পরমাণু চুক্তি নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই এক ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হয়েছে ইরানের সিনিয়র কূটনীতিক ও ছয় জাতির শীর্ষ কর্মকর্তারা। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী জো বাইডেন সমঝোতার ইঙ্গিত দেন।
২০১৫ সালের ১৪ জুলাই ইরান ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য- চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ জার্মানি যৌথ বিস্তৃত পরিকল্পনায় (জেসিপিওএ) সম্মত হয়, যা ইরান পরমাণু চুক্তি নামে পরিচিত।
কিন্তু ২০১৮ সালের ৮ মে একতরফাভাবে এই যুগান্তকারী চুক্তি থেকে সরে এসে ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বাধিক চাপের ক্যাম্পেইনের’ অংশ হিসেবে শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনরায় আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক বছর পরে ইরান জেসিপিওএ’র মূল বিধানগুলো থেকে সরে আসতে শুরু করে।
ইইউ’র সিনিয়র পররাষ্ট্র বিষয়ক কর্মকর্তা হেলগা শ্মিডের সভাপতিত্বে বুধবার তথাকথিত ‘যৌথ কমিশন’ এর বৈঠকে চুক্তির বাকি সদস্যরা অংশ নেয়। শিগগিরই এসব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আলোচনায় বসবে বলেও জানা গেছে।
চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যাওয়ার পর পাল্টা জবাব হিসেবে জেসিপিওএ’র নির্ধারিত পারমাণবিক কর্মকাণ্ডের বিধিনিষেধ থেকে সরে আসে ইরান। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি নাতানজে ইরানের মূল পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে উন্নত সেন্ট্রিফিউজ স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নেয় তেহরান।
এমতাবস্থায় গত সপ্তাহে প্রতিক্রিয়া দেখায় ‘ইথ্রি’ হিসেবে পরিচিত- ফ্রান্স, জার্মানি এবং ব্রিটেন। তারা এই পরিকল্পনাকে পারমাণবিক চুক্তির পরিপন্থী বলে নিন্দা জানিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করে। তবে গত মাসে ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদের হত্যাকাণ্ডের পর ইরানি পার্লামেন্ট পরমাণু সমৃদ্ধকরণে একটি আইন পাস করে।
এতে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। যদিও ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি চুক্তিতে ফিরে আসে তাহলে তেহরান চুক্তির শর্তে ফিরে আসবে।
সূত্রঃ আরটিভি অনলাইন
বাঅ/এমএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন