‘অকাল মৃত্যুর’ হিসাব ! |||| প্রজ্ঞা চৌধুরী প্রাপ্তি
বাংলাদেশে দৈনন্দিন অসংখ্য সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। যার কোনো প্রতিকার এযাবৎ কালে পাওয়া যায় নি। প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনার দরুন মৃত্যুবরণ করেন অসংখ্য মানুষ। অগণিত আত্মীয় -স্বজনরা হারাচ্ছেন তাদের প্রাণপ্রিয় স্বজনদের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় পৃথিবীজুড়ে প্রতিবছর প্রায় ১৩লক্ষ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন !
যাইহোক, জন্ম -মৃত্যু, সুখ -দুঃখ ইত্যাদি মানুষের হাতে নেই। এসবই সৃষ্টিকর্তার হাতে ন্যস্ত।কথায় বলে, পৃথিবীতে আলো-আঁধার,জন্ম – মৃত্যু, সুখ -দুঃখ,সৃষ্টি -লয় -কথাগুলো বিপরীতধর্মী হলেও এরা একে অপরের পরিপূরক। মৃত্যুভীতি আছে বলেই জীবন এতো মূল্যবান।লয়ের আশঙ্কা আছে বলে মানুষ সৃষ্টিকে ভালোবাসার সহিত যতদূর সম্ভব সংরক্ষণ করার চেষ্টা করে। সুখ লাভের সম্ভাবনা আছে বলে মানুষ দুঃখকে হাসিমুখে বরণ করে। দুঃখের অস্তিত্ব আছে বলে মনুষ্যকূলের সুখের বৃন্তে বসবাস করার এতো আকুল আকুতি। অন্ধকার আছে বলে আলোর উপস্থিতি এতো গৌরবান্বিত।পৃথিবীতে যদি সূর্যোদয় না হতো, যদি অন্ধকার অনন্ত কালের জন্য এ ধরণীকে আচ্ছন্ন করে রাখতো তবে আলোর এ গৌরব নিশ্চিতভাবেই ম্লান হয়ে যেতো। কাজেই বলা যায়, পৃথিবীতে বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্যের প্রয়োজন আছে। এই বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্যই প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীকে বৈচিত্র্যময় করে তুলে।
কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা ভিন্নতর।একটু সতর্কতার সহিত চলাচল করলেই সড়ক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হলো :
১. অতিরিক্ত গতি,
২. অপ্রশস্ত রাস্তা,
৩. অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা,
৪. যাত্রীদের আইন অমান্য করার প্রবণতা,
৫. ট্রাফিক অব্যবস্থাপণা ইত্যাদি।
এসব বিষয়বস্তু হতে সচেতন থাকার চেষ্টা করুন, নিজে বাঁচুন, অন্যকে বাঁচান।
পথ হোক শান্তির, মরণের নয়।
এসএস/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন