প্রাচুর্যতা কিংবা সুখ____ ||| ইফতেখার ফয়সাল
তারপর একদিন তোমার মনে হবে যে,
প্রাচুর্যতা সবসময় মানুষ কে সুখী করেনা।
শুধু মাত্র আর্থিক অবস্থা ভালো হলেই সবসময় ভালো থাকা যায় না।
জীবনটা উপভোগ করার জন্য কখনো কখনো একটা পাগলামী করার মানুষ লাগে।
খুঁনসুটিতে এক প্লেটের ফুচকা ভাগাভাগি করে খাওয়ার জন্য একজন সঙ্গী লাগে।
কারোর হাসিতে আরো কয়েক জনম বাঁচতে ইচ্ছে করার মতো কিছু মুহুর্ত লাগে।
একদিন সব থেকেও কোন একজনের না থাকাটা তোমাকে বড্ড পোড়াবে।।
সেদিন তুমি অনুভব করতে পারবে যে এই পৃথিবীতে দুই বেলা খেয়েপরে কোনরকমে দিন চলে গেলেও
নিজের মনের কথা গুলো বলতে পারার মতো একটা মানুষ না থাকলে জীবনটা সত্যিই চলে না।
জীবনে অন্তত কেউ একজন থাকা লাগে,
যার ভালোবাসায় সাধারণেও খুশি খুশি জীবন কাটানো যায়।
বয়সের একটা সময় এসে কঠিন তুমিটাও ভানহীন শিশুর মতো আশ্রয় নেওয়ার জন্য নিজের একটা মানুষের অভাববোধ করবে।
সেদিন বুকের ভিতরের পুরোনো ক্ষতটা বারংবার মাথা ঝাড়া দিয়ে উঠবে।
অনুশোচনার আগুনে দগ্ধ হয়ে তুমি চোখের জ্বলে নিজেকে ভেজাবে।
তবু নিজের মনের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করার মতো
কাছের একটা আপন মানুষের অভাব তোমাকে বুঝিয়ে দিবে যে,
প্রাচুর্যতা বিলাসবহুল জীবন উপহার দিলেও সবসময় মানসিক প্রশান্তি দিতে পারেনা।
একদিন শেষ বিকেলে পুরোনো স্মৃতি হাতড়াতে গিয়ে
তুমি বুঝতে পারবে যে,
রোজ রোজ বিরিয়ানি আর থাই সুপে মুখ গুজার চেয়ে জীবনটা তখনই সুন্দর ছিলো,
যখন কারোর সাথে মনের উঠোনে আজীবনের একটা ডাল ভাতের সংসার বুনার স্বপ্ন দেখতে।
কোন এক শ্রাবনের দিনে ইট পাথরের অট্টালিকার বেলকনিতে বসে কফি খেতে খেতে তোমার মনে হবে
পাড়ার মোড়ের মাথায় মামার দোকানের পাঁচ টাকার সেই রং চায়ের কাপে আর যাই হোক অন্তত তৃপ্তি ছিলো অনেক।
সেদিন তুমি উপলব্ধি করতে পারবে যে,
প্রাচুর্যতা আর খ্যাতির পিছনে ছুঁটতে গিয়ে তুমি তোমার খুশি টা কে অনেক আগেই বিসর্জন দিয়ে এসেছো।