নিউইয়র্কে করোনায় আরও দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কে বৃহস্পতিবার দুপুরে জ্যামাইকা হাসপাতালে মারা গেছেন রহিমা সরকার (৫৫) নামে এক প্রবাসী। হাসপাতালের বরাত দিয়ে স্বজনরা এ সংবাদ নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ৩০ মে শনিবার মারা গেছেন কাজী জিয়াউদ্দিন (৭২) নামে আরেক বাংলাদেশি। তিনি স্ট্যাটেন আইল্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় প্রাণ কেড়ে নিল ২৩৩ বাংলাদেশি।
এদিকে, নিউইয়র্কে বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির সেক্রেটারি জাহিদ মিন্টু জানান, করোনায় মারা যাওয়া প্রবাসীর মধ্যে তারা মোট ৩৮ জনের দাফনের ব্যবস্থা করেছেন। এরমধ্যে ২৬ জন ছিলেন নোয়াখালী অঞ্চলের প্রবাসী। অন্যরা বিভিন্ন জেলার ছিলেন। গত রমজানে করোনায় বন্দি অসহায় প্রবাসীদের মধ্যেও এই সোসাইটির পক্ষ থেকে বিপুল পরিমাণের খাদ্য-সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন জাহিদ মিন্টু।
করোনার প্রকোপ কিছুটা কমলেও পুলিশের হাটু চাপায় কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড নিহত হবার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপী চলমান বিক্ষোভ-সমাবেশের মধ্যদিয়ে পুনরায় তা ব্যাপক আকার ধারণ করবে বলে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন।
সর্বশেষ নিউইয়র্ক স্টেটের গভর্নর এ্যান্ড্রু ক্যুমো বৃহস্পতিবার প্রেস ব্রিফিংকালে বলেছেন, সর্বোচ্চ ১০ জন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে একটি স্থানে জড়ো হবার বিধি উপেক্ষা করে হাজারো আমেরিকান রাস্তায় নেমেছেন। তারা মাস্ক পরলেও শরীরের সাথে শরীর স্পর্শ করছে অনেক ক্ষেত্রে। এভাবে পুনরায় সংক্রমণের শঙ্কা রয়েছে। তাই বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী প্রতেকের উচিত হবে দ্রুত করোনা টেস্ট নেয়া।
গভর্নর জানান, নিউইয়র্কে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বুধবারও ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। আর সারা আমেরিকায় সেদিন মারা গেছেন (জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী) এক হাজারের কিছু বেশি।
সি/এসএস
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন