চীনের বাতাসে সালফার ডাই অক্সাইড! নির্বিচারে পোড়ানো হচ্ছে মৃতদেহ?
করোনাভাইরাস আতঙ্কে লন্ডনের চায়নাটাউন খালি
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ২৬টি দেশে করোনোভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। করোনাভাইরাসে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।
এদিকে, টুইটারে ‘@inteldotwav’ হ্যান্ডেল থেকে সম্প্রতি একাধিক টুইট করে দাবি করা হয়েছে, windy.com নামক একটি ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, চীনের উহান ও চংকিংয়ের বাতাসে সালফার ডাই অক্সাইডের পরিমাণ মারাত্মক বেশি। চীনের এই দু’টি শহরে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত।
দেশটির বাতাসে সালফার ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য তিনটি সম্ভাবনা উল্লেখ করা হয়েছে। পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে গ্যাস নির্গমন অথবা স্থানীয় প্রশাসনের পশু বর্জ্য ও আবর্জনা পোড়ানো অথবা সবচেয়ে মারাত্মক যে সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে, তা হল এই দুই শহরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষদের নির্বিচারে পুড়িয়ে দেওয়া। উল্লেখ্য, মানবদেহে পোড়ালে সালফার ডাই অক্সাইড নির্গত হয়।
ইতোমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বহুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে টুইটগুলো। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য সান তাদের একটি রিপোর্টে শিরোনাম করেছে, ‘প্রমাণ জ্বালানো হচ্ছে।’ দ্য ডেইলি মেইল শিরোনাম করে, ‘স্যাটেলাইট ইমেজে কি চীনের মানুষ মৃত্যুর হিসাব দিতে পেরেছে? সালফার ডাই অক্সাইড কি উহানের আকাশে বেশি করোনা আক্রান্তদের পোড়ানোর জন্য!’ আরও অনেক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমই এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
এদিকে, চীনের বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, টুইটারে ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। এ নিয়ে ‘Reports on gas density refuted’ এর ওপর একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চীন।
সেখানে মানুষ পোড়ানোর বিষয়টিকে অগ্রহণযোগ্য বলে দাবি করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘সত্যের অপলাপ করা হচ্ছে।’ Windy.com-এর সেই তথ্যকেও মিথ্যা বলে দাবি করা হয়েছে।
তবে এ কথা ঠিক যে, চীনের করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪৮৩ জনের। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ। কিন্তু করোনা তথ্য লুকোতে নির্বিচারে মানুষকে পুড়িয়ে ফেলার নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। সূত্র: এইসময়।
করোনাভাইরাস আতঙ্কে লন্ডনের চায়নাটাউন খালি
চীনের প্রাণঘাতী করোনোভাইরাস প্রায় ২৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এদিকে, করোনাভাইরাসে এক রোগী শনাক্ত হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ব্যস্ততম শহর চায়নাটাউন বলতে গেলে খালি হয়ে গেছে।
বুধবার চীন থেকে লন্ডনে ফেরা এক নারী করোনায় আক্রান্ত হয়। এরপর পথে বের হওয়া থেকে বিরত রয়েছেন পর্যটক ও বাসিন্দারা। ফলে লন্ডনের ব্যস্ততম এই শহরটি এখন পথচারী-শূন্য।
যুক্তরাজ্যে এ পর্যন্ত নয়জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। লন্ডনে এই প্রথম কোনো ব্যক্তি করোনায় আক্রান্তের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে চীনা-অধ্যুষিত চায়নাটাউন এখন পথচারী-শূন্য।
চীনা নাগরিক পরিচালিত শপিং মলগুলো পর্যটকশূন্য দেখা গেছে। ফুটপাথে লোকজনের দেখা নেই বললেই চলে। রেস্তোরাঁ, দোকান-পাটের বেঞ্চগুলো খালি পড়ে আছে। অথচ অন্য সময় সেন্ট্রাল লন্ডনের এই শহরটিতে পর্যটক ও স্থানীয়দের ভীড় লেগেই থাকে।
চীনে এ ভাইরাসে আক্রান্ত এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪৮৩ জনের। এছাড়াও আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ। যে কারণে জনগণের মধ্যে উৎকণ্ঠা বেড়েছে।
আরও পড়ুনঃ