পাকিস্তান পালালেন আফগান নারী ফুটবলাররা
আফগানিস্তানে তালেবান সরকার গঠনের পর থেকেই নারী অধিকার নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন অনেকেই। মন্ত্রিসভা গঠন করলেও রাখা হয়নি কোনো নারীকে। শর্তজুড়ে দিয়ে পড়ালেখার অনুমতি দেওয়া হলেও খেলাধুলার ব্যাপারে শুরু থেকেই তালেবান জানিয়েছে, তাদের খেলাধুলার প্রয়োজন নেই। বর্তমান সরকার ৪০০ রকম খেলাধুলা অনুমোদনের কথা ভাবছে। কিন্তু এখানেও নারীর অংশগ্রহণ প্রায় অনিশ্চিত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন নারী খেলোয়াড়েরা।
আফগানিস্তানের যুব মহিলা দলের ফুটবলাররা দেশ ছেড়ে পালিয়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন। পরিবার এবং কোচদের সঙ্গে তারা পাকিস্তানে পৌঁছেছেন। পাকিস্তানের লাহোরে গাদ্দাফি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে রয়েছে এই যুব মহিলা দল। পাকিস্তান থেকে অন্য কোনো দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইবে তারা। খবর রয়টাসের্র।
তোরখাম সীমানা দিয়ে ৮১ জন পাকিস্তানে পৌঁছায়। আজ বৃহস্পতিবার আরও ৩৪ জনের যাওয়ার কথা রয়েছে। পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তা উমার জিয়া বলেন, ৩০ দিনের মধ্যে অন্য দেশে চলে যাবেন তারা।
পাকিস্তান পৌঁছানোর পর আফগান নারী ফুটবলার দলকে স্বাগত জানিয়েছে পাকিস্তান। এ বিষয়ে পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের নোমান নাদিম এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘তারা পাকিস্তানে প্রবেশের সময় ভিসা এবং আফগানিস্তানের বৈধ পাসপোর্ট দেখিয়েছে। এর বেশি কিছু তিনি বলেননি।’
১৫ আগস্ট কাবুল দখল করে তালেবান। এরপর থেকেই আফগানিস্তানের মহিলা খেলোয়াড়রা দেশ ছাড়তে থাকেন। মহিলা ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক বলেছিলেন, খেলার সরঞ্জাম পুড়িয়ে ফেলতে এবং নেটমাধ্যম থেকে সমস্ত পরিচয় সরিয়ে ফেলতে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর এক সাক্ষাৎকারে তালেবান নেতা বলেন, ‘ইসলাম ধর্মে এমন কিছু খেলার নিয়ম নেই, যেখানে শরীর দেখা যায়।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ছিল তালেবান। সেই সময় মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধসহ ছিল না কাজ করার অনুমতিও। এছাড়া সব ধরনের খেলা থেকে তাদের বিরত রাখা হয়।
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
আমাদের ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান