মহাকাশ থেকে শূন্যে ভেসেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটদান
ট্রাম্প-বাইডেনের লড়াই জমে উঠেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের উত্তেজনার আঁচ গায়ে মাখছেন সকলেই। এমনকি, মহাশূন্যে ভেসে থেকেও নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বাদ পড়ছেন না মার্কিন নভোচারীরা। গত সপ্তাহেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন নভোচারী কেট রাবিনস। টুইট করে এই খবর জানিয়েছে নাসা।
ভোট দেওয়ার জন্য রীতিমতো বুথ তৈরি হয়েছিল মহাকাশে। শূন্যে ভেসে ভোটদানের প্রক্রিয়া কেমন হল, তাও জানালেন ওই নারী নভোচারী। ৬ মাসের এক প্রকল্পে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে রয়েছেন মার্কিন নারী নভোচরী কেট রাবিনস এবং দুই রাশিয়ান নভোচারী। নভেম্বরে তাদের ফেরার কথা। ততদিনে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই শেষ হয়ে যাবে। তাই সময়মতো গত সপ্তাহে নিজের ভোটটা দিয়ে দিলেন কেট।
মহাকাশ থেকে শূন্যে ভেসেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটদান যদিও এই অভিজ্ঞতা তার এই প্রথমবারই নয়। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও এভাবেই নিজের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করেছিলেন তিনি। আগে এভাবে মহাশূন্য থেকে ভোট দেওয়ার কোনও আইন ছিল না যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯৯৭ সালে একটা বিল পাশের মধ্যে দিয়ে এই আইনটি সংশোধন করা হয়। তারপরই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে ভোটদান গৃহীত হয়েছে।
তবে পদ্ধতি বেশ জটিল। ভোটদানে ইচ্ছুক নভোচরীদের আগে থেকে লিখিত আবেদন করতে হয়, যার আনুষ্ঠানিক নাম ফেডেরাল পোস্টকার্ড অ্যাপ্লিকেশন। তা গৃহীত হলে তবে ভোটদানের বিশেষ প্রক্রিয়া শুরু হয়। নির্দিষ্ট দিনক্ষণ স্থির করে দেওয়া হয় মহাকাশ স্টেশন থেকে ভোটদানের জন্য।
সাধারণত নাসার নভোচররা টেক্সাস ক্যাম্পাসের বাসিন্দা হিসেবে ভোট দিয়ে থাকে। কারণ সেখানে নাসার বেশিরভাগ বিজ্ঞানীর বাস। এছাড়া কেউ যদি যুক্তরাষ্ট্রের অন্য কোনও প্রদেশের বাসিন্দা হিসেবে সেখান থেকে ভোট দিতে চান, তার ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে দ্বিতীয়টি কিছুটা সময়সাপেক্ষ, সেই তুলনায় সহজ নাসার টেক্সাস ক্যাম্পাসের বাসিন্দা হয়ে ভোট দেওয়া। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার মহাশূন্যে ভেসেই ভোট দিয়েছেন কেট রাবিনস।
সূত্রঃ বিডি-প্রতিদিন
সিএ/এসএস
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন