ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে দাবি, লাকিং মে অপহৃত হয়েছিল
কক্সবাজারের টেকনাফের মেয়ে লাকিং মে প্রেমের কারণে বেরিয়ে যাননি, তাকে অপহরণ করার পর হত্যা করা হয়েছে। সাত সদস্যের একটি নাগরিক দল কক্সবাজার ও টেকনাফ এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন শেষে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘লাকিং মে চাকমার ঘটনাপ্রবাহ’ শীর্ষক সরেজমিন প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন তুলে ধরেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারাহ তানজিম। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে সাত সদস্যের একটি নাগরিক দল কক্সবাজার ও টেকনাফ এলাকায় যান। তারা লাকিং মের বাড়ি পরিদর্শন, স্বজনদের বক্তব্য, স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্য, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাড়ি পরিদর্শন শেষে প্রতিবেদনটি তৈরি করেন।
ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে দাবি, লাকিং মে অপহৃত হয়েছিল তিনি বলেন, লাকিং মের স্বজন, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। অপহরণের পর জোরপূর্বক ধর্মান্তর ও বিয়ে হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের এখনই জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই ঘটনায় পাঁচটি অপরাধ হয়েছে। এগুলো হলো লাকিং মে চাকমাকে অপহরণ, ধর্মান্তরকরণে বাধ্য করা, অপ্রাপ্তবয়স্ক বিয়ে করা, ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচিত করা। সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাদেকা হালিম, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বক্তব্য রাখেন।
এস এস/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন