কবি আসাদ চৌধুরী : নাগরিক স্মরণসভা, একটি একাত্মবোধের সুতো
-দেলওয়ার এলাহী
এই রকমের প্রাণশক্তিপূর্ণ ও হৃদয় উৎসারিত ঘটনা আরেকবার ঘটেছিল এই শহরে। এক ধ্বনিতে, এক সারিতে, এক লক্ষ্যে মানুষকে এক করেছিলেন ডলি বেগম। ধর্ম, বর্ণ, দলমত ভুলে বাংলাদেশের প্রবাসী মানুষের মুখে একটিই নাম ছিল- ডলি বেগম, ডলি বেগম, ডলি বেগম।
এ বছর অক্টোবরের ৫ তারিখ কানাডার অশোয়া শহরের লে’ক রিজ হাসপাতালে কবি আসাদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর এই শহর স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। দিনের পর দিন শোকে মুহ্যমান ছিল। আসলে কবি আসাদ চৌধুরী নানা কাজের মাধ্যমে মানুষের প্রতি বিশ্বাস, সম্মান, ও ভালোবাসার কথাই বলেছেন। এমন সাবলীল ও নিখাঁদ ছিল এই ভালোবাসা যে, ধর্ম, বর্ণ ভুলে গূণী নির্গূণ যিনিই তাঁর সান্নিধ্যে গিয়েছেন, সবাইকে তিনি নিজের উচ্চতায় কাছে তুলে নিয়েছেন। পাশে বসিয়েছেন। বন্ধুর মতো প্রশ্রয়, সন্তানের মতো স্নেহ, স্বজনের মতো আত্মীয়ের অধিকার দিয়েছেন। নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসা মন্ত্রের দীক্ষাই তিনি জীবনভর চর্চা করেছেন। মহা জীবনের পাত্র খুলে উপুড় করে নানা অলিগলির পথে পথে ছড়িয়ে দিয়েছেন ভালোবাসা।
স্বাভাবিকভাবেই এই শহরের আপামর মানুষ চেয়েছেন কবির স্মরণেও তাদের ভালোবাসার প্রকাশ করতে, শ্রদ্ধা দেখাতে৷ তারই ফলশ্রুতিতে নাগরিক স্মরণসভার আয়োজনে অগণিত মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। অর্থে, মর্মে, কর্মে, শুভকামনায় টরন্টো শহরের সঙ্গে নাগরিক স্মরণসভার এই আয়োজনে টরন্টো শহরের সঙ্গে দূর থেকেও যুক্ত থেকেছেন অগণিত মানুষ। অতঃপর ৫ই নভেম্বর টরন্টোয় নাগরিক স্মরণসভায় পরম শ্রদ্ধা ও গভীর ভালবাসায় সিক্ত হলেন কবি আসাদ চৌধুরী। সেই সাথে নগরীতে রচিত হলো এক ইতিহাস। ঘটনাটি অভূতপূর্ব। এর আগে এরকম ঘটনা ঘটেনি। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালির এমন সম্মিলন কোথাও বড় একটা দেখা যায় না। আমার বিশ্বাস, এই অসম্ভবকে সম্ভব করার কারণে টরন্টোর বাঙালিরা যুগ যুগ ধরে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। কবির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে সমবেত হয়েছিলেন টরন্টোর বাংলাদেশ কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষ। উপস্থিত হয়েছিলেন কবি, লেখক, সংগীত শিল্পী, নৃত্যশিল্পী, চিত্রশিল্পী, নাট্যশিল্পী, বাচিক শিল্পী, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ সহ কমিউনিটির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ। সম্মিলিত একটি আয়োজন, সর্বজনীন একটি উদ্যোগ, সত্যিকারের একটি নাগরিক স্মরণসভা।
নগরীর স্থানীয় সেইন্ট প্যাট্রিক ক্যাথলিক সেকেন্ডারি স্কুলের মিলয়াতনে বিকেল সাড়ে চারটায় নাগরিক স্মরণসভার যুগ্ম সমন্বয়ক আহমেদ হোসেন ও দেলওয়ার এলাহীর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়।
এরপর ফারহানা পল্লবের সঞ্চালনায় এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে প্রয়াত কবিকে শ্রদ্ধা জানানোর পর বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ ও প্রার্থনা করে প্রয়াত কবির আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। এই পর্বে পবিত্র গীতা থেকে শ্যামল ভট্টাচার্য, পবিত্র ত্রিপিটক থেকে অপূর্ব বড়ুয়া, পবিত্র বাইবেল থেকে মৌ হৈমন্তী কোরাইয়া এবং আল কোরান থেকে পাঠ ও প্রার্থনা করেন শমসের আলী হেলাল।
বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ ও প্রার্থনা শেষে নাগরিক স্মরণসভার সূচনা সঙ্গীত পরিবেশন করেন তপন সাইয়েদ, শহীদ খোন্দকার টুকু, নাহিদ কবির কাকলি, মমতাজ মমতা, ফারহানা শান্তা, মৈত্রেয়ী দেবী, শিখা আখতারী আহমাদ ও শফিক আহমেদ। সূচনা সঙ্গীতের পর কবি আসাদ চৌধুরীর দুটি কবিতায় সুরারোপিত গানে অংশগ্রহণ করেন এই শহরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয়মুখ শিল্পীবৃন্দ। সমবেতভাবে কণ্ঠ দিতে এই দুটি গানের জন্য তানজীর আলম রাজীব ও ফারহানা শান্তার পরিচালনায় বিপুল উৎসাহে মহড়ায় অংশগ্রহণ করেন অগণিত শিল্পীবৃন্দ। স্মরণসভায় যখন শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে এই গানটি পরিবেশিত হয়, উপস্থিত শ্রোতাদর্শক বিপুল উদ্দীপনায় তা উপভোগ করেন। কবির লেখা এই দুটি গানে সমবেতভাবে কণ্ঠ দেন সৈয়দা রোখসানা বেগম, সঙ্গীতা মুখার্জি, সুমি বর্মণ, ইলোরা বড়ুয়া, বিন্দু চৌধুরী, অনুশ্রী বড়ুয়া, মুনিরা সুলতানা মিলি, সুমন সাইয়েদ, সুমন মালিক, অরুনা হায়দার, ফরিদা হক, শাহীন মাহবুবুর রহমান, জুলফিয়া আহমেদ ইন্টু, মৈত্রেয়ী দেবী, ইভা নাগ, শ্যামল মাহমুদ, আশরাফুল বারী মঞ্জু, রিফাত নূর শান্তা, মমতাজ মমতা, ফারহানা শান্তা, গৌরি দাস, সাবরিনা সাবরিনা, অর্চনা সাহা, ঝুম্পা চক্রবর্তী, অনন্ত নির্ঝর, তানজীর আলম রাজীব , জাহিদ হোসেন, ফারহানা খান টিনা, শিরিন চৌধুরী, সোহানা আমিন, ফিয়োনা সেরীন, বিদিতা ও নুজহাত। দুটি গানে যন্ত্রবাদনে ছিলেন জাহিদ হোসেন, তানজীর আলম রাজীব ও রনি পালমার।
কবির লেখা গান দুটো পরিবেশনার পর শুরু হয় কবি আসাদ চৌধুরীর লেখা কবিতা আবৃত্তি পর্ব। এ পর্বটি সঞ্চালনা করেন ফ্লোরা শূচি ডি রোজারিও। শুরুতে কবি আসাদ চৌধুরী : তাঁর সময় ও কবিতা নিয়ে আলোচনা করেন কবি তুষার গায়েন।
আলোচনার পর কবি আসাদ চৌধুরীর জনপ্রিয় কবিতা ‘নদীর জলে আগুন ছিল’ আবৃত্তি করেন বাচনিক-এর সদস্যরা। এই কবিতাটির বৃন্দ আবৃত্তির সঙ্গে দলগতভাবে নৃত্যে অংশগ্রহণ করেন সুলতানা হায়দার, অরুনা হায়দার, বিপ্লব কর ও তাপস দেব।
এরপর একে একে একক আবৃত্তি করতে মঞ্চে আসেন- ফারহানা আহমেদ, জ্যাকুলিন ডি রোজারিও, আসমা হক, অনুরাগ আহমেদ, ফ্লোরা নাসরিন ইভা, এলিনা মিতা, সুমন মালিক, মুনিরা সুলতানা মিলি, নাজমা কাজী, আনিসা রশীদ লাকি, রাশেদা মুনীর, শেখর গোমেজ, মেরী রাশেদীন, মেহরাব রহমান ও লিজা গালীব।
কবি জামাতা ও পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা নাদিম ইকবাল কবি জীবনের নানান সময়ের স্থিরচিত্র দিয়ে একটি চিত্রমালা নির্মাণ করে স্মরণসভায় প্রদর্শন করা হয়।
আবৃত্তির পর শুরু হয় কবিকে নিয়ে স্মৃতিচারণ। এ পর্বের সঞ্চালনায় ছিলেন সেলিনা সিদ্দিকী শুশু ও আহমেদ হোসেন। স্মৃতিচারণ করেন নাগরিক স্মরণ সভার সভাপতি কবি দিলারা হাফিজ, ড. তসলিমুর রহমান, নাসির উদদোজা, আমিন মিয়া, এনায়েত করিম বাবুল, কবি পত্নী সাহানা চৌধুরী, নওশের আলী, আসমা আহমেদ, মিনারা বেগম, হিমাদ্রী রয়, মনির জামান রাজু, রেজা অনিরুদ্ধ, ফরিদা রহমান, হাসান মাহমুদ, তাসরিনা শিখা, জাহানারা আখতার, সুমন রহমান, মাহবুব চৌধুরী রনি, নজরুল মিন্টো, মঞ্জুর ই খোদা টরিক, শহিদুল ইসলাম মিন্টু, ফায়েজুল করিম, ইত্তেজা আহমেদ টিপু, সুমন সাইয়েদ, ড. বাদল ঘোষ, গোলাম মোস্তফা, মনির হোসেন বাবু, আশরাফ আলী, ফরিদা হক ও কবি তনয়া নুসরাত জাহান চৌধুরী শাঁওলী প্রমুখ।
সবশেষে কবি পরিবারের সদস্যরা মঞ্চে আসেন। এই সময় পরিবারের সদস্য সাহানা চৌধুরী, আশেক ওয়াহেদ চৌধুরী আসিফ, শারমিন শরিফ, নুসরাত জাহান চৌধুরী শাঁওলী, জারিফ চৌধুরী, নাদিম ইকবাল, অনন্যা চৌধুরী, মিষ্টি ও রায়ান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন শেষে পিতার জন্মদিনে পুত্র আসিফ চৌধুরীর গানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
সমগ্র অনুষ্ঠানটির ভিডিওচিত্র ধারণ করেন রাশেদ শাওন। স্থিরচিত্র ধারণ করেন কামরান করিম। বীর মুক্তিযোদ্ধা, গীতিকার ও শিল্পী তাজুল ইমাম-এর আঁকা চিত্র থেকে ব্যানার ও কবির কবিতার পঙক্তি উৎকীর্ণ করে দৃষ্টিনন্দন পোস্টার ডিজাইন করেন মাসুম রহমান। অগণিত মানুষের অর্থ সহযোগিতার পূঙ্খানুপুঙ্খ হিসাবরক্ষণ করেন মনিস রফিক। কবির মৃত্যুর পর তাঁর স্মরণে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেন – সাপ্তাহিক বাংলা কাগজ ও সাপ্তাহিক বাংলা মেইল।
আপ্যায়ন তদারকিতে ছিলেন নবিউল হক বাবলু, মাহবুব চৌধুরী রনি, আরিয়ান হক, হাজী সেলিম, সাকিল আহমেদ, ঈশাত আরা মেরুনা, বিন্দু চৌধুরী, জগলুল আজিম রানা, মৈত্রেয়ী দেবী, হোসনে আরা জেমী, সায়েদা ফাতেমা, প্রতিমা সরকার, এনায়েত করিম বাবুল প্রমুখ।
অভ্যর্থনায় ছিলেন ফায়েজুল করিম, সুমন সাইয়েদ, নওশের আলী, ফারহানা শান্তা, মেরী রাশেদীন, হোসনে আরা জেমী, ঈশাত আরা মেরুনা, মৈত্রেয়ী দেবী, বিন্দু চৌধুরী, প্রতিমা সরকার, সৈয়দা রোখসানা বেগম, সায়েদা ফাতেমা, মমতাজ মমতা, শিখা আখতারী আহমাদ, মুনিরা সুলতানা মিলি, আসমা হক, অভ্যর্থনায় শারমিন শরিফ প্রমুখ।
অগণিত স্বেচ্ছাসেবক অক্লান্তভাবে নানাভাবে, নানাকাজে স্বতস্ফুর্ত শ্রম দিয়ে অনুষ্ঠানটিকে সফল করতে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছিলেন।
নাগরিক স্মরণসভার সার্বিক সহযোগিতায় টরন্টো ফিল্ম ফোরাম, অভিন্ন আজাদ, অব্যয় আজাদ, হিমাদ্রী রয়, আরিয়ান হক এবং টরন্টো শহরের অগণিত মানুষ।
নাগরিক স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন কবি দিলারা হাফিজ। যুগ্ম সমন্বয় ও গ্রন্থনায় আহমেদ হোসেন ও দেলওয়ার এলাহী।
ফিয়োনা সেরীন, বিদিতা ও নুজহাত। দুটি গানে যন্ত্রবাদনে ছিলেন জাহিদ হোসেন, তানজীর আলম রাজীব ও রনি পালমার।
কবির লেখা গান দুটো পরিবেশনার পর শুরু হয় কবি আসাদ চৌধুরীর লেখা কবিতা আবৃত্তি পর্ব। এ পর্বটি সঞ্চালনা করেন ফ্লোরা শূচি ডি রোজারিও। শুরুতে কবি আসাদ চৌধুরী : তাঁর সময় ও কবিতা নিয়ে আলোচনা করেন কবি তুষার গায়েন।
আলোচনার পর কবি আসাদ চৌধুরীর জনপ্রিয় কবিতা ‘নদীর জলে আগুন ছিল’ আবৃত্তি করেন বাচনিক-এর সদস্যরা। এই কবিতাটির বৃন্দ আবৃত্তির সঙ্গে দলগতভাবে নৃত্যে অংশগ্রহণ করেন সুলতানা হায়দার, অরুনা হায়দার, বিপ্লব কর ও তাপস দেব।
এরপর একে একে একক আবৃত্তি করতে মঞ্চে আসেন- ফারহানা আহমেদ, জ্যাকুলিন ডি রোজারিও, আসমা হক, অনুরাগ আহমেদ, ফ্লোরা নাসরিন ইভা, এলিনা মিতা, সুমন মালিক, মুনিরা সুলতানা মিলি, নাজমা কাজী, আনিসা রশীদ লাকি, রাশেদা মুনীর, শেখর গোমেজ, মেরী রাশেদীন, মেহরাব রহমান ও লিজা গালীব।
কবি জামাতা ও পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা নাদিম ইকবাল কবি জীবনের নানান সময়ের স্থিরচিত্র দিয়ে একটি চিত্রমালা নির্মাণ করে স্মরণসভায় প্রদর্শন করা হয়।
আবৃত্তির পর শুরু হয় কবিকে নিয়ে স্মৃতিচারণ। এ পর্বের সঞ্চালনায় ছিলেন সেলিনা সিদ্দিকী শুশু ও আহমেদ হোসেন। স্মৃতিচারণ করেন নাগরিক স্মরণ সভার সভাপতি কবি দিলারা হাফিজ, ড. তসলিমুর রহমান, নাসির উদদোজা, আমিন মিয়া, এনায়েত করিম বাবুল, কবি পত্নী সাহানা চৌধুরী, নওশের আলী, আসমা আহমেদ, মিনারা বেগম, হিমাদ্রী রয়, মনির জামান রাজু, রেজা অনিরুদ্ধ, ফরিদা রহমান, হাসান মাহমুদ, তাসরিনা শিখা, জাহানারা আখতার, সুমন রহমান, মাহবুব চৌধুরী রনি, নজরুল মিন্টো, মঞ্জুর ই খোদা টরিক, শহিদুল ইসলাম মিন্টু, ফায়েজুল করিম, ইত্তেজা আহমেদ টিপু, সুমন সাইয়েদ, ড. বাদল ঘোষ, গোলাম মোস্তফা, মনির হোসেন বাবু, আশরাফ আলী, ফরিদা হক ও কবি তনয়া নুসরাত জাহান চৌধুরী শাঁওলী প্রমুখ।
সবশেষে কবি পরিবারের সদস্যরা মঞ্চে আসেন। এই সময় পরিবারের সদস্য সাহানা চৌধুরী, আশেক ওয়াহেদ চৌধুরী আসিফ, শারমিন শরিফ, নুসরাত জাহান চৌধুরী শাঁওলী, জারিফ চৌধুরী, নাদিম ইকবাল, অনন্যা চৌধুরী, মিষ্টি ও রায়ান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন শেষে পিতার জন্মদিনে পুত্র আসিফ চৌধুরীর গানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
সমগ্র অনুষ্ঠানটির ভিডিওচিত্র ধারণ করেন রাশেদ শাওন। স্থিরচিত্র ধারণ করেন কামরান করিম। বীর মুক্তিযোদ্ধা, গীতিকার ও শিল্পী তাজুল ইমাম-এর আঁকা চিত্র থেকে ব্যানার ও কবির কবিতার পঙক্তি উৎকীর্ণ করে দৃষ্টিনন্দন পোস্টার ডিজাইন করেন মাসুম রহমান। অগণিত মানুষের অর্থ সহযোগিতার পূঙ্খানুপুঙ্খ হিসাবরক্ষণ করেন মনিস রফিক। কবির মৃত্যুর পর তাঁর স্মরণে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেন – সাপ্তাহিক বাংলা কাগজ ও সাপ্তাহিক বাংলা মেইল।
আপ্যায়ন তদারকিতে ছিলেন নবিউল হক বাবলু, মাহবুব চৌধুরী রনি, আরিয়ান হক, হাজী সেলিম, সাকিল আহমেদ, ঈশাত আরা মেরুনা, বিন্দু চৌধুরী, জগলুল আজিম রানা, মৈত্রেয়ী দেবী, হোসনে আরা জেমী, সায়েদা ফাতেমা, প্রতিমা সরকার, এনায়েত করিম বাবুল প্রমুখ।
অভ্যর্থনায় ছিলেন ফায়েজুল করিম, সুমন সাইয়েদ, নওশের আলী, ফারহানা শান্তা, মেরী রাশেদীন, হোসনে আরা জেমী, ঈশাত আরা মেরুনা, মৈত্রেয়ী দেবী, বিন্দু চৌধুরী, প্রতিমা সরকার, সৈয়দা রোখসানা বেগম, সায়েদা ফাতেমা, মমতাজ মমতা, শিখা আখতারী আহমাদ, মুনিরা সুলতানা মিলি, আসমা হক, অভ্যর্থনায় শারমিন শরিফ প্রমুখ।
অগণিত স্বেচ্ছাসেবক অক্লান্তভাবে নানাভাবে, নানাকাজে স্বতস্ফুর্ত শ্রম দিয়ে অনুষ্ঠানটিকে সফল করতে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছিলেন।
নাগরিক স্মরণসভার সার্বিক সহযোগিতায় টরন্টো ফিল্ম ফোরাম, অভিন্ন আজাদ, অব্যয় আজাদ, হিমাদ্রী রয়, আরিয়ান হক এবং টরন্টো শহরের অগণিত মানুষ।
নাগরিক স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন কবি দিলারা হাফিজ। যুগ্ম সমন্বয় ও গ্রন্থনায় আহমেদ হোসেন ও দেলওয়ার এলাহী।