ছবি : প্রতীকী
করোনাভাইরাসের থাবা এবার কলকাতায়! চীন থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ওই নারীর নাম জো হুয়ামিন (২৮)। ৬ মাস আগে ভ্রমণে বেরিয়ে নামিবিয়া, মরিস আস, মাদাগাস্কা হয়ে গত ২৪ জানুয়ারি ভারতে প্রবেশ করেন। এরপরই করোনাভাইরাস সন্দেহে তাকে অ্যাপোলোতে ভর্তি করা হয়। গতকাল রাতে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় বেলেঘাটা হাসপাতালে।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন বিশ্বজুড়ে এক আতঙ্কের নাম। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেবল চীনেই আজ সোমবার পর্যন্ত ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যাও ছাড়িয়েছে তিন হাজার।
এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। বিমানবন্দরগুলোতে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মুম্বইয়ে চীন ফেরত দুজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। চীন থেকে যারা আসছেন দমদম বিমানবন্দরে তাদের থার্মাল স্কিনিং হচ্ছে। যদি কারোর মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের উপসর্গ মেলে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চীনের নাগরিক হলে তাদের ফেরত পাঠানো হবে। ভারতীয় হলে তাদের বেলেঘাটা আইডিতে পাঠানো হবে। বেলেঘাটা আইডিতে বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত বেলেঘাটা আইডি।
চীন থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
চীনের উহান প্রদেশে আটকে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে যারা দেশে ফিরতে চাইবেন তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
ওই পোস্টে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশের নাগরিক যারা চীন থেকে ফিরতে চাইবেন তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করার জন্য।
আমরা চীন সরকারের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছি। কী প্রক্রিয়ায় এটি করা হবে তা বাস্তবতার নিরিখে স্থানীয় প্রশাসনের সম্মতির ভিত্তিতে করা হবে।
আমাদের দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
এই বিষয়ে আজকের দিনের শেষে একটি প্রাথমিক নির্দেশনা জারি করা হবে, যার মূল উদ্দেশ্য থাকবে আগ্রহীদের তালিকা প্রণয়ন।’
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস নামে একটি ভাইরাসের সংক্রমণের কথা নিশ্চিত করা হয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তা দেশের আরও বেশ কিছু অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত চীনে মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। অসুস্থ প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। এর মধ্যে ৩শ’ রোগীর অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম।
চীন ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ ১৩টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। চলমান পরিস্থিতিতে চীনে দেশটিতে বসবাসরত বা ভ্রমণরত বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু রয়েছে। হটলাইনের নম্বর : ৮৬-১৭৮০১১১৬০০৫।