প্রবাসের সংবাদ ফিচার্ড

দক্ষিণ কোরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় কুমিল্লার দুই শিক্ষার্থী আইসিইউতে, ৮ দিনেও জ্ঞান ফেরেনি

দক্ষিণ কোরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় কুমিল্লার দুই শিক্ষার্থী আইসিইউতে, ৮ দিনেও জ্ঞান ফেরেনি

দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে আইসিইউতে দিন কাটাচ্ছেন কুমিল্লার দুই শিক্ষার্থী রাজিদ আয়মান (২০) ও হাসিবুল হাসান চৌধুরী (২১)। দুর্ঘটনার আটদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও জ্ঞান ফেরেনি তাদের। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন, যিনি স্কুটি চালাচ্ছিলেন।

গত ২৭ আগস্ট রাতে দক্ষিণ কোরিয়ার ওনজু শহরে একটি স্কুটি দুর্ঘটনায় এ ঘটনা ঘটে। স্কুটিতে থাকা তিনজনই ছিটকে পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হন। বর্তমানে তারা সবাই আইসিইউতে আছেন, অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

আহত রাজিদ আয়মান কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌরসভার ফতেহাবাদ গ্রামের বাসিন্দা এবং হাসিবুল হাসান চৌধুরী একই উপজেলার ধামতী গ্রামের ছেলে। তারা দুজনেই বন্ধু এবং কিউংডং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ বিভাগে অধ্যয়নরত ছিলেন। ২০২৪ সালের শুরুতে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন তারা।

দুর্ঘটনার দিন রাতে একটি বাজার থেকে ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই শিহাব স্কুটিতে করে তাদের বাসায় পৌঁছে দিচ্ছিলেন। পথে একটি স্পিডব্রেকারে স্কুটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় ছিটকে পড়ে যান তিনজনই। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

আহতদের মধ্যে স্কুটি চালক শিহাবের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় হলেও তার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।

রাজিদের বাবা, স্কুল শিক্ষক নান্নু মিয়া বলেন,

“ছোটবেলা থেকেই ছেলের স্বপ্ন ছিল বিদেশে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার। অনেক কষ্টে তাকে পাঠিয়েছি। এখন সে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। সবার কাছে দোয়া চাই, আমার ছেলে যেন ফিরে আসে।”

হাসিবুলের বাবা ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন,

“চিকিৎসার খরচ এত বেশি যে পরিবার নিয়ে পথে বসার অবস্থা হয়েছে। তবুও যদি ছেলে সুস্থ হয়ে উঠত, তাতে কোনো দুঃখ থাকত না। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।”

অত্যন্ত ব্যয়বহুল চিকিৎসা, অজানা ভবিষ্যৎ এবং সন্তানের বেঁচে থাকার অনিশ্চয়তায় দুই পরিবারই গভীর শোক ও দুশ্চিন্তায় দিন পার করছে।

সূত্রঃ ইত্তেফাক
সংবাদটি শেয়ার করুন