ফাল্গুনের একুশে ফেব্রুয়ারি |||| শীতল চট্টোপাধ্যায়
বসন্ত ভাষার – ভাষা পড়ে
বাংলা মন,
বাংলা ভাষায় পলাশ ফুটে
ভাষাময় করে পলাশ বন,
ভাষা ভরা ফুল ডালে দাঁড়িয়ে থাকে
পথের ধারে , ভাষা শহীদদের বাড়ির
কাছে – পাশেও !
বসন্তে একদিন বর্ষার মতো ভিজে বাতাস
ভাষা শহীদদের বাড়ির
জানলা নাড়ায় , হয়তো
মা …..,এসেছি বলার ইঙ্গিতেই !
বাতাস লেগে খোলা বইয়ের পাতা কাঁপে,
থর থরিয়ে ওঠে বাংলা বর্ণ,
অক্ষরের কালোয় – কালোয়
ভাষা শহীদের স্থির চোখের তারা যেন তাকিয়ে !
ফাগুন পাখির একটানা ডাকে
বাংলা খোঁজে
আনমনে – একমনের নব প্রজন্ম ৷
পাড়ার ‘মাতৃভাষা’ ক্লাব থেকে কেউ
সালেমা … , শেফালি … ডাকে,
গাছের ফুল তুলে ক্লাবে যায় ওরা,
মাটি হওয়া ভাষা শহীদের মাটি দিয়ে গড়া
বেদীকে পুজো করে ফুলে – ফুলে,
নিমগ্নে বাতাসের বাংলা ভাষায় পড়ে চলে
ফাল্গুনের একুশে ফেব্রুয়ারিকে ৷
—————-
আর না ফিরে
পথ হারিয়ে ছোট্ট শিশু
খুঁজছে বাড়ি – বাসা,
অচেনা কেউ পথ চেনাতে
বলল – বাংলা ভাষা ৷
গুণ ও জ্ঞানের কদরে কেউ
কুড়ায় ভালোবাসা,
নিজেকে সে ঋদ্ধ বোঝে
বোঝায় বাংলা ভাষা ৷
পথের পথিক হাওয়ায় বোঝে
ফাগুনকালের আসা,
বোঝালো সব মনের ভেতর
কওয়ার বাংলা ভাষা ৷
প্রথম শাড়ি পরে মেয়ের
মেয়ে বেলার হাসা,
তারপরেতে শাড়ি – মেয়ের
কথায় বাংলা ভাষা ৷
ফেব্রুয়ারির সকাল জানে
একুশে আজ আসা,
আর না ফিরে প্রতি একুশ
হয় যে বাংলা ভাষা ৷
ঠিকানা – জগদ্দল, উত্তর ২৪ পরগণা, ভারতবর্ষ