সৈকতে বঙ্গবন্ধুর বালুর ভাস্কর্য
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। এই সৈকতের বালিয়াড়িতে তর্জনী উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দৃষ্টিনন্দন এ ভাস্কর্যের পাশে লেখা আছে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। জাতির পিতার এই ভাস্কর্য দেখতে উপচে পড়া ভিড় জমেছে সৈকতে। এবারই প্রথম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে এ ধরনের ভাস্কর্য হলো। এই ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে বালু দিয়ে।
সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ব্যতিক্রমী এই আয়োজন করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর ও অবমাননার প্রতিবাদে এবং জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বিশাল এই বালুর ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। এ কাজে সহযোগিতা করেছে ব্র্যান্ডিং কক্সবাজার।
জাতির পিতার ভাস্কর্য নির্মাণে দিনরাত কাজ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভাস্কর্য বিভাগের ১০ শিক্ষার্থী। তারা সাগরের খোলা প্রান্তরের বালিয়াড়িতে ১০ ফুট উচ্চতার আবক্ষ ফ্রি-স্ট্যান্ডিং একটি এবং ছয় ফুট উচ্চতার ও ১৪ ফুট প্রশস্ত আরও দুটি রিলিফ ভাস্কর্য নির্মাণ করছেন।
ভাস্কর্য শিল্পীরা জানান, উগ্র মৌলবাদীদের ন্যক্কারজনক আচরণের প্রতিবাদ হিসেবে তারা এ শিল্পকর্ম উপস্থাপন করছেন। ভাস্কর কামরুল হাসান শিপন বলেন, কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত। সৈকতের এই বক্ষে আমরা যার ভাস্কর্য নির্মাণ করছি, তিনিও আমাদের সবচেয়ে বড় নেতা। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যতগুলো বালুর ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড়।
ব্র্যান্ডিং কক্সবাজারের সমন্বয়ক ইশতিয়াক আহমেদ জয় বলেন, এটি মুজিববর্ষ- জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর বছর। বিজয়ের এই মাসে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পর্যটক আসবেন কক্সবাজার সৈকতে। এই পর্যটক এবং নতুন প্রজন্মের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর পরিচিতি ঘটাতে বালুর ভাস্কর্য নির্মাণের এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জাতির পিতার এই ভাস্কর্য নির্মাণ ধর্মান্ধ মৌলবাদী গোষ্ঠীর অপতৎপরতার যথোপযুক্ত প্রতিবাদ।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, জাতির পিতার ভাস্কর্য অবমাননার প্রতিবাদে সৃষ্টিশীল এই আয়োজন। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সারাদেশে থাকবে, সারা পৃথিবীতে থাকবে। কক্সবাজারের দীর্ঘ বালুকাময় সমুদ্রসৈকতে বালুর ভাস্কর্য নির্মাণ করে সেই চেতনা ছড়িয়ে দিতে চাই।
প্রায় আট লাখ টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধুর এই বালুর ভাস্কর্য নির্মাণ করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। আজ ১৬ ডিসেম্বর মানববন্ধন ও নীরবতা পালন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দর্শনার্থীদের জন্য এই ভাস্কর্য উন্মুক্ত করা হবে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে। #সমকাল
এস এস/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন