নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে ‘বাংলা নববর্ষ’
বিশ্বখ্যাত নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে প্রথমবারের মতো শতকণ্ঠে বরণ করা হলো ১৪৩০ বঙ্গাব্দকে। ১৪ এপ্রিল শুক্রবার প্রাণের উষ্ণতায় সেখানে উদযাপিত হলো বাংলা নববর্ষ। এছাড়া অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য এ মঙ্গল শোভাযাত্রায়।
বর্ষবরণের আহ্বায়ক একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়লা হাসান। বাংলাদেশ থেকে এ আয়োজনে যোগ দিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল লিটনের সঞ্চালনায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয় লায়লা হাসানের প্রীতি সম্ভাষণ দিয়ে। বক্তব্য রাখেন পরিচালক মহিতোষ তালুকদার তাপস।
CBNA24 রকমারি সংবাদের সমাহার দেখতে হলে
আমাদের ফেসবুক পেজে ভিজিট করতে ক্লিক করুন।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল ভিজিট করতে পোস্ট করুন।
ঠিক ভোর ছয়টা বিশে সূর্যোদয়ের সঙ্গে শতাধিক শিল্পীর অংশগ্রহণে আবহমান বাঙালি সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় নতুন বাংলা বছরকে বরণে ঐতিহাসিক এ আয়োজনে বেশ কিছু প্রবাসীও ছিলেন।
লায়লা হাসান এ সময় বলেন, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বাঙ্গালীদের সবচেয়ে বড় প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। ভোরের সূর্যোদয়ের সঙ্গে বহুজাতিক এ সমাজে বাঙালি প্রবাসীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আবার তা প্রমাণিত হলো।
রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, টাইম স্কয়ারের শতকণ্ঠে বর্ষবরণের আয়োজনটি অনবদ্য। প্রবাস জীবনের এত প্রতিকূলতার পরেও বৈশাখের প্রথম দিনে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় প্রবাসীদের বিপুল অংশগ্রহণ ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। আমার চাওয়া হচ্ছে, প্রতি বছর এভাবেই বৈশাখ উদযাপিত হোক নিউইয়র্ক সহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে।
আয়োজকরা জানান, পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এই আয়োজনকে ব্যাহত করতে একটি মহল আদালতে মামলা করেছিলেন। ১৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি খারিজ করে দেন।
আয়োজক সংগঠন ‘এনআরবি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এর সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল লিটন বলেন, এরফলে বাঙালির শুভদিনের আয়োজনকে নস্যাতের সকল ষড়যন্ত্র ধুলিসাৎ হয়ে গেছে এবং এখন থেকে প্রতিবছর বৈশাখের প্রথম দিন বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হবে নিউইয়র্ক সিটির টাইমস স্কয়ারে। থাকবে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা।
শত শত বাঙালির স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখে অভিভূত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায় বলেন, বিশ্বব্যাপী বাঙালি সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে এবারের পহেলা বৈশাখ উদযাপন যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। আবাল বৃদ্ধ বণিতা সবার অংশগ্রহণে সার্বজনীনভাবে এমন বর্ণাঢ্য আয়োজন আমাদের আগামী প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতির প্রতি উদ্বুদ্ধ করবে।