মনকেমনের ডাকে ।।। শীতল চট্টোপাধ্যায়
মনের ভেতর মনকেমনের মনটা একা উদাসে চায় ,
জীবন জোড়া সবুজ বেলা ডাকলে কী আর – আর পাওয়া যায় !
মনকেমনের ডাকে
যায়না পাওয়া তাকে ৷
না পাওয়াতেই মনকেমনের স্মৃতিলতা লতায় শিরায় ,
গাছ -গাছালির বৃত্তে যেদিন কিশোর আমি- ওই লতা গা’য় ৷
মনকেমনে ভাসি
মন খারাপের বাঁশি ৷
কাঁচা আমের শক্ত বোঁটা নিরাশ ঘুরি আমতলাতে,
ইচ্ছে দিয়ে ঝড়কে ডাকি একটি আমও খসে যাতে ৷
মনকেমনের ঝড়ে
ভেতর ভেঙে পড়ে ৷
গাছের নিচে ছায়া পাতা মনের পথটা পথেই জোড়া ,
সে পথ ধরেই কিশোরী পথ ছুঁয়ে ছোটা , পায়েই ওড়া ৷
মনকেমনে মরি
কেমনে ছুঁই- ধরি৷
স্কুলের সঙ্গী ,খেলার সাথি কিশোর রঙা রামধনুতে ,
লুকোচুরি খেলায় চুরি হয়না যাতে বলি, ছুঁতে ৷
মনকেমনে ভাঙা
সেই খেলা রঙ রাঙা৷
কুল ও বৈঁচি তুলতে গেছি সঙ্গিনী হাত সঙ্গী ক’রে ,
সেদিন ফোটা বৈঁচি কাঁটা আজকে জানায় রক্ত ঝ’রে ৷
মনকেমনের মনে
বৈঁচি মনের কোণে ৷
জীবনও যে পথ হয়ে যায় পথ বয়ে যায় চেনা নামে ,
যে পথ হয়ে কিশোর বেলা আর এক পথের সামনে থামে ৷
মনকেমনে ঘেরা
যায়না যে আর ফেরা৷
ঘুড়ির মেলায় বন্ধুরা সব রথের মেলায় বান্ধবীতে ,
তার চাওয়া সেই মালা- চুড়ি না,পারিনি কিনে দিতে ৷
মনকেমনের রথে
হয়না দেখা পথে ৷
এমনি -এমনিই এমন ক’রে কিশোর বেলায় জুটির বেলা ,
ভাবনাহীনের সঙ্গিনীতে নেই মানেতে -খুশির খেলা ৷
মনকেমনে খুঁজি
কষ্ট বাড়ে বুঝি ৷
না জানাতেই কখন নিজের কিশোর আলো নিভতে থাকে ,
কৈশোর থেকে কিশোরীও দূর হয়ে যায় স্মৃতির আঁকে ৷
মনকেমনের ঘরে
হারানো সুর ঝরে ৷
ঠিকানা – জগদ্দল , উত্তর ২৪ পরগণা