গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ হাজার ৪৮০ জন করোনা আক্রান্ত কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট কোভিড রোগী ‘র সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৮৬ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৫০২ জনে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ১ হাজার ৬৭৬ জন করোনা রোগী। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৬ হাজার ২৮৭টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৫৫টি।
সোমবার (২২ জুন) দুপুরে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড আছে ৫৩ জনের। সে তথ্য জানানো হয় ১৬ জুনের বুলেটিনে। আর সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড আছে ৪ হাজার ৮ জনের। এ তথ্য জানানো হয় ১৭ জুনের বুলেটিনে।
বুলেটিনে বরাবরের মতো করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান ডা. নাসিমা।
এদিকে পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী নোভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ লাখ ৫০ হাজার ৬৮৬ জন। আর এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজার ৭৯২ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৮ লাখ ৪১ হাজার ৯২৫ জন। সোমবার (২২ জুন) সকাল পর্যন্ত করোনার সার্বক্ষণিক পরিসংখ্যান প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সবশেষ হিসাবে এই তথ্য জানা গেছে।
আক্রান্ত ও মৃত্যু উভয় সংখ্যার দিক থেকেই বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৩ লাখ ৫৬ হাজার ৬৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ২৪৭ জনের।
আক্রান্ত ও মৃতের হিসাবে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছে ব্রাজিল। দেশটিতে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৫০ হাজার ৬৫৯ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছে ১০ লাখ ৮৬ হাজার ৯৯০ জন।
আক্রান্ত বিবেচনায় তৃতীয় ও চতুর্থস্থানে রয়েছে যথাক্রমে রাশিয়া ও ভারত। এখন পর্যন্ত রাশিয়াতে মোট আক্রান্ত ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৮০ জন। আর ভারতে মোট আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৬১০ জন।
মৃতের হিসেবে তৃতীয় স্থানে এবং আক্রান্ত বিবেচনায় বিশ্বে ৫ম ও ইউরোপের শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪২ হাজার ৬৩২ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৪ হাজার ৩৩১ জন।
এছাড়া ইতালিতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৩৪ হাজার ৬৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আর মোট আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৯৯ জন।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। ছুটি শেষে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
সূত্রঃ সময় টিভি নিউজ
বাঅ/এমএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন