কানাডার সংবাদ

চার খুনের দায়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মিনহাজের যাবজ্জীবন

চার খুনের দায়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মিনহাজের যাবজ্জীবন বাবা মাসহ পরিবারের চার সদস্যকে গলা কেটে হত্যা করার দায়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুন
গত বছরের ২৮ জুলাই মারখামের একটি বাড়ীতে মিনহাজ তার বাবা মনিরুজ্জামান মা মমতাজ বেগম বোন মেলিসা জামান এবং  বাংলাদেশ থেকে বেড়াতে আসা নানী ফিরোজা বেগমকে গলা কেটে খুন করে

মারখাম  ট্টাজেডিঃ চার খুনের দায়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মিনহাজের যাবজ্জীবন

বাবা মাসহ পরিবারের চার সদস্যকে গলা কেটে হত্যা করার দায়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুন মিনহাজ জামানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে অন্টারিওর একটি আদালত। একই সঙ্গে আগামী ৪০ বছর তার প্যারোল রহিত করেছে।

শুক্রবার নিউমার্কেটের  সুপিরিয়র কোর্ট জাস্টিন মিশেল ফুয়ের্সট এই রায় ঘোষনা করেন। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে কানাডার  ইতিহাসে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক হত্যাকান্ড। নিজের একমাত্র ছেলের হাতে নিহত হন বাব, মা, বোন ও নানীসহ চার আপনজন । কানাডার সকল মিডিয়ায় ব্রেকিং নিউজ হিসেবে প্রচারিত  হতে থাকে। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন কমিউনিটির মানুষ। পুলিশের ভাষ্যমতে কানাডার ইতিহাসে এই প্রথম একই পরিবারের চার জনের নিমর্ম হত্যাকান্ডের ঘটনা, তাও আবার নিজের ছেলের হাতে।

লিন্ডসে অন্টারিওর একটি কারেকশন সেন্টারে অবস্থানরত মিনহাজ ভিডিওর মাধ্যমে রায় শোনে। রায় ঘোষণার সময় সে নির্বিকার ছিলো এবং কোনো প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেনি বলে কানাডীয়ান মিডিয়া উল্লেখ করেছে।

গত বছরের ২৮ জুলাই মারখামের একটি বাড়ীতে মিনহাজ তার বাবা মনিরুজ্জামান মা মমতাজ বেগম বোন মেলিসা জামান এবং  বাংলাদেশ থেকে বেড়াতে আসা নানী ফিরোজা বেগমকে গলা কেটে খুন করে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর আদালতে সে খুন করার  দায় স্বীকার করে।

আপনজনদের সুপরিকল্পিত ভাবে হত্যার পর হত্যাকারী মিনহাজ জামান ছিল নির্বিকার। হত্যার পর নিহতদের রক্ত মাখা ছবি তার গেমিং প্লেয়ার বন্ধু দের কাছে  পাঠান। সেই সূত্র ধরে হত্যার একদিন পরে মারখামের বাসায় পুলিশ  খুঁজে পায় চারজনের নিথর দেহ। এরেষ্ট করা হয় মিনহাজকে। স্কারবোরোর নাগেট  মসজিদে চার জনের নামজের জানাজা শেষে রিচমন্ড হিল কবরস্হানে পাশাপাশি  কবরস্হ করা হয়। সেদিনের এই অপ্রত্যশিত, অভাবনীয়, অকল্পনীয় এবং অচিন্তনীয় ঘটনায় পুরো কানাডা প্রবাসীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।

শুক্রবার রায় ঘোষনা করতে গিয়ে বিচারক বলেন, গলা কেটে একজন মানুষের প্রাণ কেড়েন নেয়ার মতো নিষ্ঠুরতম আর কোনো কাজ হতে পারে না। মিনহাজ  জামান কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে চার চারবার এই নৃশংসতম কাজটি করেছে।

সাবাইকে সুপরিকল্পিত ভাবে হত্যার কারন হিসেবে জানান যে তিনি টরন্টোর একটি বিশ্ববিদ্যাল্য়ে ইন্জিনিয়ারিং বিষয়ে ভর্তি হন। পরবর্তী সময়ে তিনি ৪ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে না গিয়ে প্রতিদিন ক্লাসের সময় বাইরে গেম, জিমসহ ঘুরে ঘুরে সময় মত বাসায় ফিরতেন। আর বাসার সবাই জানতো সে নিয়মিত বিশববিদ্যাল্য়ে যাচ্ছে। তার গ্রাজুয়েশন তারিখটা ছিল জুলাই মাসেই। তিনি বিচারককে জানান যে তার মা বাবা সহ পরিবারের  সবাই  লজ্জিত হবেন বলেই তিনি সবাইকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন এবং পরিবারের সবাইকে হত্যা করেন ।

বিচারকের দেয়া রায়ে মিনহাজকে যাবত জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। একই সাথে রায় ঘোষনার পরবর্তী ৪০ বছরের মধ্যে মিনহাজ প্যারোলে জামিন নিতে পারবে না বলে জানান। মিনহাজ জামান যখন প্যারোলে কারাগারের বাইরে আসার সুযোগ পাবে তখন তার বয়স হবে ৬৪ বছর।

তথ্যসূত্রঃ  The Star, টরন্টোর বিভিন্ন মিডিয়া

এসএস/সিএ

সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন