যখন আঘাতে,যন্ত্রণায় শেষ হই
ঠিক তখনই চলে যাই
নৈশব্দ্যের কাছে ।
বিন্দু বিন্দু নৈশব্দ্যের সমুদ্র,পাহাড়ে
প্রাচীন ঋষির মতই নিঃসঙ্গ হয়ে
ঘন তমসাকন্দরে বসে
নিজেকে জানবো একা থেকে
মৃত্যু পেরিয়ে নিঃসঙ্গতায় মুক্তি পাবো
কারণ সেই তো একমাত্র সূর্যালোক।
——
দুঃখদ্বীপ
আমি আমার সমস্ত দুঃখ,শোকগুলো
জাহাজ ভর্তি করে কোনো এক নির্জনে
নোঙর বাঁধবো ।
তারপর সব বোঝা জড় করে তীরে
আগুন ধরিয়ে পাশে বসে
দেখব,ছাই হয়ে মিশে যাবে মাটিতে
সেই ছাইয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে
অন্ধকারের দরজা খুলে
দুঃখদ্বীপ জ্বালিয়ে যাবো বাকি জীবন ।
——-
একমাত্র নিঃসঙ্গতা
প্রত্যেক আনন্দের সামনে সেই থেকে
আমার দুঃখ,যন্ত্রনা এসে বসে
যখন দূরে স্বর্গীয় রূপ দেখে
আবেশে মন মাতোয়ারা হয়েছে
ঠিক তখনই না-ফেরার দেশ থেকে
ছেলে-মেয়ে জড়িয়ে ধরে বলবে
–দুঃখ করো না,পাশেই আছি।
তিনতলার ঘরে ঝাড়বাতি,সোফা,বুকসেল্ফ,টব
নতুন করে সাজবে
কত বাহারি আলোয় ঝলমল করবে
আমার ঠিক ততোখানি রক্ত ঝরবে।
এসব কথা কারুকে বলতে পারি না
নিজের আঘাতের রূপ প্রকাশ করে
ক্ষুদ্র হবার কোনো বাসনা নেই
একমাত্র নিঃসঙ্গতা আমার হাতটি ধরে ।