ঋণ
আলেয়ার আলো দিয়ে আমি উজার করি নিজের স্বত্তা।
সন্ধ্যার আহ্নিকে বন্দনা করি আমি।
নিশ্বাস নিই আমি। তাকাই আমি। দেখি আমি।
আমার চারপাশে আচ্ছন্ন হয়ে আছো তুমি।
উষ্ণতায় রেখছ আমায়।
ভাবনার অতলে
কেন যাও দূরে চলে
অভাবী আমায় ফেলে
অমানিশার শীতল প্রলয়ে
ভাবনার অতলে।
চারিপাশে লোকালয়ের মেলা
তবুও এ মন একলা।
মনের ভিতরে ফাঁকা হাহুতাস
শীতঘুম যেন বরস-মাস।
তোমারি অভাবে যাই নীলাচলে।
ভাবনার অতলে।
অভাবী সংসার
আমাদের ব্রহ্মাণ্ডে জল আলো বাতাস গাছপালা মাটি সবই আছে।
আর আছে আমাদের প্রতীক্ষা।
সেই অপেক্ষার দিকে তাকিয়েই কাটে আমাদের আহ্নিক গতি।
মূর্ত চোখে দেখি আমার বার্ষিক অভাব।
প্রেমের মধ্যে থেকেও উপোসী থাকে আমাদের প্রেম।
অপ্রেম নেই এতো টুকুও। আছে প্রেমে বাঁচা, আছে প্রেমে নিঃশ্বাস নেওয়া।
ফুসফুসে যায় অবিরত অক্সিজেন যেন প্রেমের স্বত্বা।
রক্তে বয় তীব্র গতিতে প্রেমের ঝড়। তোমার আঁচড়।
স্নায়ুতে যেন আগুণ জ্বলে প্রেমের দাবালন অহর্নিশি।
যেন তোমাতেই মিশি। অসংখ্য কিসি।
দুর্নিবার ছুটে চলে মন, প্রেমের অবগাহন।
সোনালী পরশে জেগে ওঠে গোলাপি কানন।
কম্পিত ভুবন।
মনের অতলে সাজানো আছে সকল আবেগী আলপনা।
বার্ষিক গতির কক্ষ পথে আমাদের মিলন কল্পনা।
এত টুকুই অভাব আমাদের। অস্পৃশ্যতার ও অদেখার।
যেন মৃত্যু প্রাচীরে দাড়িয়ে বাতাস ধরে আছি। শুধু আছে বিশ্বাস।
আর আছে অগাধ মিলন প্রতীক্ষা।
অভাবের মধ্যে বাঁচে আশা, আছে অগনিত ভাবের সমাহার।
মনন হরষে ফুটে ওঠে আমাদের হৃদকাননে
স্বতঃস্ফূর্ত অভাবী বিহার।