দেশের সংবাদ

এস‌ কে সিনহার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

এস‌ কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ফাইল ছবি

ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) ঋণ জালিয়াতি এবং চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ (এস কে সিনহা) পলাতক ১১ আসা‌মির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জা‌রির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে পরোয়ানা কার্যকরের বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে আগামী ২২ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।

রোববার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এই আদেশ দেন।

এস কে সিনহা ছাড়া মামলার বাকি আসামিরা হলেন- ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।

এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর ১১ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে ফারমার্স ব্যাংকের নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতীর (বাবুল চিশতী) নাম নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে অন্য একটি মামলায় কারাগারে আছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ মানুষ দেখলেই জড়িয়ে ধরছে ভয়ার্ত প্রাণীগুলো

চার্জশিটে ভুয়া ঋণ সৃস্টি করে পে অর্ডারের মাধ্যমে নিজের হিসাবে স্থানান্তর করে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে সিনহাসহ ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে।

উল্লেখ্য, মামলায় ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে গত বছরের সেপ্টম্বর পর্যন্ত সময়ে দুর্নীতির মাধ্যমে ওই পরিমাণ অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগ করা হয়েছে। গত বছরের ১০ জুলাই দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেছিলেন।

আলোচিত সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে তার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার নামে কেনা বাড়িতে অবস্থান করছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় ও কিছু পর্যবেক্ষণের কারণে ক্ষমতাসীনদের তোপের মুখে ২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে ছুটিতে যান সাবেক এই প্রধান বিচারপতি। তিনি একই বছরের ১৩ অক্টেবর অষ্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। অষ্ট্রেলিয়া থেকে সিঙ্গাপুর যান ৬ নভেম্বর। পরে ১০ নভেম্বর সিঙ্গাপুর থেকে কানাডায় যাওয়ার পথে সেখানকার বাংলাদেশ হাইকমিশনে রাষ্ট্রপতি বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন। রাষ্ট্রপতি তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন গত বছরের ১৪ নভেম্বর।

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com 

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve + nine =