বাংলাদেশে গত ১দিনে আরও ৪ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৪৮ জন।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশে করোনায় নতুন আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন চিকিৎসক
সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন চিকিৎসক রয়েছেন। তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেওয়া ছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মীরা কমিউনিটি থেকে আক্রান্ত হচ্ছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নির্দেশনা মানছে না অনেকেই
চাঁপাইনবাবগঞ্জে শুক্রবার পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯০জনে। অন্যদিকে ১৪দিন মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২০০জনকে কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, এখন পর্যন্ত জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
দিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে কাঁচাবাজার, মুদি ও ওষুধের দোকান ব্যতিত অন্যসব দোকান, হোটেল রেস্তোরা, সাপ্তাহিক হাটসহ সকল প্রকার সমাবেশ ও গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জেলা প্রশাসন। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের পার্শ্ববর্তী খালঘাট শিমুলতলা, রামজীবনপুর, বালিয়াডাঙ্গা, ঝিলিমবাজার, পৌর এলাকার রেলবস্তি, রেহাইচর, নতুনহাট এলাকায় জনসমাগম লক্ষ্য করা গেছে। স্থানীয়ভাবে ব্যাটারিচারিত অটোরিকশা ও রিকশা চলাচল করায় জনসমাগম বাড়ছে। এছাড়া শহরের কিছু দোকান ও বিউটি পার্লার খোলা রেখে ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
ফোন পেয়ে প্রবাসীর বাড়িতে বাজার পৌঁছে দিল পুলিশ
বিদেশ ফেরত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ইতালি প্রবাসীর ফোন পেয়ে বাসায় নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালী শহরের কলেজ রোড এলাকার ইতালি প্রবাসীর বাসায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, পানি এবং ফল পৌঁছে দেয় সদর থানা পুলিশের সদস্যরা।
পুলিশ সদস্যদের হাতে বাজারের ব্যাগে ইতালি প্রবাসীর বাসায় পেঁয়াজ, রসুন, আলু, ডাল, আঙ্গুর, আপেল, মাল্টা, খাবার পানি ছিলো।
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, সদর থানার সরকারি নাম্বারে সকালে এক ইতালি প্রবাসী জানান, চারদিন হলো সে দেশে এসেছি। হোম কোয়ারেন্টাইনে আছি। তার বাসায় খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। সে সচেতন তাই দেশে ফিরে চারদিন ধরে হোম কোয়ারেন্টাইন মানছে।
যেহেতু সে উন্নত বিশ্বে থেকে এসেছে, বাংলাদেশে উন্নত বিশ্বের মতো ইকুইপমেন্ট নেই। তাই সে থানায় কল দিয়ে বিষয়টি জানানোর পরে তার খাদ্যদ্রব্যের লিষ্ট মোতাবেক বাজার থেকে খাদ্য ক্রয় করে তার বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
বাঅ/এমএ