অনেক বাংলাদেশিও হতাহতের শঙ্কায়, একজন নিখোঁজ
তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ খাহরামানমারাসের ভূমিকম্পে এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছেন। বগুড়ার গোলাম সাইদ রিংকু নামের ওই শিক্ষার্থী খাহরামানমারাস ইউনিভার্সিটির ভূগোল বিভাগের শিক্ষার্থী।
তুরস্কের বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওমর ফারুক হেলালী এ কথা জানিয়েছেন।
এর আগে দুইজন বাংলাদেশির নিখোঁজ হওয়ার খবর গণমাধ্যমে আসে। পরে নিখোঁজ আরেক শিক্ষার্থী নূরে আলমকে একটি আশ্রয় কেন্দ্রে পাওয়া যায় বলে জানান ওমর ফারুক।
নূরে আলম ও রিংকু যে ভবনে থাকতেন সেটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
তুরস্কের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলটি সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে ছিল। তাই ভয়াবহ হতাহতের শিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটিও। স্মরণকালের ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে সর্বশেষ খবর অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ২৩০০ ছাড়িয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ (ইউএসজিএস) জানায়, স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপের শহর নুরদায়ির ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সমতলের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে।
নুরদায়ি শহরটি তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত। এই দুটি দেশ ছাড়াও লেবানন ও সাইপ্রাসে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ৮০০ কিলোমিটার দূরের গাজা উপত্যকায়ও অনুভূত হয়েছে কম্পন।
তুরস্কে সোমবারের এই ভূমিকম্পকে ১৯৩৯ সালের পর সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সেবার একই মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৩০ হাজার লোকের মৃত্যু হয়। বিগত ২৫ বছরে সাতবার তুরস্কে ৭ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে এবারের ভূমিকম্প সবচেয়ে শক্তিশালী বলছেন ভূতত্ত্ববিদরা।
কম্পনের তীব্রতা এবারে এতই বেশি ছিল যে মূল ভূমিকম্পের পর অন্তত ৬৬টি পরাঘাত অনুভূত হয়। -সূত্র: দৈনিক বাংলা