প্রবাসের সংবাদ

করোনাভাইরাসে বিশ্বের দেশে দেশে বাংলাদেশিদের মৃত্যুর মিছিল শুরু

করোনাভাইরাসে ppi

নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় ৫ বাংলাদেশির মৃত্যু ।।করোনায় লন্ডনে প্রাণ হারালেন আরেক বাংলাদেশি, আতঙ্কে অভিবাসীরা ।।মে মাসে ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ হতে পারে ।। যে কারণে আত্মহত্যা করলেন করোনা আক্রান্ত নার্স ।। প্রিন্স চার্লস করোনায় আক্রান্ত ।। করোনাভাইরাসে বিশ্বের দেশে দেশ বাংলাদেশিদের মৃত্যুর মিছিল শুরু

 

তোফাজ্জল লিটন, নিউইয়র্ক থেকে ।। করোনাভাইরাসে বিশ্বের দেশে দেশ বাংলাদেশিদের মৃত্যুর মিছিল শুরু। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কে মঙ্গলবার দুই নারীসহ পাঁচজন মারা গেছেন।

এদের মধ্যে- এলমাস্ট হাসপাতালে ৬০ বছরের আবদুল বাতেন, ৭০ বছরের নূরজাহান বেগম ও ৪২ বছরের এক নারী এবং প্লেইনভিউ হাসপাতালে ৫৯ বছরের এটিএম সালাম।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। নিউইয়র্কে ওই চারজনসহ আট বাংলাদেশি মারা গেছেন করোনাভাইরাসে।

আবদুল বাতেনের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি, তিনি ব্রুকলিনে বসবাস করতেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মৃত ৪২ বছরের নারীর বাড়ি মৌলভীবাজার জেলায়, তিনি এস্টোরিয়ায় বসবাস করতেন।

রংপুরের এটিএম সালাম ছিলেন ওয়েস্টর বে লং ল্যান্ড এলাকায়। ঢাকার মোহাম্মাপুরের নূরজাহান বাস করতেন এলমাস্ট এলাকায়।

মৃতের স্বজনরা আগে এক দিনে লাশ হাতে পেতেন। এখন হাসপাতালগুলোর ব্যাস্তরার জন্য ২ দিন সময় লাগছে।

বোর্ড অব ইলেকশনের সদস্য মাজেদা আক্তার বলেন, মেয়র অফিস থেকে আমাদের জানানো হয়েছে আক্রান্তদের বেশিরভাগই ট্যাক্সিচালক এবং ডেলিভারি কাজে নিয়োজিত কর্মী।

তাদের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছেন। মাজেদা আক্তার আরও বলেন, আমরা যারা বাংলাদেশি কমিউনিটির উন্নয়নের জন্য কাজ করি, তাদের মেয়র অফিসে থেকে জানানো হয়েছে– বাংলাদেশি মানুষের মৃত্যু সংবাদগুলো।

আরও বলা হয়েছে, আমরা বাংলাদেশিদের যেন এই ভাইরাস সম্পর্কে আরও সতর্ক করি। বাইরে অযথা ঘোরাফেরা না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে প্রত্যকেকে।

২৩ মার্চ মারা গেছেন ৩৮ বছরের আমিনা ইন্দ্রালিব তৃশা এবং ৬৯ বছরের মোহাম্মদ ইসমত। আগের সপ্তাহে মারা গেছেন মোতাহের হোসেন ও মোহাম্মদ আলী নামের দুই বাংলাদেশি।

 

করোনাভাইরাসে বিশ্বের দেশে দেশ বাংলাদেশিদের মৃত্যুর মিছিল শুরু ।। করোনায় লন্ডনে প্রাণ হারালেন আরেক বাংলাদেশি, আতঙ্কে অভিবাসীরা

ইতালি, জার্মানি ও স্পেনের পর করোনার থাবায় কাঁপছে যুক্তরাজ্য। বিশেষকরে দেশটির রাজধানী লন্ডনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন অনেকে।

এনএইচএস জানিয়েছে, শুধুমাত্র লন্ডনের নর্থ ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি হেলথ কেয়ারে ২১ জন মারা গেছেন।

এমন ভয়ানক খবরের মধ্যেই জানা গেছে, লন্ডনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও এক বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু ঘটেছে। এ মৃত্যু নিয়ে যুক্তরাজ্যে ৫ জন বাংলাদেশির প্রাণ কেড়ে নিল করোনাভাইরাস।

এমন পরিস্থিতিতে লন্ডনে অভিবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় রয়েল লন্ডন হাসপাতালে খসরু মিয়া নামে এক বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। পূর্ব লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত হোয়াইটচ্যাপল এলাকায় সেইন্সব্যারিসের সামনেই তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটি রয়েছে।

স্থানীয় ও মৃতের স্বজনরা জানিয়েছেন,করোনার ছোবলে মারা যাওয়া খসরু মিয়ার বাংলাদেশের বাড়ি সিলেটের সুনামগঞ্জ জেল্লার জগন্নাথপুর উপজেলার শাহারপাড়া আটঘর গ্রামে।

উল্লেখ্য, সোমবারই করোনায় রয়েল লন্ডন হাসপাতালে হাজি জমসেদ আলী (৮০) নামের একজন বাংলাদেশি মৃত্যু হয়।

তিনি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ছনগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

এর আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ম্যানচেস্টারে বসবাসরত ৬০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশির মৃত্যু ঘটে। তিনি ইতালি থেকে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন ব্রিটেনে।

এরপর করোনার সঙ্গে আটদিন যুদ্ধ করেগত শুক্রবার ভোরে রয়েল লন্ডন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন ৬৬ বছর বয়সী আরেক বাংলাদেশি। তিনি লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসিন্দা ছিলেন।

এরপর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসাবে যুক্তরাজ্যে সফররত অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ মাহমুদুর রহমান (৭০) ।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪২৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মোট আক্রান্তে সংখ্যা ৮ হাজার ৭৭ জন। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৪২ জন। শুধু লন্ডনেই মারা গেছেন ২৭ জন।

 

মে মাসে ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ হতে পারে

ভারতের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। আজ ভারতে করোনা সংক্রমণ যেভাবে ছড়িয়েছে সেই ধারা বজায় থাকলে মে মাসের মাঝামাঝি আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ থেকে ১৩ লাখ পর্যন্ত হতে পারে!‌ দিন দশেক আগের তথ্যের ভিত্তিতে সতর্ক করল আন্তর্জাতিক গবেষক দল।

দিল্লির স্কুল অব ইকনমিক্স, আমেরিকার মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়, জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির নানা শাখার গবেষকদের মিলিয়ে তৈরি হয় কোভ-ইন্ড-১৯ স্টাডি গ্রুপটি। তাদের বক্তব্য, সংক্রমণ মোকাবেলায় অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের ভূমিকা প্রশংসনীয়। প্রথম পর্বে ইতালি ও আমেরিকার ভূমিকা একরকম ছিল। ভারতের তেমন নয়। প্রথম থেকেই আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে জোর দিয়েছে ভারত। কিন্তু সমস্যার জায়গাটা হল, রক্তপরীক্ষার সীমাবদ্ধতা। আসলে যে কতোজন আক্রান্ত, সেই তথ্যটা নেই। সেটাই বিপজ্জনক। অবস্থাটা বদলাতে হলে ভারতকে এদিকে নজর দিতে হবে। কঠোরভাবে সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে হবে।

১৬ মার্চ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে গবেষণাপত্রটি। এর মধ্যে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কড়াকড়ি বেড়েছে, মঙ্গলবার মাঝরাত থেকে সারা দেশেই জারি হয়েছে লকডাউন। ভারতে জনসংখ্যা পিছু চিকিত্‍সা-‌বন্দোবস্তের সীমাবদ্ধতাও তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে। বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য ব্যবহার করে বলা হয়েছে, ভারতে ১০০০ মাথাপিছু হাসপাতালের শয্যার সংখ্যা ০.‌৭, যেখানে আমেরিকায় সংখ্যাটা ২.‌৮, ইতালিতে ৩.‌৪, চীনে ৪.‌২, ফ্রান্সে ৬.‌৫, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১১.‌৫।

সূত্র: আজকাল।‌

 

যে কারণে আত্মহত্যা করলেন করোনা আক্রান্ত নার্স

ডেনিয়েলা ট্রেজি

ডেনিয়েলা ট্রেজি

মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। চীন থেকে শুরু হওয়া এই ভাইরাসে এখন সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে ইতালি। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে মারা গেছেন ৬ হাজার ৮২০ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৭০ হাজার।

এমন পরিস্থিতিতে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ইতালির চিকিৎসক ও নার্সরা। এই কাজ করতে গিয়ে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। মৃত্যুও হয়েছে অনেক ডাক্তার-নার্সের। তবে এবার রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক নার্স অকল্পনীয় কাজ করেছেন।

আজ বুধবার ওই নার্সকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল। দেশটির নার্সিং ফেডারেশনের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার পর সেটি যাতে অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য আত্মহত্যা করেছেন ইতালির ওই নার্স। তার নাম ডেনিয়েলা ট্রেজি (৩৪)।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর সময় থেকে ওই নার্স রোগীদের সেবা দিয়ে আসছিলেন। তিনি ইতালির সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত এলাকা লোম্বার্দি অঞ্চলের একটি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।

 

প্রিন্স চার্লস করোনায় আক্রান্ত

প্রিন্স চার্লস

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে এবার আক্রান্ত হলেন প্রিন্স অব ওয়েলস প্রিন্স চার্লস। তিনি বৃটিশ রাজ পরিবারের জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং বৃটিশ রাজ সিংহাসনের ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকার। ৭১ বছর বয়স্ক এই প্রিন্সের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে ক্লেয়ারেন্স হাউস। তার মুখপাত্র জানিয়েছেন, বর্তমানে তার দেহে করোনা সংক্রমণের কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তবে তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তিনি এখন সেল্ফ আইসোলেশনে রয়েছেন।

রানীর সঙ্গে তিনি সর্বশেষ দেখা করেছিলেন ১২ই মার্চ। এরপর তিনি বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেছেন অনেকের সঙ্গে।

তার করোনা শনাক্তের পর পরীক্ষা করা হয়েছে তার স্ত্রী ডাচেস অব কর্নওয়াল ক্যামিলাকেও। তবে তার পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। প্রিন্স চার্লস বৃটিশ রানী ও তার ৯৮ বছর বয়সী স্বামী প্রিন্স ফিলিপের বড় ছেলে। গবেষকরা বলছেন, কারো বয়স যদি ৭০ বছরের বেশি হয় তাহলে করোনায় তার ঝুঁকি সব থেকে বেশি।

এদিকে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মক্কা, মদিনা ও রিয়াদে কারফিউ ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। এর অনুমোদন দিয়েছেন দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। একইসঙ্গে অন্য অঞ্চলগুলোর বাসিন্দাদের ক্ষেত্রেও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সৌদি আরবে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। এর সংক্রমণ থামাতে ইতিমধ্যে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছে দেশটি। তবে মক্কা ও মদিনার ক্ষেত্রে এই অবরোধ আরো কঠিন করা হয়েছে। কারফিউ জারির এ ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে গণমাধ্যমকর্মী, নিরাপত্তাকর্মী, সেনাবাহিনী ও চিকিৎসকরা এই কারফিউর বাইরে থাকবে। করোনা ভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সৌদি আরবে। এ ছাড়া একইদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে মঙ্গলবার। এদিন ২০৫ জন নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে দেশটিতে। এরপরই নতুন করে অবরোধ কঠিন করার এ ঘোষণা এলো।

বিশ্বজুড়ে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণের হার। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ২০ হাজার মানুষ। মারা গেছেন প্রায় ১৯ হাজার। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর হার। প্রথমে এটি শুধু চীনের মধ্যে সংক্রমিত হলেও এখন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে। ইতিমধ্যে ইতালি ও সেপনে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে চীনের মৃত্যুর সংখ্যাকে। মঙ্গলবারই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দেশে পরিণত হয়েছে সেপন। দেশটিতে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নতুন ৭৩৮ জন মারা গেছেন। সেখানে মহামারিটি ছড়িয়ে পড়ার একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটি। এতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৩৪ জনে। অপরদিকে চীনের মূল ভূখণ্ডে করোনায় মারা গেছেন ৩২৮৪ জন।

করোনা সব থেকে ভয়াবহ আঘাত হেনেছে  ইতালিতে। বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি জর্জরিত দেশ ইতালি। সেখানে ইতিমধ্যে মারা গেছেন ৬ হাজার ৮২০ জন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৭০ হাজার। যে হারে আক্রান্ত বাড়ছে তাতে শিগগিরই চীনকে ছাড়িয়ে যাবে দেশটি। ইতালির পরে মৃতের দিক দিয়ে এখন দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সেপন। ইউরোপের অন্য দেশগুলোর অবস্থাও ভয়াবহ। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র জার্মানিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে মোট ৩৩ হাজার মানুষ। প্রাণ হারিয়েছেন ১৫৯ জন। ফ্রান্সে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে বুধবারে দাঁড়িয়েছে ২২ জনে। সেখানে মারা গেছেন প্রায় ১১০০ জনের বেশি।

ইউরোপের বাইরে বর্তমানে সব থেকে বেশি গুরুতর অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের। সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। মারা গেছেন ১৫৯ জন। এরফলে দেশটিতে মোট আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজারে এবং মোট মারা গেছেন ৭১৩ জন। এ নিয়ে নিউ ইয়র্কে করোনা ভাইরাস বা কভিড-১৯ বুলেট ট্রেনের চেয়েও দ্রুতগতিতে বিস্তার ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের গভর্নর অ্যানড্রু কুমো। এ জন্য দ্রুত মেডিকেল সরঞ্জাম সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু পর্যাপ্ত সাড়া না পেয়ে তিনি ফেডারেল সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন। গভর্নর অ্যানড্রু কুমো সতর্ক করে বলেছেন, সেখানে যেমনটা ধারণা করা হয়েছিল, করোনা সংক্রমণ তারচেয়ে অনেক ভয়াবহ হতে পারে। তাছাড়া এই ভয়াবহতা খুব তাড়াতাড়িই দেখা দিতে পারে বলে তিনি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন।

 

সি/এসএস



 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × two =