কানাডার ক্যালগেরির সিলভার স্প্রিংস কমিউনিটি এসোসিয়েশান মিলনায়তনে ‘ক্যালগেরী বঙ্গীয় পরিষদ’ এর আয়োজনে বাঙালি সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা উদযাপিত হয়েছে।
সারাদিনব্যপী অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল গণপতি পূজা, এরপর গণেশবন্দনার পর প্রসাদ বিতরণ। দ্বিতীয় পর্বে বিকেলে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খাবারমেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় বাংলা সংস্কৃতির হরেক রকমের খাবার ও বিভিন্ন ধরনের স্টলে ছিল বাহারি রকমের শাড়ি।
মেলায় কোমলমতি শিশু-কিশোর ও প্রবাসী বাঙ্গালীরা নানা রঙে সেজে স্বাগত জানায় নতুন বছরকে। প্রবাসীদের আয়োজন যেন গ্রাাম-গঞ্জের ঘাটে, মাঠে, বয়সী বটের তলায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের সেই দিনগুলোর কথাই যেন মনে করিয়ে দেয়।বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্তি হয়।
দীর্ঘ দুই বছর করোনা বিরতির পর প্রবাসীরা যেন নতুন করে জেগে উঠেছিল। গ্রাম বাংলার মতোই তারা নতুন পোশাকে সজ্জিত হয়ে আনন্দে মিলিত হয়েছে একে অপরের সান্নিধ্যে। বিনিময় করছেন কুশলাদি। পরিবার-পরিজনের শিশু-কিশোরদের পদচারণায় মুহূর্তেই সিলভার স্প্রিংস কমিউনিটি এসোসিয়েশান মিলনায়তন পরিনত হয়েছিল একখণ্ড বাংলাদেশে।
উল্লেখ্য বিবিধের মাঝে মহামিলনের দেশ কানাডার ক্যালগেরী শহরে ১৯৭৮ সালে অমুনাফাভোগী চ্যারিটেবল প্রতিষ্ঠান রূপে নিবন্ধিত ‘ক্যালগেরী বঙ্গীয় পরিষদ’ কমিউনিটি উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি প্রতিবছর বাংলা বর্ষবরণ, রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী, শারদোৎসব প্রমুখ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে।
সাম্প্রতিক বিশ্বব্যাপী অতিমারি করোনার প্রকোপে দু’বছরের বেশী সময় সমস্ত কার্যক্রম সীমিত থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘বর্ষবরণ’ আয়োজন ক্যালগেরীর বাঙালি সমাজে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি করেছে।
বঙ্গীয় পরিষদের সভাপতি জয়দীপ স্যন্যাল জানান, যা কিছু দেহমনকে কলুষিত করে তাই আ-বর্জনা। জীর্ণ পুরাতন আবর্জনা ঝেরে ফেলে নূতন ভবিষ্যতের পত্যয় নিয়ে আমরা বৈশাখী মেলায় আবহমান বাংলা কে তুলে ধরেছি। পরিবার পরিজন নিয়ে সবাই আমরা আবার দীর্ঘ দুই বছর পর নতুন করে মিলিত হতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।এই আনন্দ সবার মাঝে উৎসারিত হোক, মঙ্গলময় হয়ে উঠুক পুরো বিশ্ব এটাই আমাদের প্রত্যাশা।