কমলগঞ্জে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ।। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোলের হাওর গ্রামের দরিদ্র কৃষক লুৎফুর মিয়ার ৬ শতক জমি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দখল করে ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন তামিম মিয়া নামে স্থানীয় এক পুলিশ সদস্য ও তার পরিবারের লোকজন এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার (১১মার্চ) “কমলগঞ্জে পুলিশ সদস্য ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অন্যের জমির উপর ঘর নির্মানের অভিযোগ” শিরোনামে ধলাইর ডাক ২৪ ডট কমসহ কয়েকটি অলনাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ১২মার্চ সন্ধ্যায় কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলন করেন অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের পিতা আমিন আলী।
সংবাদ সম্মেলনে আমিন আলীর লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ গোলের হাওর গ্রামের লুৎফুর মিয়া, হেলাল উদ্দিন ভূইয়া, হারুন মিয়াসহ আরো কয়েকজনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জায়গাজমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিলো। তিনি তার নামীয় জায়গাতে রাজমিস্ত্রি দিয়ে গত ১৫ দিন যাবৎ নতুন পাকা ঘর নির্মান করছিলেন। গত মঙ্গলবার ১০মার্চ সকালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র সজ্জিত হয়ে জোর পূর্বক তার বসতঃবাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে তাদের অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করলে আমিন আলী বাধা দিলে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তার নির্মাণকৃত নতুন ঘরের দেয়াল হেমার, হাতুরী, শাবল দিয়ে বাইরাইয়া ভেঙ্গে ফেলে তার প্রায় দেড়লক্ষ টাকা ক্ষতিসাধন করে। এমনকি তার বসত ঘরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাঙ্গচুরসহ সোকেশ এর ড্রয়ারের তালা ভেঙ্গে রক্ষিত একলক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার দিন আমিন আলীর ছেলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগে কর্মরত পুলিশ সদস্য তামিম মিয়া তার কর্মস্থল সিলেটে ছিলো। কিন্তু এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লুৎফুর মিয়া গং তামিম মিয়াকে প্রধান আসামী করে মৌলভীবাজার আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এবং তাদের মামলায় উল্লেখকৃত জায়গার পরিমান সঠিক ছিলো না । আমার ভোগীত জায়গার পরিমাণ ১৫শতক। আমার নতুন নির্মানকৃত ঘরটি আমার ভোগীত জায়গার উপর নির্মান করেছি। তবে আমার ভোগীত জায়গার সাথে আরো কিছু জায়গা আমার দখলে আছে। যা স্যাটেলম্যান্ট রেকর্ড মতে আমি ভোগ করে আসছি। তবে বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিবর্গ অবগত আছেন। বিষয়টি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নানসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিবর্গ একাধিকবার সমাধানের লক্ষ্যে বসলেও তারা বিষয়টির তুয়াক্কা না করে পরে জানাবো বলে সালিশ থেকে উঠে যায়। পরে কাউকে কিছু অবগত না করে মৌলভীবাজার আদালতে আমিন আলী ও তার ছেলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগে কর্মরত পুলিশ সদস্য তামিম মিয়াসহ পরিবারের কয়েকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে লুৎফুর মিয়া গংরা বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। আমীন আলীসহ পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমীন আলী প্রশাসনের সহযোগীতা ও সুবিচার কামনা করেন।