জুটি বন্দিশ ||| কৃষ্ণা গুহ রায়
শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী হিসেবে বিনায়ক মিত্র একজন স্বনামধন্য শিল্পী। দেশের তো বটেই বিদেশ থেকেও বিভিন্ন পুরস্কারে উনি ভূষিত। খুব কম বয়সেই বিয়ে করেন সমবয়সী বিদিশাকে৷ বিয়ের দু’বছরের মধ্যেই একটি কন্যা সন্তান হল। বিনায়ক মিত্রকে সংগীত জগতে প্রতিষ্ঠিত করার মূলে মূলত যার অবদান তিনি হলেন ওনার গুরু যাকে সবাই এক নামে বলে শিল্পীর শিল্পী পন্ডিত মুরুলি শাস্ত্রী৷
সঙ্গীত চর্চায় যাতে কোনও বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য বিদিশা বিনায়ককে সংসারের কোনও কর্মের সঙ্গেই জড়ায়না ৷
বিনায়কের শুধু একটাই নেশা সেটা হল নতুন নতুন নারীসঙ্গ। বিদিশা সব জানে তবু সে কিছু বলে না। আর এই নারীসঙ্গের বিষয়ে বিনায়কের কোনও গোপনীয়তা নেই। যেসব মহিলার সঙ্গে তার পরিচয় হয় তাদের কাছে সে নতুন নতুন গল্প রচনা করে। আর আশ্চর্যের বিষয় সেসব মহিলারাও তার সেই গল্প বিশ্বাস করে। তারপর শয্যা সুখ নিমজ্জিত হবার পর যখন সেই সুখ ফুরায়, তখন অন্য আর এক নারী। তবে একটা জায়গায় বিনায়ক ভীষণ কঠোর। সেটা হল তার সঙ্গীত চর্চা। সেখানে সে যাদের সুযোগ্য মনে করেন, তাদেরকেই সুযোগ দেন। এটা তার গুরুর শিক্ষা। এই জায়গাটা কোনওভাবেই তিনি আপোষ করেন না।
যে সব মহিলা শিল্পীরা তার কাছে গান শিখতে যায়, তারাও জানে কতটা সুযোগ নিতে হবে বিনায়ক মিত্রর কাছ থেকে৷ মধ্যমগ্রামে তার যে গাছ গাছালি ঘেরা বাগান বাড়িটি আছে, সেখানেই তার প্রতি সপ্তাহে শুক্র,শণি,রবিবার সকাল, সন্ধে গানের ক্লাস হয়৷
বাড়িটির আর একটি বৈশিষ্ট্য হল বাড়ি সংলগ্ন যে বাগান আছে , সেই বাগানের প্রতিটি ফুলের গাছের বাঁধানো সিমেন্টের আধারে একটা করে দামী প্লাস্টিকে মোড়ানো ছোট ছোট তাঁরহীন সাউন্ড বক্স লাগানো আছে৷ যেখানে সূর্য ওঠার মুহুর্ত থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বিভিন্ন রাগ রাগিনীর সুর ধ্বনিত হয়৷ সেই সুরে গাছের ফুলেরাও কথা বলে৷ এ যেন এক অপার্থিব সুখ৷
বিনায়ক যখন নারী আর সুরলোকে মগ্ন তখনই আলাপ হয়েছিল সুদেষ্ণার সঙ্গে রবীন্দ্রসদনে এক অনুষ্ঠানে৷ নবীন শিল্পী সুদেষ্ণার কন্ঠে শ্যামকল্যাণ রাগের একতালের বন্দিশ ‘সোতন ঘর না যা রে বালমা’ শুনে বিনায়ক বুঝেছিলেন এ যে সে মেয়ে নয়৷
যথারীতি অনুষ্ঠানের শেষে বিনায়কের সঙ্গে সুদেষ্ণার আলাপ হল৷ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে বিনায়ক মিত্রর নাম শুনলেও সুদেষ্ণার কোনওদিন বিনায়কের সঙ্গে আলাপ ছিল না৷
