দেশের সংবাদ

এক দিনে করোনায় প্রাণহানি ১০, নতুন শনাক্ত ৩৪১

এক দিনে করোনায় প্রাণহানি ১০

 

এক দিনে করোনায় প্রাণহানি ১০, নতুন শনাক্ত ৩৪১

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন মারা গেছেন। একই সময় দেশে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন ৩৪১ জন।

দেশে করোনায় এক দিনে মৃত্যু ও শনাক্তের এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মারা গেছেন ৬০ জন। আর মোট শনাক্তের সংখ্যা ১ হাজার ৫৭২ জন।

আজ বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২ হাজার ১৩৫টি। এর মধ্যে ২ হাজার ১৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, যে ১০ জন মারা গেছেন, তাঁদের মধ্যে পুরুষ সাতজন। আর নারী তিনজন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনই ঢাকার। বাকিরা ঢাকার বাইরের।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। আর গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

 

দেশে প্রতি ১০ লাখে ৮০ জনের করোনা পরীক্ষা

দেশে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে গড়ে ৮০ জনের কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের পরীক্ষা হচ্ছে। মোট জনসংখ্যার অনুপাতে যা একেবারেই কম। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশের তুলনায় এ রোগের পরীক্ষায় বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে। আর বেশি শনাক্ত হয়েছে বিশ্বের এমন দেশগুলোতে পরীক্ষার হার প্রতি ১০ লাখে ১০ হাজারের ওপর।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরীক্ষার ওপর জোর দিয়ে আসছে। গত মঙ্গলবার সংস্থাটি প্রকাশিত সর্বশেষ করোনাভাইরাস প্রতিরোধবিষয়ক কৌশলপত্রে বলেছে, এখন পর্যন্ত এ রোগের কোনো টিকা বা সুনির্দিষ্ট ওষুধ নেই। পরীক্ষার মাধ্যমে দ্রুত রোগী শনাক্ত করা এবং তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা গেলে এই ভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হবে। তাই সাধারণ জনগণের মধ্যে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা করতে দেশগুলোকে সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, নমুনা পরীক্ষা আরও বাড়ানো হবে। তাতে সারা দেশের পরিস্থিতি বোঝা যাবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

বর্তমানে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে মোট ১৭টি ল্যাবরেটরিতে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের পরীক্ষা হচ্ছে। এসব ল্যাবরেটরিতে দিনে সাড়ে চার হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করার সক্ষমতা থাকলেও এখন পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ পরীক্ষা হয়েছে ১ হাজার ৯০৫টি। ফলে বিদ্যমান ল্যাবরেটরিগুলোর সক্ষমতার অর্ধেকের বেশি অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা শনাক্তকরণের পরীক্ষা বাড়লে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যাও বাড়বে। পর্যাপ্ত পরীক্ষা না হওয়ায় করোনা–আক্রান্ত ব্যক্তি আইসোলেশনে না থেকে সাধারণভাবে চলাফেরা করেন। এতে একজনের মাধ্যমে আরও অনেকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা শুরু করে। শুরুতে বিদেশফেরত এবং তাঁদের সংস্পর্শে না এলে পরীক্ষা করা হয়নি। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হন। ৩০ মার্চ থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রের আওতা বাড়ানো শুরু হয়।

বর্তমানে ঢাকার নয়টি এবং ঢাকার বাইরে আটটি ল্যাবরেটরিতে কোভিড–১৯ শনাক্তকরণের পরীক্ষা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ১৪ হাজার ৮৬৮ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২৩১ জনের।

পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার শুরু থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের করোনাবিষয়ক হালনাগাদ তথ্য দিয়ে আসছে। গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রতি ১০ লাখে ৮০ জনের করোনার পরীক্ষা করা হচ্ছে।

সূত্রঃ প্রথম আলো

বাঅ/এমএ


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

 

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − five =