প্রবাসের সংবাদ

আমিরাতে করোনায় ৬০ বাংলাদেশির মৃত্যু ।।করোনায় মৃত্যুহীন ভিয়েতনাম

আমিরাতে করোনায় ৬০ বাংলাদেশির মৃত্যু

সংযুক্ত আরব আমিরাতে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ কমে এলেও প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মারা গেছেন ৬০ জনের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি। সর্বশেষ শনিবার পর্যন্ত দেশটিতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৬২ জন।

চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি দেশটিতে প্রথম আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। তবে প্রথমবারের মত দুজন আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু সনদে নাম উঠে ২০ মার্চ। গত ২৬ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথম বাংলাদেশি মারা যান। এরপর থেকে নিয়মিত বাড়ছে বাংলাদেশিদের মৃত্যুর সংখ্যা। মাত্র ৬৭ দিনের ব্যবধানে এটি সমানুপাতিক হারে দাঁড়িয়ে গেছে।

আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মিজানুর রহমান সমকালকে জানান, স্থানীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কোন দেশের নাগরিক কতজন আক্রান্ত হয়েছেন এই হিসাব না জানালেও মৃত্যুর সংখ্যা ও মৃত ব্যক্তির সম্পর্কে জানানো হচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে তুলনামূলকভাবে কোভিড-১৯ আক্রান্ত বাংলাদেশিদের মৃত্যুর হার বেশি। শনিবার পর্যন্ত ৬০ জনের বেশি বাংলাদেশি করোনায় মারা গেছেন।

এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে আমিরাতের স্বাস্থ্য ও প্রশাসনিক দপ্তর। একদিকে রাতভর যেমন চলছে জীবাণুনাশক স্প্রে কর্মসূচি অন্যদিকে বাড়ানো হচ্ছে দৈনিক পরীক্ষার সংখ্যা। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজারের মত নাগরিকের করোনা পরীক্ষা করছে দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

করোনায় মৃত্যুহীন ভিয়েতনাম

ইউরোপ-আমেরিকায় যখন করোনায় মৃত্যুর মিছিল, এশিয়ায় তখন একটু হলেও স্বস্তি। সেখানেও করোনায় প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। তবে অতটা ভয়ঙ্কর হয়ে থাবা বিস্তার করেনি। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং আর তাইওয়ানের দিকেই সবার নজর। খুব কম সংক্রমণ হয়েছে দেশগুলোতে। মৃত্যুর সংখ্যাও প্রায় উল্লেখ-অযোগ্য।

তবে করোনা মোকাবিলায় আরেকটি দেশের সাফল্যের দিকে তেমন করে নজর পড়েনি কারো। দেশটি হলো ভিয়েতনাম। এশিয়ায় ভিয়েতনামই একমাত্র দেশ, যেখানে করোনায় প্রাণহারানো মানুষের সংখ্যা শূন্য। খবর সিএনএনের

৯ কোটি ৭০ লাখ মানুষের দেশটিতেও হানা দিয়েছে চীনের উহান থেকে আসা করোনাভাইরাস। তবে থাবা ভয়ঙ্করভাবে বিস্তার করার আগেই তা রুখে দিয়েছে দেশটি। এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩২৮। অথচ করোনার উৎস দেশ চীনের সঙ্গে এররয়েছে দীর্ঘ সীমান্ত আর প্রতিবছর লাখ লাখ চীনা ভিয়েতনামে ভ্রমণ করে থাকে।

ভিয়েতনাম দেশটিও নিম্ন মধ্য আয়ের। স্বাস্থ্যসেবায়ও পিছিয়ে কাছাকাছি দেশগুলোর তুলনায়। প্রতি ১০ হাজার লোকের জন্য ডাক্তার মাত্র ৮ জন। বিশ্বব্যাংকের হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে এর সংখ্যা ৩:১। দেশ জুড়ে তিন সপ্তাহের লকডাউনের পর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে সামাজিক দূরত্ব বিধি চালু করে দেশটির সরকার। এরপর থেকে গত ৪০ দিনেরও বেশি সময় পরেও স্থানীয় সংক্রমণের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে দেশটিতে জীবনযাত্রাও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সূত্রঃ সমকাল

সি/এসএস


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন