ফিচার্ড বিনোদন

চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে সংগীতের জাতীয় উৎসব

সংগীতের-জাতীয়-উৎসব
চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে সংগীতের জাতীয় উৎসব

চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে সংগীতের জাতীয় উৎসব

চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে সংগীতের জাতীয় উৎসব ও সম্মেলন-২২ আজ শুক্রবার চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে। চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতীয় এই উৎসবের আয়োজন করেছে সংগীত ঐক্য বাংলাদেশ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ‘সংগীতের সখ্যে অভিন্ন লক্ষ্যে’ স্লোগানে সংগীত ঐক্য বাংলাদেশ দেশব্যাপী এক মাসের এই উৎসবের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা গীতিকবি, সুরকার কণ্ঠশিল্পী, মিউজিশিয়ানদের ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে। ছড়িয়ে থাকা সবাইকে একটি প্ল্যাটফরমে এনে তাদের প্রত্যেকের সামাজিক নিরাপত্তা, সম্মান, কাজের রয়ালটি নিশ্চিত করা ও আর্থিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাসহ সংগীতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষায় ১৭টি দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে।

এই ১৭ দফা দাবি সারা দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য এই উৎসবের আয়োজন। যা চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা শুরু করছে। দুই বছর আগে থেকে কাজ শুরু করেও করোনা অতিমারির কারণে কাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। তার পরও চট্টগ্রামের পর সিলেট, বরিশাল ও ১৬ জুলাই ঢাকায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ বছরের উৎসব ও সম্মেলন শেষ হবে। গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশ, মিউজিক কম্পোজার্স সোসাইটি বাংলাদেশ ও সিংগার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ, সংগীতবিষয়ক এই তিনটি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে সংগীত ঐক্য বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই উৎসব উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন সংগীত ঐক্য বাংলাদেশের মহাসচিব ও গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশের সভাপতি শহীদ মাহমুদ জঙ্গী, সংগীত ঐক্য বাংলাদেশের দ্বিতীয় মহাসচিব ও মিউজিক কম্পোজার্স সোসাইটির সভাপতি কণ্ঠশিল্পী নকিব খান প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে সংগীত ঐক্য বাংলাদেশের ১৭ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন কণ্ঠশিল্পী বাপ্পা মজুমদার। বক্তব্য দেন গীতিকবি আসিফ ইকবাল, কণ্ঠশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। উপস্থিত ছিলেন গীতিকবি কবির বকুল, জুলফিকার রাসেল, জয় শাহরিয়ার প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই বছর আগে থেকেই কাজ শুরু করেও করোনা অতিমারির কারণে কাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। তার পরও চট্টগ্রামের পর সিলেট, বরিশাল এবং ১৬ জুলাই ঢাকায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ বছরের উৎসব ও সম্মেলন শেষ করা হবে। প্রতিবছর এই উৎসব আয়োজন করা হবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে সংগীতে বিশেষ অবদান বিবেচনায় তিন সংগঠনের সুপারিশে প্রতিবছর মিউজিক্যালি ইম্পর্ট্যান্ট পারসন (এমআইপি) ঘোষণা ও প্রচলনের মাধ্যমে ভিআইপি মর্যাদা প্রদান, সরকারি-বেসরকারি বেতার-টেলিভিশিনে গীতিকবি, সুরকার, কণ্ঠশিল্পীদের সম্মানী বৃদ্ধি, সংগীতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য আবাসন প্রকল্প গ্রহণ, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিবছর সংগীতের সকল শাখায় গুণী ব্যক্তিদের সম্মাননা জানানো ও জাতীয় পদক/পুরস্কার প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়েছে। সংগীতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষায় এ ধরনের ১৭টি সুপারিশ করা হয়েছে।

এফআই/বিডি

 


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ   https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান

 

সংবাদটি শেয়ার করুন