বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে মায়ের মারধর, তারপর যা ঘটল
পারিবারিক কলহের জেরে মায়ের ওপর অভিমান করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর নাম ফাবিহা সুহা। তিনি ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ সেলিমের কন্যা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে মায়ের মারধর, তারপর যা ঘটল, জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দেন তিনি। পরে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক মেহেদী হাসান জানান, ওই ছাত্রীর খালার বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে বাড়িতে থাকা খালাতো বোনকে নিয়ে মায়ের সাথে প্রতিনিয়ত কথাকাটাকাটি হতো। সুহার অভিযোগ ছিল মা তাঁর থেকে তাঁর খালাতো বোনকে প্রাধান্য দিতেন। এসব নিয়ে সুহা ও তাঁর বাবার সাথে তাঁর মায়ের মাঝে মধ্যেই ঝামেলা হতো।
সর্বশেষ শুক্রবার তাঁর মা তাঁকে বকাঝকা ও মারধর করেন। এ নিয়ে তাঁর বাবা ও মায়ের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। পারিবারিক কলহ ও মায়ের ওপর অভিমান থেকে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা প্রতিবেশীদের। তিনি আরো জানান, সুহার মা তাঁকে বকাঝকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে এ থেকে আত্মহত্যা করতে পারে বিষয়টি ভাবতে পারেননি।
বিভাগের প্রভাষক শাহিদা আক্তার আশা বলেন, সুহা খুবই সৃজনশীল একটি মেয়ে ছিল। বিভাগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ওর সক্রিয় অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বের মাধ্যমে সবার খুব প্রিয় হয়ে উঠেছিল। এমন মেধাবী একজন শিক্ষার্থীর এই অকাল মৃত্যুতে আমরা খুবই মর্মাহত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। খুবই দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থীর এমন মৃত্যু কোনোভাবেই কাম্য নয়। ঘটনাস্থলে বিভাগের শিক্ষকরা গিয়েছেন তাঁদের সাথে কথা বলেছি ও খোঁজখবর রাখছি।
-কালের কন্ঠ
এস এস/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন