ফিচার্ড বিশ্ব

অফিস ভুল করে দিল ৩৩০ গুণ বেতন!, তৎক্ষণাৎ ইস্তফা

অফিস ভুল করে দিল ৩৩০ গুণ বেতন!, তৎক্ষণাৎ ইস্তফা

ভুলবশত মাসিক বেতনের ৩৩০ গুণ অর্থ প্রবেশ করে এক কর্মীর অ্যাকাউন্টে। এরপর তিনি তৎক্ষণাৎ ইস্তফা দিয়ে বসের ফোন ধরা বন্ধ করে দেন। পরে অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য তার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান আদালতের শরণাপন্ন হলে, বিচারের রায় যায় কর্মীর পক্ষেই।

ঘটনাটি চিলির। সেখানে ২০২২ সালের মে মাসে বেতন প্রদানে এক ত্রুটির কারণে ঐ কর্মীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয় প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার পাউন্ড। অথচ খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ড্যান কনসরসিও ইন্ডাস্ট্রিয়াল দে আলিমেন্তোস দে চিলের অফিস সহকারী হিসেবে তার মাসিক বেতন ৩৮৬ পাউন্ড। প্রথমে তিনি কোম্পানিকে সমুদয় অর্থ ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন দিনের মাথায় চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে তিনি আর যোগাযোগ করেননি।

পরে কোম্পানির পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। তিন বছর ধরে চলা আইনি প্রক্রিয়ার পর এক বিচারক রায় দেন, ঘটনাটি চুরি নয় বরং অনুমোদনহীন প্রাপ্তি হিসেবে বিবেচিত হবে। ফলে এটি ফৌজদারি মামলা হিসেবে বিচারযোগ্য নয়।

যদিও আদালত ঐ ব্যক্তিকে ফৌজদারি অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। তবে কোম্পানি জানিয়েছে, তারা দেওয়ানি আদালতের মাধ্যমে অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। দিয়ারিও ফিনান্সিয়েরো পত্রিকাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি বলেছে, আমরা এই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সমস্ত আইনগত পদক্ষেপ নেব।

এর আগে ইউরোপে আরেকটি বেতন-ত্রুটির ঘটনা ঘটেছিল। ভাইস নিউজ জানায়, জার্মানির এক শিক্ষিকা গত ১৬ বছর ধরে ঘরে বসে সম্পূর্ণ বেতন নিচ্ছেন, অথচ অসুস্থতার অজুহাতে তিনি সশরীরে একদিনও কর্মস্থলে যাননি। সম্প্রতি তাকে অসুস্থতার প্রমাণ দিতে বলা হলে, উলটো নিজের নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধেই আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন। পশ্চিম জার্মানির নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়ার ভেজেল অঞ্চলের এক কারিগরি কলেজে কর্মরত এই শিক্ষিকা ২০০৯ সাল থেকে অসুস্থতাজনিত ছুটিতে আছেন। তিনি নিয়মিত চিকিৎসা সনদ জমা দিলেও, কোনো আনুষ্ঠানিক মেডিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে তা যাচাই করা হয়নি।

চলতি বছর নতুন প্রশাসকের নির্দেশে তদন্ত শুরু হলে দেখা যায়, এই সময়ে ঘরে বসেই তিনি ১১ লাখ ৭০ হাজার ডলার বেতন পকেটস্থ করেছেন।

সূত্র: এনডিটিভি/ইত্তেফাক

এসএস/সিএ
সংবাদটি শেয়ার করুন