ফুচকা বিক্রি বন্ধে নির্দেশ! করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভারতের কানপুরে ফুচকা বিক্রি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার এক এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন কানপুরের জেলা প্রশাসক ডঃ ব্রহ্মাদেও রাম তিওয়ারি।
তিনি বলেন, গোটা দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখানেও বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে এই অবস্থায় জনগণের জন্য বাইরের খোলামেলা খাবার তথা ফাস্টফুড না খাওয়ার কথাই বলছেন তিনি। আর এই জন্যই গোটা কানপুর শহরে ফুচকা বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সস্তায় বিক্রয় যোগ্য ফুচকা তৈরি এবং বিক্রির সময় যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করা হয় না। যার ফলে করোনার মতো অদৃশ্য জীবাণুর সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। ডঃ ব্রহ্মাদেও রাম তিওয়ারি জানান, মুখোরোচক এই খাবারটি সাধারণত টকজলে ডুবিয়ে খেতে হয়। এক্ষেত্রে জলের গুণগত মানের যেমন একটি ব্যাপার রয়েছে, তেমনই ফুচকার সঙ্গে ক্রেতা ও বিক্রেতার সরাসরি হাতের স্পর্শ লেগে যায়। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যায়।
নিজে নিজেই জীবাণুমুক্ত হয়ে যায় যে মাস্ক
মহামারি রূপ নিয়েছে করোনাভাইরাস। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। তবে করোনার এপিসেন্টার হিসেবে পরিচিত দেশগুলোতে ফেস মাস্ক পরায় হাজার হাজার মানুষ প্রাণঘাতী ভাইরাসটি থেকে রক্ষা পেয়েছেন বলে সম্প্রতি একটি গবেষণায় বলা হয়।
গবেষকরা জানান, করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব মানা এবং ঘরে থাকার চেয়েও কার্যকরী হলো ফেস মাস্ক পরা। গবেষণায় বলা হয়, সংক্রমণের হারের নাটকীয় পরিবর্তন হয় যখন গত এপ্রিলের ৬ তারিখ ইতালিতে এবং ১৭ তারিখ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটিতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়। পাশাপাশি শুধুমাত্র মুখ ঢেকে রাখার কারণে বাতাসের মাধ্যমে ছড়ানো করোনারভাইরাস থেকে হাজার হাজার মানুষ রক্ষা পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন গবেষকরা।
তাই বলাই যায়, করোনা সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরাই এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এদিকে, লকডাউন উঠে যাওয়ায় বাইরে মানুষের সমাগমও বাড়ছে। ফলে প্রতিদিন নতুন মাস্কের চাহিদা বাড়ছে। তবে একই এক একাধিকবার ব্যবহার করলে সেটি থেকে ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায় বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা।
এমন যখন পরিস্থিতি তখনই স্বস্তিদায়ক এক খবর দিলেন ইসরায়েলি বিজ্ঞানীরা। ইসরায়েলের গবেষকরা বলছেন, তারা এমন একটি ফেস মাস্ক উদ্ভাবন করেছেন, যা নিজে নিজে পরিস্কার হয়ে যায়।
এই মাস্কে একটি ইউএসবি পোর্ট আছে যেটি দিয়ে এটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া যায়। মাস্কের ভেতর কার্বন ফাইবারের একটি স্তর আছে, ইউএসবি সংযোগের মাধ্যমে যেটিকে ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উত্তপ্ত করা যায়। এই তাপে করোনাভাইরাস মরে যায়।
তবে মাস্কটি যখন ইউএসবির মাধ্যমে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে, তখন এটি না পরার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এভাবে মাস্কটি জীবাণুমুক্ত করতে সময় লাগে ৩০ মিনিটের মতো। এই মাস্কটির পেটেন্টের জন্য গবেষকরা যুক্তরাষ্ট্রে আবেদন করেছেন।
সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন
বাঅ/এমএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন