নববর্ষের অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে এবার!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কভিড-১৯ করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে যোগাযোগ ঠিক রেখে আমাদের সাধারণ ছুটি বাড়াতে হতে পারে। আমাদের হয়তো কয়েকদিন ছুটি বাড়াতে হতে পারে। হয়তো ছুটি ৯ তারিখ (এপ্রিল) পর্যন্ত বাড়াতে হতে পারে। করোনা ভাইরাসের কারণে সরকার মুজিববর্ষসহ সব কর্মসূচি স্থগিত করেছে। যাতে মানুষ সমাগম কম হয় তার জন্য এটা করা হয়েছে। এবার নববর্ষের অনুষ্ঠান ও বন্ধ থাকবে।
আজ মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, করোনায় কর্মহীনদের তালিকা তৈরি করে ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ করতে হবে। এই কাজে কোনও ধরনের দুর্নীতি অনিয়ম সহ্য করা হবে না। সহযোগিতা যেন সবাই সমানভাবে পায় তা দেখতে হবে। কেউ যেন বারবার না পায়, কেউ যেন বঞ্চিত না হয়, সেটা দেখতে হবে।
‘সচেনতনতা তৈরি করতে পেরেছি বলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’
দেশের প্রত্যেক নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থানের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করে সচেতন থাকুন। কারণ নিজের ভালো নিজেকেই বুঝতে হবে। আমরা সচেতনতা সৃষ্টি করতে পেরেছি বলেই আজ করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি।
তিনি বলেন, জীবন থেমে থাকবে না। আমাদেরকে চলতে হবে। জীবনের প্রয়োজনে আমাদের বের হতে হবে। তবে খুব সাবধানে চলাফেরা করতে হবে। আমরা জনগণের কথা চিন্তা করে ওষুধ, কাঁচাবাজার, বিদ্যুৎ, পানিসহ জরুরি যে সমস্ত জিনিস প্রয়োজন তা সীমিতভাবে খোলা রেখেছি।
জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করুন। জনগণ আপনাদের ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন। তাদের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব আপনাদের। করোনাভাইরাস রোধ প্রসঙ্গে যে সমস্ত নির্দেশনাগুলো দেওয়া আছে সেসব নির্দেশনাগুলো কড়ায়-গন্ডায় মেনে চলবেন। সেসব নির্দেশনাগুলো ভালোভাবে পালন করবেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। সারাদেশে রাস্তাঘাট শূন্য এই সময় এর সুযোগ নিয়ে অন্য কেউ যেন কোনো অকারেন্স ঘটনা ঘটাতে না পারে। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের অত্যন্ত কষ্ট হচ্ছে। দরিদ্র শ্রমিক শ্রেণি থেকে শুরু করে প্রতিবন্ধীসহ তারা যে কাজ করে খেত তা বন্ধ হয়ে গেছে।
‘অহেতুক পিপিই পরবেন না’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কভিড-১৯ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অহেতুক ব্যক্তিগত সুরক্ষা সুরঞ্জাম (পিপিই) পরবেন না, যারা সেবা দিবেন তারাই পরবেন। এছাড়া শুধু মাস্ক পরলেই যথেষ্ট। এসময় তিনি নিয়মিত হাত ধোয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৪৯ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯ জন।
সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন
বাঅ/এমএ