দেশে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত গত ২৪ ঘণ্টায়!
করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্তের সংখ্যা গতকাল শনিবারের চেয়ে আজ রোববার বেড়েছে। মৃত্যুও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এক দিনে সর্বোচ্চ ১৩৯ জন ব্যক্তি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী বলে শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছে ৪ জন। গত দিনগুলোর তুলনায় দেশে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত গত ২৪ ঘণ্টায়। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬২১। আর মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ৩৪।
গতকাল আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৫৮, মৃত্যু হয় ৩ জনের।
আজ রোববার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। এ সময় মোট নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে ১ হাজার ৩৪০ জনের।
আজ ৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছে। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩৯।
বেতন বাড়ানোর দাবি চট্টগ্রামের করোনা পরীক্ষাগারের আউটসোর্সিং কর্মচারীদের
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীরা আন্দোলনে নেমেছেন। এই হাসপাতালে চট্টগ্রাম বিভাগের সন্দেহভাজন রোগীদের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়।
আজ রোববার সকাল আটটার দিকে কর্মচারীরা আন্দোলন শুরু করেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁরা হাসপাতালের পরিচালক এম এ হাসান চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন। পরে তিনি তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলন ছেড়ে কাজে যোগ দেন কর্মচারীরা।
কর্মচারীরা জানান, ওই হাসপাতালে মোট ৫০ জন ওয়ার্ডবয়, ক্লিনার ও অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ করেন। তাদের সবাই এসএস সিকিউরিটি সার্ভিস নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগ পাওয়া।
আন্দোলনরত এক কর্মচারী জানান, সরকার তাদের জন্য ঠিকাদারকে প্রতি মাসে ১৬ হাজার ৫০ টাকা বেতন দেয়। কিন্তু তাঁরা পান নয় হাজার ৫০০ টাকা। এতে তাদের জীবন চলে না। এখন তাদের দায়িত্ব ও ঝুঁকি দুটোই বেড়েছে। কিন্তু বাড়েনি তাদের বেতনসহ সুযোগ–সুবিধা। এ জন্য তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন।
আরেক কর্মচারী জানান, রোগী হাসপাতালে ঢুকেই তাদের কাছে যান। কিন্তু তাদের কোনো পিপিই নেই। তাঁরা ঝুঁকির মধ্যে আছেন। সরকারি স্বাস্থ্য বিমাভুক্ত করার দাবি তাদের। এ ছাড়া পর্যাপ্ত ছুটি বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
কর্মচারীরা জানান, হাসপাতালের পরিচালক তাদের পিপিই ও ছুটির ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু বেতন বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে ঠিকাদারের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু ঠিকাদার আগামী ২৬ এপ্রিল বিষয়টি সমাধান করবেন বলে কথা দিয়েছেন।
হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক এমএ হাসান চৌধুরী জানান, আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীরা হঠাৎ আন্দোলনে নেমেছেন। কর্মচারীরা সমস্যার কথা কখনো তাঁকে জানাননি। আজ সকালে কর্মচারীরা তাঁর কাছে আসার পর বেতনের বিষয়টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কর্মচারীদের অন্যান্য দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, হাসপাতালের একটি আলাদা ইউনিটে করোনা রোগীদের চিকিৎসা করা হয়। সেখানে যারা কাজ করছেন, তাদের পিপিই রয়েছে। কিন্তু সাধারণ রোগীদের ইউনিটের সবাই পিপিইর দাবি করছেন। ঝুঁকি বুঝে পিপিই দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। এ ছাড়া যারা করোনা ইউনিটে কাজ করছেন, তাঁরা সাত দিন কাজের পর হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার ছুটি পাবেন। ওই ঘোষণায় কর্মচারীরা খুশি হয়েছেন।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুল আজম জানান, কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর বিষয়টি আগামী ২৬ এপ্রিল সমাধান হয়ে যাবে। সেই দিন কর্মচারীদের তিনজন প্রতিনিধির সঙ্গে তিনি বসে বেতন পুনর্নির্ধারণ করবেন।
সূত্রঃ প্রথম আলো
বাঅ/এমএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন