যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রেই সীমানা থাকে। আবার অনেক সম্পর্ক হয় টক্সিক। কিছু সম্পর্কে আপনাকে করা হয় ব্যবহার। এ ধরনের সম্পর্ক কিভাবে বুঝবেন? অনেকেই বোঝেন না। দিনের পর দিন টেনে যান। এ ধরনের সম্পর্ক এড়াতে বা বুঝতে কয়েকটি বিষয় আগে খেয়াল করুন:
আপনার সঙ্গে ঠিক কখন যোগাযোগ করে
তখনই আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করে যখন আসলে প্রয়োজন হয়। আপনার সঙ্গে যোগাযোগ, দেখা-সাক্ষাৎ তেমন জরুরি কিছু তারা ভাবে না। যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রাখাটাও খুব গুরুত্ববহ। কেউ যদি বারবার শুধু তার সুবিধামতোই যোগাযোগের নকশা এঁকে নেয় এবং আপনার প্রয়োজনের সময় আর তাকে পাওয়া যায় না তাহলে সে সম্পর্কের মানে নেই।
না বলার সুযোগ নেই
কিছু সম্পর্কে আপনি আর না বলতে পারেন না। সম্পর্কটা মিষ্টি লাগে। কিন্তু কিছু সম্পর্কে অনেক সময় যৌক্তিক বিষয়েও না বা সমালোচনার অবকাশ থাকে না। এভাবে অধিকার হয় খর্বিত। কারণ এ ধরনের মানুষ ভাবে তারা যখন কিছু চায়, তখন ধরেই নেয় অপর পক্ষ থেকে ইতিবাচক উত্তর আসবে। একটা সময় তারা নিজেদেরকে এতটাই অভ্যস্ত করে ফেলে এ বিষয়ে যে, যৌক্তিক কোনো পরিস্থিতিতেও ‘না’ শুনতে পারাটা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। এর ফল ভালো হয় না।
কথা দিয়ে কথা না রাখা
কথা দিয়ে না রেখে তাকে স্বাভাবিক ভাবে। এমন মানুষও আছে। এমন মানুষদের এড়িয়ে চলাই ভালো। আপনার কাছে তাদের দেওয়া কথার আসলে কোনো মূল্য নেই।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশের বালাই নেই
এ ধরনের একতরফা সম্পর্কে বেশিরভাগ সময় এক পক্ষ ঝামেলায় পড়ে, অন্য পক্ষ এগিয়ে আসে সাহায্য করতে; এক পক্ষের সমস্যার সমাধানে অপর পক্ষকে সদা সতর্ক থাকতে হয়। কিন্তু এতকিছুর পরও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মতো মৌলিক অনুভূতিও আশা করা যায় না তাদের কাছ থেকে। একটা সময় মনে হয়, এসব তো আপনার দায়িত্বই, তাই শুধু পালন করে যাচ্ছেন। কিন্তু সবসময় একতরফা দায়িত্বই কী সব?
নিজের গুরুত্বটাই বেশি
সম্পর্ককে যারা একতরফা প্রয়োজন মেটানোর উৎস হিসেবেই দেখে যান, তাদের কাছে অপর পক্ষের চাওয়া-পাওয়া, প্রয়োজন-প্রত্যাশা কিছুই গুরুত্ব পায় না। তাদের গল্পে আমরা শব্দটা কখনো সত্যিকার অর্থে স্থান পায় না, থাকে শুধু আমি, আমি এবং আমি। তাই নার্সিসিস্টিক পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যদেরকে ক্রমশ ব্যবহার করে যাওয়ার বেশ ভালোরকম প্রবণতা দেখা যায়। তখন আপনাকে স্রেফ ব্যবহার করা হয়।
সূত্র: মানবজমিন