প্রবাসের সংবাদ

ইউ. এস. বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর উদ্যেগে উইম্যান এন্টারপ্রেনিউর এ্যওয়ার্ড

ইউ. এস. বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর উদ্যেগে নিউইয়র্কে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে, ‘এন্ড এফ কমার্স বিজনেস সামিট এন্ড উইম্যান এন্টারপ্রেনিউর এ্যওয়ার্ড – ২০২১’

বাংলাদেশ ও আমেরিকার মধ্যকার ব্যবসা-বানিজ্য সম্প্রসারনে, ইউএস বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ইউএসবিসিসিআই’)এর উদ্যেগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে “ই এন্ড এফ কমার্স বিজনেস সামিট এন্ড উইম্যান এন্টারপ্রেনিউর এ্যওয়ার্ড-২০২১”।

২০ নভেম্বর, শনিবার নিউইয়র্কের লাগোর্ডিয়া ম্যারিয়ট হোটেলে এ অনুষ্ঠীত হয়। এবারই প্রথমবারের মতো নারী উদ্যেক্তাদের স্বীকৃতি ও তাদের উৎসাহিত করতে আয়োজন করা হয়েছে ‘উইম্যান এন্টারপ্রেনিউর এ্যওয়ার্ড – ২০২১’ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শেহলা ইফতেখার ও চেম্বারের পরিচালক শেখ ফরহাদ।স্বাগত বক্তব্য দেন আয়োজক সংগঠনের প্রধান কার্যনির্বাহী ও প্রেসিডেন্ট লিটন আহমেদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর লুইস আর. সেপুলভেদা, নিউইয়র্ক স্টেট এসেম্বলিম্যান ডেভিড আই. ওয়েপ্রিন, নিউইয়র্ক স্টেট এসেম্বলিওমেন জেনিফার রাজকুমার, নিউইয়র্ক স্টেট এসেম্বলিওমেন মাইকেল সি. সোলেজ, মোফাজ্জল হোসেন ডেমোক্রেট ডিস্টিক লিডার, ৩৮ এসেম্বলি ডিস্টিক এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের ওয়াশিংটন ডি.সি দূতাবাসের ইকনোমিক মিনিস্টার মেহদী হাসান, নিউইয়র্কের ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল এস এম নাজমুল হাসান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউএসবিসিসিআই’ এর প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন কমিটির সভাপতি- মোহাম্মদ আহসান, প্রফেসর হেনা সিদ্দিকী,প্রতিষ্ঠাতা এবং বোর্ড ডিরেক্টর, অ্যাজিল ইন এডুকেশন ইউএসএ (AiEUSA), আলিফ লায়লা নাবিলা – সহকারী ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকা), মানিকা রায় চৌধুরী-প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ আমেরিকান উইমেন ফর প্রগ্রেস, ডাঃ সিমা কারেতনয়া-রাষ্ট্রদূত, জাতিসংঘ, মেরি জোবায়েদা-রিপ্রেজন্টেটিভ জেসিকা রামুস নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর,যুক্তরাষ্ট্রে সোনালী এক্সচেঞ্জের প্রধান কার্যনির্বাহী দেবশ্রী মিত্র,মোহাম্মদ জাহিদ করিম, NYPD পুলিশ অফিসার ,শেখ গালিব রহমানপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ট্রান্সফোটেক একাডেমী,দিলীপকুমার থাঙ্কাপ্পনপ্রেসিডেন্ট, ওয়ার্ল্ড ইয়োগা কমিউনিটি ইনক সহ আরো অনেকেই। উল্লেখ্য নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রতিবছর ১৯ নভেম্বর তারিখটিকে নারী উদ্যেক্তা দিবস বা উইম্যান এন্টারপ্রেনিউরশিপ ডে হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। এরই অংশ হিসেবে ২০ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ১০ নারী উদ্যেক্তাকে সম্মাননা জানিয়েছে ইউএসবিসিসিআই।

স্বাগত বক্তব্যে ইউএস বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (ইউএসবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট ও প্রধান কার্যনির্বাহী, জনাব মো. লিটন আহমেদ বলেন, আমরা সবাই এখানে জড়ো হয়েছি এই অঞ্চলে এবং এর বাইরেও নারী উদ্যোক্তা দিবসের অর্জন উদযাপন করতে। আজকের সামিটে নতুন উদ্যোক্তারা তাদের কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জনে কিভাবে কাজ করেছে তা বিভিন্ন শ্রোতাদের জন্য একটি ইন্টারেক্টিভ পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ এবং তথ্য গ্রহণ করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। আজকের ইভেন্টে অংশগ্রহণকারীদের নানান পেশাদারদের সাথে পরিচিত হবার সুযোগ করে দিয়েছে এবং তাদের সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলির নিয়ে আলোচনা করারও সুযোগ পেয়েছে। এই সামিট নতুন নারী উদ্যোক্তাদের তাদের পরবর্তী পরামর্শদাতা, বন্ধু এবং ক্লায়েন্টদের সাথে সংযুক্ত করবে।

বিশ্বের শতাধিক দেশের সঙ্গে এ বছরের ২০ নভেম্বর নিউইয়র্কে ইউএস বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির(ইউএসবিসিসিআই) উদ্যোগে উদযাপন করা হয়েছে “নারী উদ্যোক্তা দিবস – ২০২১”।

বর্তমানে অনলাইনভিত্তিক উদ্যোগে নারী উদ্যোক্তাদের উপস্থিতি তুলনামূলক বেশি লক্ষ করা যায়। কারণ সামাজিক ও পারিবারিক দায়বদ্ধতা ও প্রতিবন্ধকতা বিশেষ বাধা হয়ে দাঁড়ায় না বলে অনলাইন ভিত্তক উদ্যোগে নারীরা খুব স্বচ্ছন্দেই পদচারণা করতে পারে।

একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শিল্পোদ্যোগ এবং শিল্পোদ্যোক্তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। শিল্পোদ্যোগই দেশের সকল বস্তুগত ও অবস্তুগত সম্পদ সঠিক এবং সর্বোচ্চ মাত্রায় ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিকে ত্বরান্বিত করে।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২০’ অনুযায়ী, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ নারী সমতার ক্ষেত্রে বিভিন্ন অবস্থানে রয়েছে। এমনকি উন্নত দেশেও নারী সমতা পুরোপুরি অর্জিত হয়নি। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫৩টি দেশের মধ্যে একটি দেশও পুরোপুরি নারী-পুরুষের সমতা অর্জন করতে পারেনি। সামগ্রিকভাবে গড়ে সারা পৃথিবীর ১৫৩টি দেশে জেন্ডার গ্যাপ পূরণ হয়েছে ৬৯ শতাংশ। সবচেয়ে এগিয়ে আছে আইসল্যান্ড, যে দেশটি নারী-পুরুষের ফারাক ৮৮ শতাংশ পূরণ করতে পেরেছে। প্রথম পাঁচটি দেশের মধ্যে চারটিই নরডিক। এর মধ্যে রয়েছে আইসল্যান্ড (১ম), নরওয়ে (২য়), ফিনল্যান্ড (৩য়) ও সুইডেন (৪র্থ)। পাঁচ নম্বরে রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়া। এ জেন্ডার গ্যাপ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৫০তম। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে নেপাল ১০১তম, শ্রীলংকা ১০২তম, ভারত ১১২তম, ভুটান ১৩১তম ও পাকিস্তান ১৫১তম। অর্থাৎ এখানে বাংলাদেশ সবার চেয়ে এগিয়ে আছে। শুধু দক্ষিণ এশিয়াতেই নয়, এমনকি সিঙ্গাপুর (৫৪তম), চীন (১০৬তম), জাপান (১২১তম) এবং অন্য অনেক দেশের চেয়েও বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে; যা সত্যিই বিস্ময়কর ও প্রশংসনীয়।

অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন জনাব আব্দুল কাদের মিয়া, সহ-সভাপতি ইউএস বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি।


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ   https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান

সংবাদটি শেয়ার করুন