এই অনুষ্ঠানেই আলাপ হল৷ মোবাইল নাম্বারও বিনিময় হল৷ বিনায়ক মিত্র বরাবরই নিজের সম্পর্কে বলতে ভীষণ ভালবাসেন৷ অনুষ্ঠানের শেষে ওটুকু সময়ের মধ্যে নিজে কোথায় কি রাগ গেয়েছেন, সেখানে কোন কোন দিকপাল সঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন কোনওটাই বাদ গেল না৷ সুদেষ্ণা বরাবরই সহজ সরল প্রকৃতির মানুষ৷ ওর মনে বিনায়কের সম্পর্কে শ্রদ্ধা বেড়ে গেল৷
কিন্তু মানুষকে থামতে জানতে হয় নাহলে যতি চিহ্নর মধ্যে দাড়ি থাকত না৷ বিনায়ক থামতে জানতেন না৷ উনি মনে করতেন অসুবিধে কোথায় অতিরিক্ত কথা বলায়৷ কিন্তু অতি শব্দটা যে রিক্ত করে দেয় সেটা বিনায়ককে শিখিয়েছিল সুদেষ্ণা৷ এতদিন যে সমস্ত মহিলাদের সঙ্গে সে মিশেছে তারা বিনায়ককে নিজের মতন ব্যবহার করেছে আর বিনায়কও সঙ্গ সুখে বিভোর হয়ে নিজের সম্মান নষ্ট করেছে৷ শিল্পী মহলে বিনায়ককে নিয়ে মহিলা সম্পর্কিত র্দুনামের কথা সুদেষ্ণার কানে যে আসেনি তা নয়৷ তবুও সুদেষ্ণা ভেবেছে মানুষের তো সহজাত স্বভাব তিলকে তাল করা৷ তাই আর এই বিষয়টা নিয়ে ভাবেনি৷
যত দিন গেছে সুদেষ্ণাও বিনায়কের ঘনিষ্ঠ হয়েছে৷ সুদেষ্ণারও মধ্যমগ্রামের বাড়িতে যাতায়াত শুরু হয়েছে৷
সুদেষ্ণার প্রতি বিনায়ক তখন এতটাই আসক্ত যে বিনায়ক ঠিক করলেন সুদেষ্ণার সঙ্গে তিনি জুটি বন্দিশ তৈরি করবেন ৷ সুদেষ্ণারও কোনও আপত্তি ছিল না৷ এক শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আসরে সে কথা সাড়ম্বরে ঘোষনাও করলেন বিনায়ক৷ ফলে মিডিয়ার মাধ্যমে কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লী, রাজস্থান হয়ে বিদেশের মাটিতেও তখন ওদের জুটি বন্দিশের কথা প্রচারের আলোয়৷
একদিন অলস দুপুরে ওরা দুজনে তানসেনের গল্পে মত্ত৷ রাগ রাগিনীর সুরে কিভাবে তানসেনেরও মৃত আঙুল নড়ে উঠেছিল সেই গল্পই করছিলেন বিনায়ক৷ যদিও এই গল্প সুদেষ্ণা জানে তবুও আবার শুনতে ভালো লাগে৷
বিনায়ক বলতে শুরু করলেন, বিলাস খান– তানসেনের কনিষ্ঠতম সন্তান ৷১৫৮৬ সালের ২৩শে এপ্রিল, প্রয়াত হলেন তানসেন…শেষ হল ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ইতিহাসের এক স্বর্ণালী অধ্যায়।
মৃত্যুর কারণ তাঁর সঙ্গীত ও স্বয়ং বাদশা আকবর।…রাগ “দীপক” শোনার জন্য ছেলেমানুষী বায়না ধরে ছিলেন বাদশা। বড় ভয়ানক সে রাগ। সে রাগের সঠিক প্রয়োগে শুধু প্রদীপের জ্বলে ওঠা নয়, খোদ গায়কেরও অগ্নিদগ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে পুরোমাত্রায়। তাই প্রথমে অরাজি হলেও, পরে নিজের অন্নদাতা জালালুদ্দিনের আবদার রাখতে গিয়ে দীপক রাগের প্রভাবে অগ্নিদগ্ধ হন তানসেন। মেয়ে সরস্বতী বাপের নির্দেশে মেঘ মলহার গেয়ে বৃষ্টি নামিয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন ঠিকই…কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরী হয়ে গেছিল! আজ সে সব কিংবদন্তি।
আশি বছর বয়সে দেহ রাখলেন আকবরের ‘নবরত্নসভা’র অন্যতম রত্ন মিঁয়া তানসেন। একমাস ধরে শোকপালনের ফরমান জারি হল । কিন্তু তানসেনের শেষকৃত্য কিভাবে সম্পন্ন হবে তা নিয়ে শুরু হল ব্যাপক বিক্ষোভ। হিন্দু সমাজ ঘোষণা করলেন, তানসেন হিঁদুর ঘরের ছেলে। নাম রামতনু মিশ্র, পিতা মুকুন্দ মিশ্র (মতান্তরে মকরন্দ পাণ্ডে) ছিলেন নিষ্ঠাবান ব্রাক্ষন ও সুগায়ক। জনৈকা মুসলিম রমনীর (তানসেনের স্ত্রী হুসেইনি বেগম) চক্করে পড়ে ধর্ম পরিবর্তন করলেও, তার শরীরে বইছে হিন্দুর রক্ত। তাই তার শেষকৃত্য হিন্দুশাস্ত্রমতেই হওয়া উচিত। কিন্তু নারাজ ইমাম-মৌলবীরা। তারা বললেন, ধর্ম বদল করে ইসলামে দীক্ষিত হয়েছিলেন তানসেন। তাই ইসলাম মতেই পালন করা হোক সুরসম্রাটের শেষ যাত্রা।
তানসেনের শেষকৃত্য নিয়ে বেকায়দায় পড়লেন আকবর। তানসেনের শেষকৃত্য নিয়ে দাঙ্গা বেঁঁধে যাওয়ার উপক্রম। এমন সময়ে আসরে নামলেন তানসেনের মেয়ে সরস্বতী (তানসেনের ছিল পাঁচ সন্তান – হামীরসেন, সুরটসেন, তানরস খান, সরস্বতী দেবী ও বিলাস খান। এরা প্রত্যেকেই উচ্চমানের গায়ক ও বীনাবাদক)। মেয়ে সরস্বতীর উপর সবচেয়ে বেশি নির্ভর করতেন তানসেন। সেই সরস্বতী বললেন, তার মৃত্যুর পর যে এহেন পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে তা তাঁর পিতা ঠিকই আঁচ করেছিলেন । তাই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা নিয়ে দিয়ে গেছেন বিস্ময়কর নির্দেশ। আর সেই নির্দেশ হল – গান। যে গায়ক তাঁর গানের প্রভাবে তানসেনের মৃত শরীরে সামান্য হলেও প্রাণের সঞ্চার করতে পারবেন, তাঁর ধর্মানুসারেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে আকবরের ‘নবরত্নে’র অন্যতম এই ‘রত্ন’টির।
……অবাক হলেন আকবর….এ অসম্ভব কাজ! গান গেয়ে মৃতের শরীরে প্রাণের সঞ্চার ? কখনও সম্ভব নাকি? আশ্বস্ত করলেন তানসেন দুহিতা – হ্যাঁ সম্ভব! ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতে রয়েছে সে গুণ,. ….. দরকার আধ্যাত্মিক সাধনা, সুরজ্ঞান ও আন্তরিক পরিবেশনের।
