বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এক নববধূকে দুই যুবকের স্ত্রী দাবি করার ঘটনা অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে সমাধান হয়েছে। রুমানা খাতুন লিমা (১৮) নামে ওই নববধূ তার প্রথম স্বামী কাজলের ঘরেই ফিরে গেছেন।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি গতকাল শুক্রবার রাতে মীমাংসা করে থানা হেফাজত থেকে ওই দুই যুবকসহ রুমানাকে নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদের জিম্মায় দিয়েছে পুলিশ। এর মধ্য দিয়ে এক বউকে নিয়ে দুই স্বামীর মধ্যে মারামারির ঘটনার আবসান হয়েছে।
ধুনট থানা পুলিশ জানায়, উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের হেউটনগর গ্রামের আফিজার রহমানের মেয়ে রুমানা খাতুন লিমা প্রেমের সম্পর্কের জেরে প্রায় পাঁচ মাস আগে একই এলাকার বিলচাপড়ি গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে কাজল মিয়াকে (২২) গোপনে বিয়ে করেন। কিন্তু রুমানার পরিবারের লোকজন এই বিয়ের বিষয়টি জানতেন না। এ ছাড়া রুমানাও তার বিয়ের ঘটনাটি প্রকাশ করেননি।
এদিকে রুমানাকে তার পরিবারের লোকজন প্রায় দুই মাস আগে একই এলাকার নবীনগর গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে জুয়েল রানার (২৬) সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেন। বিয়ের পর রুমানা স্বামী জুয়েল রানার সঙ্গে এক মাস সংসার করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসে জুয়েলের সঙ্গে আর সংসার করবেন না বলে বাবা-মাকে জানান। এর মাঝে রুমানাকে নিজের বাড়িতে নেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন জুয়েল।
এ অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে রুমানা তার প্রথম স্বামী কাজল মিয়ার হাত ধরে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে ঘুরছিলেন। এ ঘটনা দেখে দ্বিতীয় স্বামী জুয়েল রানা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ সময় রুমানাকে দুজনই স্ত্রী দাবি করলে তাদের মধ্যে মারামারি হয়। একপর্যায়ে রুমানাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন জুয়েল রানা। স্থানীয়রা বিষয়টি লক্ষ্য করে ঘটনাস্থল থেকে রুমানাসহ স্বামীর দাবিদার দুই যুবককে আটক করে ধুনট থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মেয়েটি কাজলের সঙ্গে সংসার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ বিষয়টি নিয়ে তাদের পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে নিজ নিজ স্বজনদের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জুয়েল রানা স্ত্রীর দাবি ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন।’