লিবিয়া গিয়ে নিখোঁজ সিলেটের তিন উপজেলার ২৪ জন
লিবিয়ায় যাওয়া এই ২৪ জন যুবকের সন্ধান ও আদম পাচারকারী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিখোঁজদের স্বজনরা। গতকাল দুপুরে বিয়ানীবাজার প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তানহারুল ইসলাম (২৩), আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩০), আব্দুল্লাহ আল জুনেদ (২৬), আব্দুল আজিজ (৩২), হোসেন আহমদ (৩৫), কামরুজ্জামান রাহাত (২২), রাজু আহমদ (২৬), এনামুল হক (১৯), আরিফ আহমদ দুলাল (২৪), আব্দুল করিম (২৫), তোফায়েল আহমদ অজিত (২৪), মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল ইমন (২২), মোহাম্মদ আলী (২৭), কয়ছর আহমদ (২৬), জাকারিয়া আহমদ (২১), জুনেদ আহমদ (২৩), হোসাইন আহমদ (১৯), জুবের আহমদ (২৩), আব্দুল হক (২২), সাহেল আহমদ (২৪), জাকির হোসেন (২৪), আব্দুল হাছিব (২৬), বকুল আহমদ (২৩), আবুল কাশেম আজহার (২৫), আব্দুর রহিম চৌধুরী (২৩)। এদের বাড়ি বিয়ানীবাজার, বড়লেখা ও জকিগঞ্জ থানায়।গত ৪ মাস ধরে তারা নিখোঁজ রয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। এরমধ্যে সম্প্রতি আমিনুর রহমান (২৪) নামের এক যুবক লিবিয়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তার লাশ এখনো দেশে ফেরত আসেনি।
লিখিত বক্তব্যে নিখোঁজ যুবকদের পরিবারের পক্ষে বিরাজ উদ্দিন বলেন, তাদের মন বলছে ছেলেরা এখনো জীবিত আছে। তবে তারা কোনো আদম পাচারকারী চক্রের কাছে জিম্মি। নিখোঁজ যুবকদের সন্ধানের জন্য তারা প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহযোগিতা কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আতিকুর রহমান বলেন, আদম পাচারকারীচক্র তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০-১২ লাখ টাকা করে আদায় করে। বর্তমানে আদম পাচারকারী চক্রের প্রধান ফরহাদ আহমদ (৪০), পিতা কুতুব উদ্দিন কুটুল, সাং ঘাঘলাজুর (ভেউর), জাবেদ আহমদ, পিতা কুতুব উদ্দিন কুটুল, সায়রা বেগম, স্বামী: কুতুব উদ্দিন কুটুল, হাদিয়া বেগম (২০), স্বামী: ফরহাদ হোসেন, সর্ব সাং ঘাঘলাজুর (ভেউর), থানা: জকিগঞ্জ নামীয় ব্যক্তিগণ ওই টাকা গ্রহণ করেন এবং তারাই উল্লিখিতদের লিবিয়ায় পাঠাতে সহায়তা করেন। এরা সবাই আদম পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সহযোগী। সংবাদ সম্মেলন চলাকালে নিখোঁজ যুবকদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েন। অচিরেই আদম পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান নিখোঁজদের স্বজনরা। -মানবজমিন