অসম্ভব এই প্রস্তাবটি শেষ পর্যন্ত মনে ধরল আকবরের। হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মাতব্বরেরাও একমত হলেন এই প্রস্তাবে। …সংরক্ষিত করা হল তানসেনের মরদেহ।
…..তারপর শুরু হল সেই রুদ্ধশ্বাস গানের লড়াই।
মৃতসঞ্জীবনী সুরসুধার সন্ধান এক কথায় ছিল অসম্ভব, কারণ তানসেনের পরবর্তী এমন কোনও গায়ক সে সময় ছিল না তামাম হিন্দুস্থানে যে কিনা এমনই ঐশ্বরিক ক্ষমতাধারী,., যার সুরের জাদুতে মৃতের শরীরেও প্রাণের সঞ্চার ঘটাতে পারে।
….. তবু শুরু হল গান, সম্রাট আকবরের আমন্ত্রণে তামাম দুনিয়ার সেরা ওস্তাদ ও সুরসাধকদের ভীড় হলো আগ্রার দরবারে।
…তিনদিন, তিনরাত দেখতে দেখতে অতিক্রান্ত। দিনরাত ধরে পালা করে চলছে ওস্তাদি গান। ওদিকে ফুল, আতর, বরফ আর ঔষধি দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে তানসেনের মরদেহ। মনে হচ্ছে যেন পরম নিশ্চিন্তে তিনি ঘুমিয়ে রয়েছেন, এক্ষুনি জেগে উঠে তানপুরার তার বেঁধে রেওয়াজে বসবেন তার গুরু হরিদাস স্বামীর সৃষ্ট ‘বৃন্দাবনী সারঙ্গ’ রাগে। …তিনদিন ধরে সুরের বন্যা বয়ে গেল রাজ দরবারে, অথচ নিস্পন্দ তানসেন। এত কিছু করেও কি তবে সব আয়োজন ব্যার্থ হতে চলেছে!!… এমনকি কোনও গায়ক সত্যিই নেই ভূভারতে, যে কিনা তানসেনের সমকক্ষ কোনও সুরসাধক!.. যে কিনা এই অসাধ্যসাধন করতে পারেন!!..হতাশ হয়ে পড়লেন আকবর।
হঠাৎ ২৬শেএপ্রিল, ভোরের আলো ফুটতে তখনও দেরী…একটু একটু করে সরছে রাতের পর্দা। …ধীর পায়ে রাজদরবারে এসে দাঁড়ালেন এক দীন ফকির!.. বললেন, তিনি একবারটি চেষ্টা করতে চান।…. চালচূলোহীন সেই ফকিরের কথা শুনে তো হেসে কুটিপাটি সভাসদরা।… তামাম হিন্দুস্তানের নামজাদা ওস্তাদেরা যেখানে ব্যর্থ হয়েছেন,… এই ফকির সেখানে কি চমৎকার দেখাবেন?!!… ফকির কিন্তু অনড়। …শেষ চেষ্টা করে দেখতে তিনি যেন মরীয়া।
….তার উজ্জ্বল দুটি চোখের দিকে তাকিয়ে সায় দিলেন সুর রসিক আকবর ।
….তানসেনের পায়ের কাছে বসে ফকির শুরু করলেন তার গান। …. কি আশ্চর্য! মূহুর্তে যেন পাল্টে গেল গোটা পরিবেশ।… অজানা সেই রাগের অপার্থিব সুরের অদ্ভুত সেই মায়াজালে আচ্ছন্ন হলেন সকলে! …ভোরবেলার সেই রাগের এমনই মাধূর্য, যেন সকাল এরজন্যই অপেক্ষা করে বসেছিল! সেই রাগ কেউ কখনো শোনেনি। কেউ কখনও ভাবেনি এমনও গান হয়।.. কি গায়কি! কি তালিম!.. কি সুর !… প্রতিটি চলনে সবাই মুগ্ধ, বিস্মিত এমনকি যেন হারিয়ে ফেলেছেন মুখের ভাষা!…. এমন সময় দেখা গেল এক অদ্ভুত দৃশ্য….. বিন্দু বিন্দু ঘাম জমছে রাজসভায় শায়িত মিঁয়া তানসেনের নিস্পন্দ শরীরে…!!
