খালি পায়ে ঘাসে হাঁটার উপকারিতা!
খালি পায়ে ঘাসের ওপর দিয়ে হাঁটলে দেহের উপকার হয় এবং শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে। প্রতিদিন সকালে কিছুক্ষণ খালি পায়ে হাঁটতে পারেন ঘাসে।
গবেষণা বলছে, সুস্থ থাকার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রয়েছে এই প্রক্রিয়ার। সিমেন্টের ওপর হাঁটার বদলে মাটি ও ঘাসের ওপর হাঁটা আমাদের মনকে প্রশান্ত করতে পারে। জেনে নিন ঘাসের ওপর হাঁটার সুফলগুলো:
মাটিতে পাওয়া শক্তিশালী জীবাণু প্রাকৃতিকভাবে অনাক্রম্যতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। জীবাণুগুলো ত্বকের মাধ্যমে আমাদের নখের নীচ থেকে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং আমাদের অন্ত্রের মাইক্রোফ্লোরাতে ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্য করে। এতে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
ঘাসের ওপর দিয়ে খালি পায়ে হাঁটলে চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়া চোখের স্বাস্থ্যের জন্য সবুজ রং খুব উপকারী। তাই চোখের সুস্থতার জন্য প্রতিদিন সকালে ঘাসের ওপর দিয়ে হাঁটা উচিত।
খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটলে এনডরফিন হরমোন ক্ষরণের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এই হরমোনটি ‘হ্যাপি’ হরমোন নামে পরিচিত। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে এই হরমোন থাকলে মনমেজাজ ফুরফুরে থাকে।
পায়ের জন্য খুব ভালো ব্যায়াম হচ্ছে খালি পায়ে হাঁটা। এরফলে পায়ে শক্তি বৃদ্ধি পায়, পেশী মজবুত হয়, পায়ের রগ ও লিগামেন্টস, পায়ের গোড়ালি এবং পায়ের পাতায় শক্তি বৃদ্ধি পায়। খালি পায়ে ঘাসে হাঁটলে কোনো কোনো আঘাত নিরাময় হয়, হাঁটুর সমস্যা ভালো হয়, পিঠের সমস্যাও ভালো হয়ে যায়।
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত খালি পায়ে হাঁটাহাঁটি শুরু করা উচিত বলে জানিয়েছেন রোগ বিশেষজ্ঞরা। এতে বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
ভোরবেলা খালি পায়ে ঘাসের উপর দিয়ে হাঁটলে মন খুব শান্ত থাকে । সকালে হাঁটার মাধ্যমে আমরা ফ্রেশ অক্সিজেন গ্রহণ করি। সকালের শান্ত পরিবেশ আমাদের মন ভালো রাখে।
খালি পায়ে ঘাসে হাঁটার আরেকটি বড় উপকারিতা হলো, খালি পায়ে ঘাসের ওপর দিয়ে হাঁটলে সূর্যের রশ্মি আমাদের দেহে ভিটামিন ডি যোগায়, ভিটামিন ডি আমাদের দেহের হাড় মজবুত করে এবং হাড়ের যে কোন সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে। তাই সুস্থ থাকতে সকালের অথবা বিকেলের মৃদু রোদে খালি পায়ে ঘাসের ওপর দিয়ে হাঁটা সকলের উচিত।
সূত্র: ইত্তেফাক