখক ও সিবিএনএ’এর উপদেষ্টা। মন্ট্রিয়ল, ক্যানাডা, ৬ মে ২০২০খ্রী:
কমিউনিটি নেতা জয়দত্ত বড়ুয়ার শুভেচ্ছা
জয়দত্ত বড়ুয়া, সভাপতি কানাডা বাংলাদেশ বুড্ডিষ্ট এসোসিয়েশন, মন্ট্রিয়ল। ছবিঃ দেশদিগন্ত-এর ফাইল থেকে
সিবিএনএ/এসএস
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন