কমলগঞ্জের পিঠা মেলা অনুষ্ঠিত
আবহমান বাঙালি সংস্কৃতির অনন্য অধ্যায় পিঠা উৎসব। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগরে ১৬ তম পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শমশেরনগর পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে শনিবার ১৪ জানুয়ারি শিংরাউলী ইলেভেন স্টার ক্লাব মাঠে দিনব্যাপী পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ফিতা কেটে প্রধান অতিথি হিসাবে শুভ উদ্বোধন করেন কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল নির্বাচনী এলাকায় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ।
শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান ও পিঠা উৎসবের আহ্বায়ক জুয়েল আহমদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সৈয়দ ইশতিয়াক উদ্দিন বাবেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ম্যানচেষ্টার আওয়ামী লীগের সাবেক সাবেক সভাপতি স্যার এনাম উল ইসলাম ডিবিএ, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন।
উৎসবে প্রায় ১৬০ রকমের পিঠা নিয়ে শীতের পিঠাপুলি, বন্ধু মহল পিঠা ঘর, ঐতিহ্য পিঠা ঘর, রকমারী পিঠাঘর, পিঠার ঝুড়ি, তায়্যািবা পিঠা ঘরসহ মোট ৪০টি ষ্টল বসে।
বাঙালির আদি খাদ্য সংস্কৃতির অংশ পিঠাপুলি। তবে সময়ের পরিক্রমায় নানা ধরণের পিঠা পুলির আয়োজন বিলীন হতে চলেছে। শীতে পিঠা পুলির উৎসব বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত। পিঠা শুধু খাবার হিসেবেই নয় লোকজ ঐতিহ্য ও নারী সমাজের শিল্প নৈপুন্যের এক অনন্য বিস্তৃত পিঠাপুলি। বাঙালির চিরায়ত এই ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলতে শমশেরনগর পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করে। মেলায় সর্বমোট ৫০টি স্টল অংশগ্রহণ করে। বাহারি নমুনার পিঠাপুলি দিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছে প্রতিটি স্টল।
শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান ও পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক জুয়েল আহমদ জানান, প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবকে কেন্দ্র করে পিঠাপুলির নানা আয়োজন গ্রাম বাংলায় জাগ্রত হয়ে উঠবে এমনটাই প্রত্যাশা। রাতে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।