….ফকির ভাবলেশহীন, তন্ময় হয়ে গেয়ে চলেছেন। যেন পরম করুনাময় ঈশ্বরের সাধনায় লীন হয়ে গেছে তার সকল সত্ত্বা, বোধ, জাগরণ। এরপর অবলীলাক্রমে যখন একটি অসাধারণ গমক নিলেন সেই ফকির!….সকলেই বিস্ময়ে হতবাক হয়ে দেখলেন মৃত তানসেনের ডান হাতটি কাঁপছে।… কালক্রমে দেখা গেল সেই অজ্ঞাত গায়কের দিকে তর্জনী নির্দেশ করছে তানসেনের ডানহাত। …কয়েক মুহুর্তের জন্য যেন সময় থমকে গেল। তারপর সব শেষ।
…ধন্য ধন্য পড়ে গেল রাজসভায়। সবাই আপ্লুত চোখে তখন সেই ফকিরের দিকে তাকিয়ে। …গান শেষ করে মাথা নিচু করে উঠে দাঁড়ালেন ফকির। অদ্ভুত প্রশান্তি তার মুখে। সকলের মুখে তখন একটাই প্রশ্ন – কে এই ফকির? ইনি তো কোনও সাধারণ মানুষ নন! খোদ বাদশাহ আকবর পর্যন্ত বিস্ময়ে হতবাক। কিন্তু নিজের পরিচয় প্রথমে দিতে চাননি সেই ফকির। পরে উপস্থিত সকলের একান্ত অনুরোধে নিজের পরিচয় দেন তিনি।……বিলাস_খান… তানসেনের কনিষ্ঠতম সন্তান!! …অল্প বয়সে সুফিসাধনায় মজে ঘর ছেড়ে ছিলেন ।
…সেদিন তার গাওয়া সেই রাগ তার নিজস্ব রচনা। তার নাম বিলাসখানিটোড়ি।
সেদিন দরবার ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগে বিলাস খানকে নজরানা দিতে চেয়েছিলেন সম্রাট । বিলাস খান জানিয়েছিলেন,তাঁর মৃত্যুর পর যেন তাঁরও পিতার পাশে স্থান দেওয়া হয়। …..আজও গোয়ালিয়রে পাশাপাশি শুয়ে আছেন পিতা-পুত্র। সেই থেকেই বিলাস খান তোড়ি রাগের সৃষ্টি হল৷
কথাগুলো বলে বিনায়ক থামলেন৷ বিদিশার চোখের দিকে তাকিয়ে গেয়ে উঠলেন,বিলাশখানি তোড়ি রাগের বন্দিশ_কাহে_করত_মোসে_ঝগড়া_প্রীতম_প্যারে৷
সুদেষ্ণার চোখে তখন জল৷
সূর্য তখন পশ্চিমে ঢলে পরেছে৷ পাখিরা তাদের বাসায় ফেরার জন্য ব্যস্ত৷
সুদেষ্ণার চোখের জলে বিনায়কের মনে একটা অদ্ভুত পরিবর্তন হল৷ বিনায়ক বুঝতে পারলেন এই সেই নারী যাকে তিনি এত বছর ধরে খুঁজেছেন৷ যাকে বিশ্বাস , ভালবাসা ,শ্রদ্ধা করা যায়৷ শিল্পী যুগল সুরের রঙ তুলির মিশ্রনে তৈরি করলেন জুটি বন্দিশ ,পেয়ার কো যতনে সামাল হো পিয়া ৷
কৃষ্ণা গুহ রায়, লেখক-গল্পকার ও একজন সাহিত্যকর্মী৷ নিবাস -পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ৷
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
আমাদের ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান